• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ, বিসিএল
  • " />

     

    জহুরুলের ড্যাডি সেঞ্চুরির দিনে ধীমানের ৭ রানের আক্ষেপ

    জহুরুলের ড্যাডি সেঞ্চুরির দিনে ধীমানের ৭ রানের আক্ষেপ    

    সেন্ট্রেল জোন-নর্থ জোন, সিলেট
    টস- নর্থ জোন (ফিল্ডিং) 
    ২য় দিনশেষে
    সেন্ট্রাল জোন ১ম ইনিংস ১৮৮ (ইরফান ৫৭*, তাসকিন ৩৪, আরিফুল ৪/৫৫, শুভাশীষ ২/৩৭, শফিউল ২/৩৯) 
    নর্থ জোন ৪৩৩/৭ (নাজমুল ৪৪, মিজানুর ৬৪, জহুরুল ১৫২*, ধীমান ৯৩, তাসকিন ৩/১১৬, মোশাররফ ২/৮৮, শুভাগত ২/১২২) 
    নর্থ জোন ২৪৫ রানে এগিয়ে 


    ১৭৫, ১০২, ১৪৩- এর আগে টানা তিনটি প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মিজানুর রহমান। বিসিএলে গতকাল ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন নর্থ জোনের ব্যাটসম্যান। আজ ফিফটি পেয়েছেন, তবে আউট হয়েছেন ৬৪ রানে। দিনশেষে অপরাজিত আছেন জহুরুল ইসলাম, ১৫২ রানে। আর মিজানুরের চেয়েও বেশি আক্ষেপ ধীমান ঘোষের, ৯৩ রানে বোল্ড হয়েছেন মোশাররফ হোসেনের বলে। ২য় দিনশেষে ২৪৫ রানে এগিয়ে আছে নর্থ জোন। 
     

    কাল শেষবেলার উইকেটশূন্য থাকার হতাশা আজ প্রথম সেশনে ভুলেছিলেন সেন্ট্রাল জোনের বোলাররা, ৪ উইকেট নিয়ে। আগেরদিনের স্কোরের সঙ্গে ২ রান যোগ করে নাজমুল হোসেন বোল্ড হয়েছেন তাসকিন আহমদের বলে। জুনায়েদ সিদ্দিকিকেও টিকতে দেননি বেশিক্ষণ, ১৩ রানে বানিয়েছেন ক্যাচ। এরপর মোশাররফ হোসেনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মিজানুর। লাঞ্চের আগে শেষ উইকেটটিও তাসকিনের, তার বলে উইকেটকিপার ইরফান শুক্কুরকে ক্যাচ দিয়েছেন নাইম ইসলাম, কোনও রান না করেই। 

     

     

     

    ৫ নম্বরে নামা জহুরুলের সঙ্গে এরপর ৭১ রানের জুটি ৬-এ নামা আরিফুল হকের। কাল বোলিংয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন, আজ ব্যাটিংয়ে আরিফুল করলেন ৩৭ রান। ১৯৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সেন্ট্রাল জোন যদি দ্রুত নর্থ জোনকে আটকে দেওয়ার আশা করে থাকে, সেটা ছিল ভুল। জহুরুলের সঙ্গে জুটি গড়লেন ধীমান। ৬ষ্ঠ উইকেটে এলো ১৭৬ রান, ধীমানের উইকেটেই ভাঙলো সেটা। এ নিয়ে প্রথম শ্রেণিতে তিনবার নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়লেন ধীমান, ২০১৬-১৭ মৌসুমে রাজশাহীর সঙ্গে ম্যাচে মুক্তার আলির বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন রংপুরের হয়ে খেলা ধীমান। আরেকবারের কথা মনে করতে ফিরে যেতে হবে সেই ২০০৬-০৭ মৌসুমে, সেবার ঢাকার সঙ্গে ম্যাচে ৯১ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। 
     

    জহুরুল অবশ্য ধীমানকে ওপাশে রেখেই করেছেন ক্যারিয়ারের ১২তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি। ১৫৬ বলে পূরণ করেছেন তা, ১১ চার ও ১ ছয়ে। ধীমানের পর দ্রুতই ফিরেছেন সোহরাওয়ার্দি শুভ, ৩ রান করেই ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন শুভাগত হোমকে। ৩০৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৪টি চার ও ৫টি ছয় মারা জহুরুলের সঙ্গী এখন ফরহাদ রেজা, ১৬ রানে। ক্যারিয়ারে জহুরুলের সর্বোচ্চ ১৬৭ রান, কাল সেটিকে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন? যেতে পারবেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পর্যন্ত?