• বাংলাদেশ-শ্রীলংকা
  • " />

     

    নতুনদের আরও সময় দিতে বলছেন তামিম

    নতুনদের আরও সময় দিতে বলছেন তামিম    

    ৫ জন নতুন মুখের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে আজ যোগ হয়েছেন আরও একজন- বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। তাদের দলে আসাটা ‘প্রাপ্য’ হিসেবেই দেখছেন তামিম ইকবাল। তাদেরকে আরেকটু বেশি সময় দিয়ে থিতু হওয়ার সুযোগ দেওয়ার পক্ষেও তিনি। 

    ‘আমি দুই তিন জনের নাম উল্লেখ করি। বিশেষ করে আবু জায়েদের আমার কাছে মনে হয় এটা বেশি প্রাপ্য। কারণ গত দুই বছর ধরে বিপিএলে বোলিংয়ে শীর্ষ পারফরমার সে। আরিফুল হকও শেষ দুই-তিন বছর ধরে বিপিএলে সমানভাবে ভাল খেলে যাচ্ছে। আর আমরা সবসময় যে কথা বলি এমন একজনকে নিয়ে, যে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারে- আমার মনে হয় আরিফুল তেমনই একজন’, নতুনদেরকে নিয়ে বলেছেন তামিম।  

    ‘যারা আরও নতুন আছেন, একজন (মেহেদী হাসান) আমার সাথে খেলেছেন। আমি মনে করি সে বিশালহৃদয় একজন। তবুও, আমার কাছে মনে হয় না যে, এই দুই ম্যাচ অথবা সামনে আরও তিন চারটা ম্যাচ দেখে ওকে বিচার করা উচিত। কারণ এটা খুবই নতুন একটা ব্যাপার তার কাছে। আশা করবো প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজের একটা অবস্থান দলে করে ফেলবে- যখনই ও খেলে। যদি না করে, তাহলে তাকে আমাদের সময় দিতে হবে।’ 

    তামিম আরও বলছেন, ‘আমি নিশ্চিত, যারাই ওকে নির্বাচিত করেছেন, তার সামর্থ্য ও দক্ষতা দেখেই এটা করেছেন। তাই আশা করবো, তাকে পর্যাপ্ত সময়ও দেওয়া হবে।’ 

    অবশ্য শ্রীলঙ্কার এই সফরে ক্রিকেটাররা ঠিক 'সময়' পাননি যেন। তামিমের ওপেনিং সঙ্গী এনামুল হক ৩ বছর পর দলে সুযোগ পেয়েও যেমন বাদ পড়েছিলেন ফাইনালের আগে। নাজমুল অপুকে নিয়ে তিন ফরম্যাটে ডাকা হলো ৩৫ জনকে। তাদেরকে নিয়েও তামিমের কথায় একই সুর, সময়টা আরেকটু বেশি দেওয়া উচিৎ, ‘দেখেন, আমার কাছে মনে হয় যে কোনো ক্রিকেটার লাগাতার দুই বা তিন বছর ঘরোয়াতে পারফর্ম করছে, জাতীয় দলে আসার পর তার একটা বা তিন-চারটা খারাপ ম্যাচ হতেই পারে।’

    ‘একজনকে ওই সময় সরিয়ে দেওয়াটা আমার মনে হয় না কোনো সমাধান। আমি মনে করি, যখনই তাকে নির্বাচন করা হয়, ওর মধ্যে ওই সামর্থ্য আছে এটাই চিন্তা করা হয়। ওকে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে। এরকম না, আমরা অনেক অনেক খেলোয়াড় প্রস্তুত করছি। আমরা খেলোয়াড় প্রস্তুত করছি, বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়েও- কিন্তু যখন একজন আসে, অন্তত সবার সন্তষ্টির জন্য তাকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ আমার মনে হয় এখানে একটা বড় ঘাটতি থাকে। ওখানে খাপ খাইয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। তারা যদি মনে করে বাংলাদেশের হয়ে ভালো করার ওর সামর্থ্য আছে, তাকে তাহলে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত।’

    সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি নিয়ে যুতসই পরিকল্পনার এটাকেই উপযুক্ত সময় মনে হচ্ছে তার, ‘আমরা সাধারণত টি-টোয়েন্টি খেলতাম খুবই কম। কিন্তু আপনি যদি আমাদের পরবর্তী ৬ মাস বা এক বছরের সূচি দেখেন, আমরা কিন্তু প্রচুর পরিমান টি টোয়েন্টি খেলবো। আমার কাছে তাই মনে হয়, যে কোনো ধরনের ভারসাম্য বা কোন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগুবো, সেটা ঠিক করার এখনই গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ ২০২০ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির আগে আমাদের পর্যাপ্ত সময় আছে।’