শ্বাসরুদ্ধকর শেষ ওভারে জিতল তামিমের পেশোয়ার
স্কোর
পেশোয়ার জালমি ২০ ওভারে ১৫৭ (তামিম ২৭, ডওসন ৬২, মাহমুদউল্লাহ ১/২০, রাহাত ২/১৬)
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ২০ ওভারে ১৫৬/৯ ( মাহমুদউল্লাহ ১৯, সরফরাজ ৩৫, হাসান ২/২১)
পেশোয়ার ১ রানে জয়ী
লাহোরে যেন ফিরে এসেছিল প্রেমাদাসা। পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে শেষ ওভারে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের দরকার ২৫ রান। লিয়াম ডওসনের প্রথম ৫ বলে ৩ ছয় ও এক চারে ২২ রান নিলেন আনোয়ার আলি। শেষ বলে দরকার ৩ রান, লং অনের দিকে উড়িয়ে মারলেন আনোয়ার। উমাদ আসিফ মিস করলেন ক্যাচ, তবে নিজেকে সামলে নিয়ে বল ছুড়ে মারলেন বোলারের দিকে। এক রান পূর্ণ করার পর দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝিতে হল রান আউট। পিএসএলের শ্বাসরুদ্ধকর এক এলিমিনেটরে মাহমুদউল্লাহ্র কোয়েটাকে ১ রানে হারিয়েছে তামিম ইকবালের পেশোয়ার।
নিদাহাস ট্রফি শেষে পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে উড়ে গিয়েছিলেন তামিম-মাহমুদউল্লাহ। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পেশোয়ার ১০ রানের মাঝে ২ উইকেট হারালেও অন্য প্রান্তে তামিম ছিলেন অবিচল। ৫ চারে করেন ২৯ বলে ২৭। ইনিংসটা যখন আরও বড় করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন, তখনই মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে মারতে গিয়ে টম কোহলের হাতে তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম। এরপর ডওসনের ৩৫ বলে ৬২ রানের সুবাদে পেশোয়ার করে ১৫৭ রান।
কোয়েটার হয়ে বোলিংয়ে এসে মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২ ওভার, নিয়েছেন ১ উইকেট। নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই মোহাম্মদ হাফিজকে বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহ, ওই ওভারে দেন ৩ রান। দ্বিতীয় ওভারে পেটে পারতেন আরেকটি উইকেট, সাদ নাসিমের স্ট্যাম্পিং মিস করেন উইকেটকিপার। ওই ওভারে একটু খরুচে ছিলেন, দিয়েছেন ১৭ রান। এরপর আর বোলিংয়ে আনা হয়নি তাকে।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা কোয়েটাও শুরুতে দ্রুত ২ উইকেট হারায়। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজ ও সরফরাজ আহমেদের ৬৩ রানের জুটি দলকে জয়ের আশা দেখাচ্ছিল। ৮০ রানের মাথায় পরপর দুজন ফিরলে চাপে পরে দল। কোয়েটার ভরসা হিসেবে মাঠে নামেন নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই জয়ের নায়ক। তিন চার মেরে ভালো কিছু করার কিছুটা আভাসও দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাত্র ১৯ রানেই আসিফের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন। দলও শেষ ওভারে গিয়ে হেরেছে ১ রানে।