• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    লিভারপুল দেখাল, সিটিও হারতে পারে

    লিভারপুল দেখাল, সিটিও হারতে পারে    

    ১০ মিনিটে ৩ গোল, প্রথমার্ধে সমতায় থাকা ম্যাচের স্কোরলাইন নিমিষেই ৪-১! ৬৯ মিনিটে লিভারপুলের সহজ জয় দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু প্রতিপক্ষ যে ম্যানচেস্টার সিটি, শেষটা তাই একপেশে হয় কী করে? শেষ দিকে দুই গোল শোধ দিয়ে সেই ম্যাচেই প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিল সিটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অবশ্য হার এড়াতে পারেনি তারা। ৪-৩ গোলে লিভারপুলের কাছে হেরে অ্যানফিল্ডেই শেষ হয়েছে পেপ গার্দিওলার অপরাজিত থাকার রেকর্ড। গত বছর এপ্রিলের পর প্রথমবার লিগে কোনো ম্যাচ হারল ম্যান সিটি।

    অ্যানফিল্ডে ম্যান সিটির সবশেষ জয় ২০০৩ সালে! আগের চার বছরই এখান থেকে তাদের ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। শেষ পর্যন্ত সেখানেই টানা জয়ের রেকর্ডটাও হাতছাড়া হল গার্দিওলার। 


    ম্যাচের শুরুটাই অবশ্য রোমাঞ্চের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল। ৯ মিনিটেই ঘরের দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলেইন। ফিলিপ কুতিনিয়োর জায়গায় সুযোগ পেয়ে চেম্বারলাইনের করা গোলের ধরনটাও ছিল তার মতোই! গোল হজম করে ম্যাচে ফেরার সবরকম চেষ্টা চালিয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ডি ব্রুইন, আগুয়েরোরা। উলটো বল দখলের লড়াইয়ে টেক্কা দিয়ে বারবারই সিটির রক্ষণে জন্য ঝামেলার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন সালাহ, ফিরমিনোরা।



    প্রথমার্ধের ৫ মিনিট বাকি থাকতে নিজেদের ভুলেই গোল খেয়ে বসে লিভারপুল। প্রথমে লং বল ক্লিয়ার করতে ভুল করেন গোমেজ, সেখান থেকেই আক্রমণে যান লিরয় সানে। পরের ভুলটা লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস ক্যারিয়াসের। সানের নেওয়া নেয়ার পোস্টের শট আটকাতে ব্যর্থ হন তিনি, সমতায় ফেরে সিটি। 

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও সিটির দাপট থাকলেও সময়ের সাথেই ম্যাচে ফিরে আসে লিভারপুল। ৫৯ মিনিটে আবারও চেম্বারলেইন, এবার তিনি গোলের উৎস। তার দেওয়া পাস থেকে সিটি গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চিপ করে জালে বল জড়ান রবার্তো ফিরমিনো। আরও একবার পিছিয়ে পড়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সিটির রক্ষণ।

    প্রথমার্ধে  লিভারপুলের রক্ষণের ভুলগুলো তাই শেষ পর্যন্ত আড়াল হয়ে গেছে সিটি ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতায়। ৬১ মিনিটে  নিকোলাস অটামেন্ডির ভুল থেকে বল পেয়ে যান মোহাম্মদ সালাহ। সেখান থেকে ডিবক্সের ঠিক বাইরে বল পান সাদিও মানে, বাঁ পায়ের শটে জালে বল জড়ান তিনি। মানে অবশ্য গোলটা কয়েক সেকেন্ড আগেই পেতে পারতেন। কিন্তু সেবার গোলপোস্ট থেকে ফেরত আসে তার নেওয়া শট।

    ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে ম্যাচ তখন লিভারপুলের নিয়ন্ত্রণেই, আর কপদের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত সিটি ডিফেন্ডাররা। ৬৮ মিনিটে এমনই এক আক্রমণ সামলাতে নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল এডারসন মোরায়েসকে। সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের ক্লিয়ার করা বল চলে যায় সালাহর কাছে। সেখান থেকেই সোজা জালে বল জড়ান সালাহ। 

    সেপ্টেম্বরে সিটির কাছে ৫-০ গোলের হারটাই ফেরত দেবেন কপ, তখনও পর্যন্ত এমনটাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৮৪ মিনিটে বার্নার্দো সিলভা এক গোল শোধ দিয়ে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। ৯০ মিনিটে ইকায়ি গুন্ডোয়ান গোল করে চিন্তায়েই ফেলে দিয়েছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপকে।

    অবশ্য শেষ পর্যন্ত আর পয়েন্ট হারাতে হয়নি লিভারপুলকে। ৪-৩ গোলের জয়ের সাথে মুখে চওড়া হাসি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ক্লপ।