• লা লিগা
  • " />

     

    মেসি-সুয়ারেজের গোলে দশজনের ভিয়ারিয়ালকে হারাল বার্সা

    মেসি-সুয়ারেজের গোলে দশজনের ভিয়ারিয়ালকে হারাল বার্সা    

    এল সিরামিকায় দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে উঠেছিল ম্যাচ। ৬০ মিনিটে ভিয়ারিয়াল দশ জনের দলের পরিণত হওয়ার পরই একপেশে হয়ে পড়ে খেলা। এর পর দশ মিনিটের ব্যবধানে লুইস সুয়ারেজ ও লিওনেল মেসির গোলে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা (২-০)।

    প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে ভিয়ারিয়ালের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। তবে আক্রমণভাগে গিয়েই বার্সার আক্রমণগুলো দিক-নিশানা হারিয়ে ফেলছিল। ভালো জায়গা থেকে ফ্রি কিক পেয়েও ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষকের জন্য তেমন অসুবিধার কারণ হতে পারেননি মেসি। এর কিছুক্ষণ পর মেসির নেওয়া একটি শট গোলরক্ষককে হার মানালেও চলে যায় বাইরে দিয়ে।



    বার্সার ব্যর্থ আক্রমণের সুযোগ নিয়ে ঘরের মাঠে শুরু থেকেই প্রতি আক্রমণে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল ভিয়ারিয়াল।  রবার্তো সরিয়ানো একাই প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলেছিলেন বার্সার রক্ষণকে। ১৬ মিনিটে তার নেওয়া দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। না হলে ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারত ভিয়ারিয়ালই। এর দশ মিনিট পরই আবারও ডান দিক থেকে আসা ক্রস খুঁজে পেয়েছিল সরিয়ানোকেই। কিন্তু এবার আর পা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকলে প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ গুলো বেশি পেয়েছিল ভিয়ারিয়ালই।

     

    এই মৌসুমে প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধেই বেশি গোল পেয়েছে বার্সা। গোলশুন্য স্কোরলাইন নিয়ে বিরতিতে যাওয়ার সময়ও তাই এর্নেস্তো ভালভার্দেকে চিন্তামুক্তই মনে হচ্ছিল। তবে দ্বিতিয়ার্ধের প্রথম দশ মিনিটেও গোলের দেখা না পাওয়ায় কৌশল বদলে ফেলেন ভালভার্দে। ডেনিস সুয়ারেজকে বসিয়ে নামিয়ে দেন পাকো আলকাসেরকে। কোচের ভরসার প্রতিদানটা মাঠে নামার পর প্রথম শটেই দিতে পারতেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। কিন্তু জর্দি আলবার ক্রসটা গোলে পরিণত হওয়ার আগেই ধরে ফেলেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সার্জিও আসেনখিও। সে পর্যন্তও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে চলতে থাকা খেলা যেতে পারত যে কোনো দিকেই!

    এর দুই মিনিট পরই সার্জিও বুস্কেটসকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডানিয়েল রাবা। সেখানেই থেমে যায় ভিয়ারিয়ালের প্রতিরোধও। বাঁ দিক দিয়ে জর্দি আলবাই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন প্রায় সব আক্রমণের। তার ক্রস থেকে তখনই গোল পেতে পারতেন মেসি, সুয়ারেজরা। মেসির শট গেছে বারপোস্টে শিস বাজিয়ে, আর কিছুক্ষণ পর সুয়ারেজ গোলবঞ্চিত হয়েছেন বারপোস্টে বল লাগিয়ে। দশ জনের দলের বিপক্ষেও গোলের দেখা পাওয়ার জন্য বার্সাকে তাই অপেক্ষা করতে হয় আরও বেশ কিছুক্ষণ। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুজনের কেউই খালি হাতে ফেরেননি ম্যাচ থেকে।

    ৭২ মিনিটে সুয়ারেজের গোলটি ছিল বার্সেলোনার ‘সিগ্নেচার’ আক্রমণের ফসল। মেসি, সুয়ারেজ, আলকাসেরের ওয়ান-টাচ-ফুটবলের পর রিটার্ন পেয়েছিলেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। সেখান থেকেই ডিফেন্ডার, গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল জড়ান সুয়ারেজ।

    এর পর ৮৩ মিনিটে মেসি করেন চলতি মৌসুমে লা লিগায় নিজের ১৪ তম গোল। গোলটাকে অবশ্য বড় দিনের আগাম উপহার হিসেবে দেখতে পারেন মেসি। ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডারদের ভুল থেকে ডিবক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সেখান থেকে বাকি কাজটা সেরেছেন দক্ষতার সাথেই। আর তাতেই লা লিগায়  দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল বার্সা। এই গোলে একটা রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেছেন মেসি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে একই ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২৫ গোল করা জার্ড মুলারের পাশে নাম লিখিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।