বৃষ্টিও আনতে পারল না সৌভাগ্য

ম্যাচশেষে বাংলাদেশ অবশ্য শুধু নিজেদেরকেই দায়ী করতে পারে। ফতুল্লার আকাশে কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে তখন, তাইজুলের বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দিলেন ধাওয়ান। কিন্তু শুভাগত সেটা ফেলে দিলেন। এরপর পরই ফতুল্লার আকাশ ভার করে নেমে এসেছে বৃষ্টি। ঘণ্টা চারেক পর আবার শুরু হয়েছে খেলা, কিন্তু বাংলাদেশের ভাগ্য তাতে বদলায়নি। এর মধ্যেই শুভাগত কয়েকবার এলবিডব্লুর বিফল আবেদন করেছেন, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
সারাদিন ভারত ব্যাট করেছে ওয়ানডে ধরনেই। ধাওয়ান সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ১০১ বলে, ওপাশ থেকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন বিজয়। দিন শেষে ধাওয়ান অপরাজিত ছিলেন ১৫০ রানে, বিজয় ৮৯ রানে আছেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায়। ভারত ২৩৯ রান নিয়ে কাল লিডটা আরও বড় করতে চাইবে।
প্রশ্ন ছিল আরও অনেকগুলোই। সকালে বাংলাদেশ দলের প্রথম একাদশই আসলে জন্ম দিয়েছে বিস্ময়ের। মোহাম্মদ শহীদ একমাত্র পেসার, স্পেশালিস্ট বোলার বলতে সঙ্গে দুই স্পিনার তাইজুল ও জুবায়ের। টেস্টে এক পেসার নিয়ে খুব বেশি খেলেনি বাংলাদেশ, অথচ যে ইতিহাসটা ভারতের ছিল, তারাই খেলিয়েছে তিন পেসার। সাধারণত টেস্ট খেলার জন্য ওয়ানডেতে বিশ্রাম দেওয়া হয়, রুবেলের ক্ষেত্রে হলো উল্টোটা।
আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশ কতটা কী করতে পারবে সেটা সময়েই বলে দেবে। তবে বৃষ্টি যেভাবে বন্ধুতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সামনের কয়েকদিনও দেওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাতে এই টেস্ট শেষ পর্যন্ত ড্রই হয়ে যেতে পারে।