• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    প্রতিশোধ নেওয়াই সান্ত্বনা বায়ার্নের

    প্রতিশোধ নেওয়াই সান্ত্বনা বায়ার্নের    

    বার্সেলোনা-পিএসজি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে যাচ্ছে, সেটি প্রায় নিশ্চিত ছিল আগেই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোতে এক পা দিয়েই রেখেছিল। ইউনাইটেড নিজেদের মাঠে সিএসকেএ মস্কোকে ২-১ গোলে হারিয়েই তা নিশ্চিত করেছে, স্পোর্টিংকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সাও। তবে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে পিএসজিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আগের বারের প্রতিশোধ ঠিকই নিয়েছে বায়ার্ন। জুভেন্টাসের দুইয়ে থাকা নিয়ে ক্ষীণ যে একটু সংশয় ছিল, সেটাও কেটে গেছে। অলিম্পিয়াকোসকে ২-০ গোলে হারিয়েই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস।

    পরের পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে হলে বায়ার্নকে অন্তত চার গোলের ব্যবধানে হারাতে হতো পিএসজিকে। সেই চেষ্টা যে ভালোমতোই করবে, শুরুতেই মিলেছিল তার আভাস। ৮ মিনিটে একটা আক্রমণ থেকে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে বল পেয়ে যান লেভানডফস্কি। প্রায় মুখের ওপর এনে দেওয়া মিষ্টিটা না খেয়ে পারেননি চুল সাদা করে ফেলা বায়ার্ন স্ট্রাইকার।

    তবে বায়ার্নের বাকি অংশ জুড়ে ছিলেন তরুণ ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার কোরেন্তিন তোলিস। ৩৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে হামেস রদ্রিগেজের ক্রসে হেড করে বায়ার্নকে আরও এগিয়ে দেন তোলিসো। ৫০ মিনিটেই অবশ্য কিলিয়ান এমবাপ্পেও হেড করে গোল করে ব্যবধান কমান। চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০ গোল হয়ে গেল ১৮ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের, তাঁর চেয়ে কম বয়সে দুই অঙ্কে যেতে পারেননি আর কেউই।

    তবে দিনটা এমবাপ্পের নয়, ছিল তোলিসরই। ৬৯ মিনিটে দারুণ এক প্রতিআক্রমণ থেকে কিংসলে কোমানের ক্রসে বল পেয়ে জড়িয়ে দেন জালে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর গোল পায়নি বায়ার্ন।

    বার্সার জন্য স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে ম্যাচ ছিলা আদতে আরও বেশি গুরুত্বহীন। লিওনেল মেসি আজ প্রথম একাদশেই ছিলেন না, সুযোগ পেয়েছিলেন আলকাসাররা। ৫৯ মিনিটে সেটিই দুই হাতে নিয়ে বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আলকাসার। ম্যাচের শেষ সময়ে আত্মঘাতী গোলে নিশ্চিত হয় বার্সার জয়। এই মৌসুমে আত্মঘাতী গোল যেন বার্সার জন্য অভ্যাসই হয়ে গেছে, ছয়টি এসেছে প্রতিপক্ষের সাহায্য থেকে। বার্সার চেয়ে এর চেয়ে বেশি গোল পেয়েছেন কেবল মেসি! তার চেয়েও অবিশ্বাস্য, এই আত্মঘাতী গোলটি আবার করেছেন এই মৌসুমেই বার্সা ছেড়ে যাওয়া ডিফেন্ডার জেরেমি ম্যাথিউ।

    বরং জুভেন্টাসের জন্য ম্যাচটাই একটু কঠিন ছিল। অলিম্পিয়াকোসের কাছে হেরে গেলে অনেক কিছু ওলট পালট হয়ে যেতে পারত। তবে সেই সুযোগই দেয়নি জুভেন্টাস, ১৫ মিনিটে হুয়ান কুয়াদ্রাদোর গোলে এগিয়ে যায় জুভেন্টাস। ম্যাচ শেষের একটু আগে ফার্নান্দো বারনাদেশির গোলে নিশ্চিত হয় জয়।

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অবশ্য প্রথমার্ধ শেষেও একটু চিন্তায় ছিল। সিএসকের সঙ্গে নিজেদের মাঠে খেলা, ড্র করলেই চলত। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষে ইউনাইটেড ১-০ গোলে পিছিয়ে, গ্রুপে তিন দলেরই পয়েন্ট তখন ১২। প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার একটু আগে ওল্ড ট্রাফোর্ডকে হতভম্ব করে সিএসকের হয়ে গোল করেন ভিতোলো। তবে বিরতির পর ঠিকই ফিরে আসে ইউনাইটেড। ৬৪ মিনিটে রোমেলু লুকাকু সমতা ফেরানোর দুই মিনিট পর অ্যান্থনি মার্শিয়ালের গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। গত ৪০ ম্যাচ নিজেদের মাঠে অপরাজিত ইউনাইটেড, ২০০৭-০৮ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে এত পয়েন্ট পেল।