মুমিনুলের ডাবল সেঞ্চুরি, রাজ্জাকের ৬ উইকেট
বিসিএল, ইস্ট জোন- সাউথ জোন, বিকেএসপি
টস-ইস্ট জোন (ব্যাটিং)
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৫৪৬ (মুমিনুল ২৫৮, জাকির ১১৯,সোহাগ ৩৫, রাজ্জাক ৬/১৭৮, সাকলাইন ৩/৯৩)
সাউথ জোন ১ম ইনিংস ১২৮/৩* (মোসাদ্দেক ৪২*, শাহরিয়ার ২৯, তুষার ২২, সোহাগ ২/৩৯, নাজমুল ১/২১)
আগেরদিন সাউথ জোনের অধিনায়ক নুরুল হাসান বলেছিলেন, উইকেট ব্যাটিং সহায়ক, আর ইস্ট জোনের মুমিনুল হকও করেছেন ভাল ব্যাটিং। আজ মুমিনুল থামলেন ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ২৫৮ রানে গিয়ে, ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেলেন জাকির হাসান। ২য় দিনশেষে ৪১৮ রানে পিছিয়ে আছে সাউথ জোন, ৭ উইকেটে। তবে বিকেএসপির এই ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেই ৬ উইকেট নেওয়া আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, সাউথ জোনের ব্যাটিং লাইন-আপও দীর্ঘ। দুই দলের কেউ খুব বড় কোনও ভুল না করলে এই ম্যাচে ড্র ছাড়া অন্য কোনও ফল নেই।
আগেরদিন ৩৪০ রানে দিন শেষ করেছিল ইস্ট জোন। মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ১৬৯ রানে, জাকির ৪৭ রানে। দুইজনের ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে এসেছে ২২৩ রান। সাকলাইন সজিবের বলে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেওয়ার আগে জাকির করেছেন ১১৯ রান। ৩১ বলে ৩৫ রানের দ্রুত ইনিংসে এরপর মুমিনুলকে সঙ্গ দিয়েছেন সোহাগ গাজি, তার উইকেট দিয়ে তৃতীয় সাফল্য পেয়েছেন রাজ্জাক। নাজমুল অপুকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রাজ্জাক। মুমিনুল থেমেছেন রাজ্জাকের বলেই এলবিডাব্লিউ হয়ে, এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ৩০তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট বা তার বেশি পেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আবু হায়দারকে বোল্ড করেছেন শূন্য রানে। ক্যারিয়ারে ১৭ বার ইনিংসে ৬ বার এর বেশি উইকেট পেলেন রাজ্জাক। তবে কোনোবারই এতো রান (১৭৮) খরচ করতে হয়নি তাকে। এর আগে ২০১১ সালে বরিশালের সঙ্গে ৮ উইকেট নিতে ১২৩ রান দিয়েছিলেন খুলনার স্পিনার।
৫৪৬ রানের বোঝা নিয়ে সাউথ জোনের দুই ওপেনার শুরু করেছিলেন ধীর-স্থিরভাবেই। ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি ভেঙ্গেছে সোহাগ গাজির বলে। এলবিডাব্লিউ হয়েছেন সৌম্য সরকার, ১৯ রানে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ওপেনার নিজের প্রথম ইনিংসে তাই বার্তা পাঠাতে পারেননি কোনও। সৌম্যকে খানিকবাদেই অনুসরণ করেছেন জাতীয় দলে তার পূর্বসূরি ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস। নাজমুল অপুর বলে তিনি ক্যাচ দিয়েছেন অলক কাপালিকে, ২৯ রানে। এর মধ্যে ছয়টি চারই মেরেছেন তিনি।
প্রথম উইকেটের ১৬ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটও হারিয়েছে সাউথ জোন। মেহেদি হাসান বোল্ড হয়েছেন সোহাগের বলে। এরপর অবশ্য উইকেট পড়েনি আর। ২২ রানে অপরাজিত থাকা তুষার ইমরানের সঙ্গী জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া আরেক ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন। ৯৯ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ে তিনি অপরাজিত ৪২ রানে।
কাল নির্বাচকদের জন্য কোনও বার্তা পাঠাবেন তিনি?