• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ, বিসিএল
  • " />

     

    ড্র ম্যাচের শেষদিনে মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরি

    ড্র ম্যাচের শেষদিনে মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরি    

    ৫ম রাউন্ড, রাজশাহী
    সাউথ জোন ১ম ইনিংস ১৯১ (ফজলে ৪০, নুরুল ২৮, এবাদত ৪/৩২, মোশাররফ ৪/৫৭) ও ২য় ইনিংস ৪৮৪/৮ ডিক্লে. (মিঠুন ১১৮, মোসাদ্দেক ১০২*, তুষার ৮৮, এনামুল ৪৫, মোশাররফ ৩/১১০)
    সেন্ট্রাল জোন (টস) ১ম ইনিংস ৩০২ (সাদমান ৯৩, শুক্কুর ৫৪, মজিদ ৪৪, সাইফ ৩০, রাজ্জাক ৬/১০৬, নাঈম ৩/৮৩) ও ২য় ইনিংস ১৫৮/৫ (মজিদ ৬০*, সাইফ ৪৩, রাজ্জাক ৩/৭৩)
    ম্যাচ ড্র


    ড্র-ই হয়েছে সাউথ জোন ও সেন্ট্রাল জোনের রাজশাহীর ম্যাচটি। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অল-আউট হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ মিঠুন ও আট নম্বরে নামা মোসাদ্দেক হোসেনের সেঞ্চুরিতে উল্টো সেন্ট্রাল জোনকেই চাপে ফেলেছিল সাউথ জোন। এরপর আব্দুর রাজ্জাক বোলিংয়ে ভীতির সঞ্চার করলেও সে আশঙ্কা কাটিয়ে উঠেছেন সেন্ট্রালের ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য এমন ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখেও সাউথ জোনের প্রাপ্তি ৭ পয়েন্ট, সেন্ট্রাল পেয়েছে ১০। 

    আগেরদিন সেঞ্চুরি করেছিলেন মিঠুন, আজ করলেন মোসাদ্দেক। ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন রাতভর, সঙ্গী জিয়াউর রহমান। সকালে জিয়া ফিরেছেন দ্রুতই, মোসাদ্দেককে এরপর সঙ্গ দিয়েছেন নাঈম হাসান। ৮ম উইকেটে দুইজনের জুটি ১২১ রানের, ৬২ বলে ৭ চারে ৪৩ রান করে নাঈম আউট হওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করেছে সাউথ জোন।


     

    বিসিএল পয়েন্ট টেবিল

    দল ম্যাচ জয় ড্র পরাজয় পয়েন্ট
    নর্থ জোন ৫৮
    সাউথ জোন ৪৪
    ইস্ট জোন ৪০
    সেন্ট্রাল জোন ৩৯

     


    মোসাদ্দেক যেন দিনটিকে নিয়েছিলেন নিজের আত্মবিশ্বাসকে আরেকধাপ উঁচুতে তোলার সুযোগ হিসেবে। চোখের ইনফেকশনে গত বছরটা কাটিয়েছেন প্রায় মাঠের বাইরেই, এ বছর পড়লেন বিসিবির চুক্তি থেকে বাদ। ফর্মেই আছেন, আজ সেটাকেই তুললেন তুঙ্গে। ১০৭ বল খেলেই করলেন ১০২ রান, ১০টি চারের সঙ্গে ৪টি চার। প্রথম শ্রেণিতে এটি এই ডানহাতির ৯ম সেঞ্চুরি। এর আগে এতো নিচে খেলে সেঞ্চুরি করেননি তিনি। 

    ৩৭৫ রানের লক্ষ্য, সেন্ট্রাল জোন খেললো অতি সতর্ক হয়ে। প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে ১৮তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সাউথ জোনকে, কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন সাদমান, ১৮ রানে। এরপরের উইকেট ২৯তম ওভারে, আব্দুর রাজ্জাকের বলে স্টাম্পড সাইফ হাসান, করেছেন ৪৬। এরপর ২১ রানের ব্যবধানে মার্শাল আইয়ুব, তানভীর হায়দার ও ইরফান শুক্কুরকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল সেন্ট্রাল জোন, এর মধ্যে দুইটি নিয়েছিলেন রাজ্জাক। তবে শেষ পর্যন্ত ছিলেন আব্দুল মজিদ। ১১০ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে অপরাজিত ছিলেন ৬০ রানে। নয় উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা রাজ্জাক।