• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বার্নাব্যুর সেই রিয়ালকে চিনল সেভিয়া

    বার্নাব্যুর সেই রিয়ালকে চিনল সেভিয়া    

    গত বৃহস্পতিবারেই জিতে নিয়েছিলেন নিজের পাঁচ নম্বর ফিফা ব্যালন ডি'অর। আজ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে উপস্থিত প্রায় ৭৫ হাজার দর্শকের সামনে তার হাতে তুলে দেওয়া হল স্বর্ণগোলকটি। ব্যালন ডি'অর পেয়েই যেন লা লিগায় পুরনো বিধ্বংসী রূপে ফিরলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দলের মূল তারকার জোড়া গোলে সেভিয়াকে  ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করল রিয়াল মাদ্রিদ, সবকটি গোল হয়েছে প্রথমার্ধেই। জিনেদিন জিদানের দলের হয়ে অন্য গোল তিনটি করেছেন নাচো ফার্নান্দেজ, টনি ক্রুস এবং তরুণ রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমি।

     

    নিষেধাজ্ঞার কারণে আজ ছিলেন না দানি কারভাহাল, সার্জিও রামোস, কাসেমিরো। ইনজুরিতে পড়ায় ছিটকে গেছেন গ্যারেথ বেল এবং রাফায়েল ভারান। ওদিকে প্রতিপক্ষ আবার লা লিগা টেবিলে পাঁচ নম্বরে থাকা সেভিয়া। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা তো আছেই। সব মিলিয়ে কিছুটা 'তারকাহীন' রিয়াল মাদ্রিদের জন্য জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। কিন্তু সেভিয়ার বিপক্ষে আজ দেখা মিলল গত মৌসুমের বিধ্বংসী রিয়ালের, যারা জিতে নিয়েছিল লা লিগা এবং ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। রিয়ালের এই বিধ্বংসী রূপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সেভিয়া। ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটেই এগিয়ে যায় 'লস ব্লাঙ্কোস'রা। ডানপ্রান্ত থেকে ক্রুসের কর্ণার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় সেভিয়া। গোলের মাত্র গজ দুয়েক দূরে বল পেয়ে গোলরক্ষক সার্জিও রিকোকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি  রামোসের বদলি হিসেবে নামা নাচো। সেভিয়ার বিপক্ষে খেলা আর রোনালদো গোল পাবেন না- তা কি করে হয়! ২৩ মিনিটে মার্কো আসেন্সিও-র পাস থেকে রিকোকে একা পেয়ে যান 'সিআর৭'। ডানপায়ের নিচু শটে রিয়ালের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ৩১ মিনিটে মার্সেলোর ক্রস হেসুস নাভাসের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। ১২ গজ থেকে নিজের ২য় এবং রিয়ালের ৩য় গোল করেন রোনালদো। গত সাত বছরের প্রতিটিতেই ৫০ গোলের মাইলফলক ছুঁলেন তিনি। সেভিয়ার বিপক্ষে ১৬ ম্যাচে করলেন ২৬ গোল। রিয়ালের আক্রমণের জোয়ারে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়ে সেভিয়া।

     

     

    প্রথমার্ধের গোলবন্যা শেষ হয়নি তখনও। দারুণ এক প্রতি আক্রমণে ম্যাচের মাত্র ৩৮ মিনিটেই ডানপ্রান্ত থেকে হাকিমির মাইনাসে ব্যবধান ৪-০ করেন ক্রুস। এর মিনিট চারেক পর রিয়ালের হয়ে নিজের প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যান মরক্কোর এই রাইটব্যাক। ৪২ মিনিটে ক্রুসের পাস থেকেই রিয়ালের পঞ্চম গোল করেন তিনি। দুর্দান্ত এক প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গা বাঁচিয়েই খেলেছে রিয়াল। এরপরও ৬৭ মিনিটে মার্সেলোর ক্রসে করিম বেনজেমার হেড বারে প্রতিহত না হলে ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত দু'দলের মাঝে। ৭৫ মিনিটে রোনালদোকে উঠিয়ে ইস্কোকে নামিয়ে দেন জিদান। সে সময় মাদ্রিদিস্তাদের 'রোনালদো ব্যালন ডি'অর' চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে বার্নাব্যুর বাতাস। শেষমেশ পাঁচ গোলের দারুণ জয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল।