• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    সালাহকে জিততে দিলেন না কেইন

    সালাহকে জিততে দিলেন না কেইন    

    ৮৭ মিনিটে পেনাল্টিতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল টটেনহাম হটস্পার। হ্যারি কেইনের নেওয়া স্পটকিক ঠেকিয়ে দিয়ে লিভারপুলকে ম্যাচে টিকিয়েও রেখেছিলেন  লরিস ক্যারিয়াস। লিভারপুল গোলরক্ষকের সাথে কেইনের আফসোসটা পরে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ, ৯১ মিনিটে গোল করে। নাটকের সবটাই বাকি তখনও। ৯৩ মিনিটে লাইনসম্যানের সিদ্ধান্তে আবারও পেনাল্টি পেল টটেনহাম। অ্যানফিল্ডে এবার দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ কেইনের। এবার হাসলেন কেইনই। শেষ মুহুর্তের ওই গোলে নিশ্চত করলেন দলের জন্য এক পয়েন্ট। অ্যানফিল্ডে ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলানোর ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হল ২-২ গোলে।



    অথচ ম্যাচের বেশিরভার সময় পিছিয়েই ছিল টটেনহাম।  মাত্র ৩ মিনিটেই ভুল করে বসেন এরিক ডায়ার। সেখান থেকে বল পেয়ে যান সালাহ। গোলরক্ষকের সাথে ওয়ান অন ওয়ানে ভুল করেননি লিভারপুল ফরোয়ার্ড। শুরুতেই এগিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। ঘরের মাঠে আরও একবার দারুণ শুরু করে লিভারপুল। প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু জেমস মিলনার, রবার্তো ফিরমিনোরা দুই গোলের লিড এনে দিতে পারেননি দলকে। সেই তুলনায় স্পার্সের আক্রমণভাগ ছিল নিষ্প্রভ। বলার মতো তেমন সুযোগ পেয়েছিল অল্পই। প্রথমার্ধে মুসা ডেম্বেলেই যা একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার নেওয়া হাফভলি ঠেকিয়ে দেন ক্যারিয়াস।

    প্রথমার্ধে লিভারপুলের সাথে পেরে না উঠলেও বিরতির পর খেলার নিয়ন্ত্রণ ছিল স্পার্সের হাতেই। বিরতির পরই সমতায় ফিরতে পারত তারা। কিন্তু হিউ মিং সনের শট আবারও বাধা পায় ক্যারিয়াসের কাছে। শেষ পর্যন্ত ৭৯ মিনিটে ভিক্টর ওয়ানিয়েমাকে মাঠে নামিয়েই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন মারুসিও পচেত্তিনো। মাঠে নামার এক মিনিটের মধ্যেই গোল করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন ওয়ানিয়েমা। দূরপাল্লার শটে টপ কর্নারে বল জড়ান স্পার্স মিডফিল্ডার।

     

    সমতায় থাকা ম্যাচে ৮৭ মিনিটে কেইনকে ফাউল করে স্পার্সকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন ক্যারিয়াস। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য রেফারি আর লাইনসম্যানের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ চলে কথা-বার্তা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রেফারি তাঁর সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। কিন্তু কাজের কাজটা করতে পারেননি কেইন। পেনাল্টি কিকটা মেরেছিলেন সোজাসুজি। গোলরক্ষক ক্যারিয়াস সহজেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেইনের নেওয়া শট। ফিরতি শট থেকেও গোল করতে পারেননি এরিক লামেলা।

    স্পার্স পেনাল্টি মিসের হতাশা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেক প্রান্তে গোল করে বসেন সালাহ। ৯১ মিনিটে স্পার্সের ডিবক্সের ভেতর কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দেখার মতো এক গোল করেন মিশরিয় ফরোয়ার্ড। জোড়া গোল করে ম্যাচটা তখন নিজেরই করে নিয়েছিলেন সালাহ।

    ৯৫ মিনিটে লামেলাকে ফাউল করে বসেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। রেফারির চোখ এড়িয়ে গেলেও, লাইনসম্যানকে ফাঁকি দিতে পারেননি লিভারপুল ডিফেন্ডার। আরও একবার রেফারির সাথে আলোচনা করেন লাইনসম্যান। এবার রেফারি সিদ্ধান্ত বদলালেন, আবারও পেনাল্টি পেল টটেনহাম। সেখান থেকেই গোল করে দলের হার এড়ালেন কেইন। সাথে প্রিমিয়ার লিগে নিজের শততম গোলটিও তুলে নিলেন আজই।