• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    বাংলাদেশের ব্যাটিং দুঃস্বপ্নের দিনে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

    বাংলাদেশের ব্যাটিং দুঃস্বপ্নের দিনে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা    

    বাংলাদেশ ৮২
    শ্রীলঙ্কা ৮৩/০, ১১.৫ ওভার

    ফল- শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জয়ী

     

    ১০০ রানের নিচে বাংলাদেশ শেষবার অল-আউট হয়েছিল ২০১৪ সালে, সেন্ট জর্জে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত রুপ নিল ফাইনালের পোশাকি মহড়ায়, সে ম্যাচে বাংলাদেশের সেই স্মৃতি ফিরে এলো আবার। ১০ উইকেটে হারের স্মৃতিটা অবশ্য সে তুলনায় তরতাজাই- দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে।। ফিরে এলো এ স্মৃতিটাও।  

     

     

    ২২৯ বল বাকি থাকতে জিতলো শ্রীলঙ্কা, বল বাকি থাকার হিসেবে যেটি তাদের ৫ম বৃহত্তম জয়।
     

    চাইলে বাংলাদেশের উইকেটগুলোর শ্রেণিবিভাগ করা যায়।

     

    এক- সুযোগের অপূর্ব ‘অসদ্ব্যবহার’। এনামুল, নাসির, সাব্বির। তিনজনেরই সুযোগ ছিল, কিছু করে দেখানোর। এনামুল ব্যাটিংয়ে পায়ের কাজ আছে, সেটা ভুলে গেলেন, বল ডেকে আনলেন স্টাম্পে। সাব্বির হুট করে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে মিড-অনের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন মিড-অনেই। তার শটটা এতোটাই দৃষ্টিকটু, অন্যপ্রান্ত থেকে মুশফিককেও বিরক্ত মনে হচ্ছিল! নাসির আরেক কাঠি সরেস, যে বলটা লেগসাইডে ওয়াইডের চেয়েও বেশি কিছু হতে পারতো, নাসির সেটাতেই ব্যাট চালিয়ে দিলেন।

     

    দুই- ‘দায়িত্ব কেন নেব?’ মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ। ১৬ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যখন ইনিংস মেরামত করার দায়িত্ব তাদের, মাহমুদউল্লাহ হয়ে পড়লেন অধৈর্য্য। শর্ট বলে হুক করলেন, তবে সেটা সোজা গেল ডিপ ফাইন লেগে ফিল্ডারের হাতে। এরপরও একা দাঁড়িয়ে ছিলেন মুশফিক, তার ধৈর্য্যের বাঁধও ভাঙলো, স্লগ করতে গিয়ে মিসটাইমিংয়ে দিলেন ক্যাচ।

     

    তিন- ‘কিছুই করার নেই’।  মাশরাফি, রুবেল। ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খাঁটি ব্যাটসম্যানদের মতো তাদের কাছ থেকে ব্যাটিং আশা করাটা বাড়াবাড়ি। দুইজনই সান্দাকানকে বড় শট খেলতে গিয়ে দিয়েছেন ক্যাচ।

     

    চার- ‘গুনাথিলাকার উইকেট’। তামিম, সাকিব। দুজনই বলতে গেলে ফিল্ডার দানুশকা গুনাথিলাকার শিকার। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে কাভার-পয়েন্টে এসে ফিল্ডিংয়ের পর সরাসরি ভেঙ্গেছেন স্টাম্প। লাকমালের বাউন্সারের প্রথমে বিস্মিত হয়েছেন তামিম, তার ব্যাটে লেগে বল আকাশে থাকল বেশ কিছুক্ষণ, যেন গুণাথিলাকাকে মানব থেকে অতিমানব হয়ে ওঠার সুযোগ দিল সেটা। সেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকেই গালিতে গিয়ে লাফ দিয়ে গুণাথিলাকা নিলেন অসাধারণ এর চেয়েও দারুণ এক ক্যাচ।

     

    পাঁচ- ‘মতিভ্রম’। আবুল হাসান। পেরেরার ফুললেংথের বলে বিশাল ইনসাইড-এজ, ডিকভেলা ডাইভ দিয়ে ভাল ক্যাচ নিলেন। কিন্তু আবুল কেন রিভিউ নিলেন? তাও আবার মুশফিকের সঙ্গে আলোচনা করে? উত্তর নেই।

     

    যেমন উত্তর নেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়েরও।

     

    আর পরের ইনিংসে উপুল থারাঙ্গা ও দানুশকা গুণাথিলাকার ব্যাটিং তো প্রশ্নটাকেই আরও বড় করে তুললো শুধু!