• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    মেসি-রোনালদো যেখানে নেইমারের ধারেকাছেও নেই

    মেসি-রোনালদো যেখানে নেইমারের ধারেকাছেও নেই    

    প্রিমিয়ার লিগ বা সিরি আ তে না হয় একটু শরীরী বা গা জোয়ারী খেলা চলে, লা লিগায় তো ফাউলের বাঁশিটা অল্পতেই বাজে। কিন্তু মেসি-রোনালদো-সুয়ারেজদের কেউ নন, একটা জায়গায় নেইমার ইউরোপেই সবার ওপরে। এই মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি ফাউল করা হয়েছে নেইমারকেই।

    তালিকাটাই আপনাকে একটু চমকে দিতে পারে। সবচেয়ে বেশি বার যাদের ফাউল করা হয়েছে, তাঁদের প্রথম দশ জনেও মেসি-রোনালদো-সুয়ারেজদের কেউই নেই। ইংলিশ লিগের দুজন থাকলেও এর মধ্যে নেই হ্যারি কেন-লুকাকু বা বড় কোনো স্ট্রাইকার। ইংলিশ লিগে এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ফাউল করা হয়েছে ওয়ার্টফোর্ডের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্ডলিসনকে।

    সবার ওপরে আছেন নেইমার, এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত তাঁকে লিগে ৯৬ বার ফাউল করা হয়েছে, প্রতি ১৭ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে যা একবার। তালিকার প্রথম দশজনের চারজনই লিগ ওয়ানের, নেইমারের পড়েই আছেন লিঁওর নাবিল ফেকির। তাঁকে ফাউল করা হয়েছে ৮৭ বার।

    এমনকি শীর্ষ দশে আছেন পিএসজির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মার্কো ভেরাত্তিও, যেখানে প্রাধান্য থাকার কথা স্ট্রাইকারদের। শীর্ষ দশে থাকা শালকের এমিন হেরিত বা গুইনাম্পের জিমি ব্রায়ান্ডের নামও আপনার কাছে অচেনা ঠেকতে পারে।  

    এখন পর্যন্ত পিএসজির হয়ে লিগে এই মৌসুমে ১৯ গোল করেছেন নেইমার, গোল করিয়েছেন ১২টি। গত মৌসুমেও বার্সেলোনার হয়ে প্রচুর ফাউলের শিকার হয়েছিলেন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সেবার তাঁর চেয়ে বেশি ফাউল করা হয়েছিল শুধু বুন্দেসলিগার ক্লাব ইঙ্গলস্টাডের দারিও লেজকানকে।  

    সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার শীর্ষ দশ

     

    নেইমার (পিএসজি, লিগ ওয়ান)

    নাবিল ফেকির (লিঁও, লিগ ওয়ান)

    বোর্হা গার্সিয়া (জিরোনা, লা লিগা)

    মুনির (আলাভেস, লা লিগা)

    রিচার্লিসন (ওয়াটফোর্ড, প্রিমিয়ার লিগ)

    আমিন হেরিত (শালোকে, বুন্দেসলিগা)

    ম্যালকম (বোর্দো, লিগ ওয়ান)

    কেভিন প্রিন্স বোয়েটাং (ফ্রাঙ্কফুর্ট, বুন্দেসলিগা)

    ডেলে আলী (টটেনহাম, ইংলিশ লিগ)

    জিমি ব্রায়ান্ড (গুনাইম্প, লিগ ওয়ান)

    জোনাথন ভিয়েরা (লাস পালমাস, লা লিগা)