• বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ, বিসিএল
  • " />

     

    রাজ্জাকের ৫ উইকেটে প্রথম দিনেই বোনাস পয়েন্ট সাউথের

    রাজ্জাকের ৫ উইকেটে প্রথম দিনেই বোনাস পয়েন্ট সাউথের    

    শেষ রাউন্ড, খুলনা 
    ১ম দিনশেষে
    নর্থ জোন ১ম ইনিংস ১৮৭ (সোহরাওয়ার্দি ৫৯*, শান্ত ৫০, রাজ্জাক ৫/৫৩, সাকলাইন ২/২০)
    সাউথ জোন (টস) ১ম ইনিংস ১১৫/১ (এনামুল ৫২*, ইমরুল ৫১*, শফিউল ১/২৮)
    সাউথ জোন ইনিংসে ৭২ রানে পিছিয়ে 


    ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ১৩। শিরোপা জিততে শুধু নর্থ জোনকে হারালেই চলবে না সাউথ জোনের, লাগবে বোনাস পয়েন্টও। প্রথম দিন প্রথম ইনিংসেই নিজেদের ‘বোনাস’ কাজটা সেরে রাখলো সাউথ জোন। সবচেয়ে বড় কর্মী এখানে সেই অভিজ্ঞ সেনানি- আব্দুর রাজ্জাক। তার ক্যারিয়ারের ৩৩তম ৫ উইকেটেই প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানে অল-আউট হয়ে গেছে নর্থ জোন, দিনশেষে সাউথ জোন ১ উইকেট হারিয়ে করেছে ১১৫ রান। অল-আউট করে ৩টি বোনাস পয়েন্টের পর প্রথম ইনিংসে লিডের সঙ্গে আরও একটি বোনাস পয়েন্টও উঁকি দিচ্ছে সাউথ জোনের। 

    খুলনায় টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন সাউথ জোন অধিনায়ক নুরুল হাসান, তাদেরকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০১০ সালের পর ৭ম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছেন মাশরাফি, ১২ ওভারে ২ মেডেনসহ ৪৯ রান দিয়ে নিয়েছেন জুনাইদ সিদ্দিকির উইকেট। মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন নর্থ জোন ওপেনার, দলীয় ১৩ রানেই।  

    নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মিজানুর রহমানের ৩৭ রানের জুটিতে সে চাপ কমেনি, সাকলাইন সজীবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিজানুর। এরপর ফরহাদ খানিকটা সঙ্গ দিয়েছেন শান্তকে, সাকলাইনের দ্বিতীয় শিকার বনে যাওয়ার আগে। শান্তকে একপাশে রেখে এরপর যাওয়া-আসার কাজটা দ্রুতই করেছেন উত্তরের ব্যাটসম্যানরা। ১৫ রানের ব্যবধানেই তারা হারিয়েছে ফরহাদসহ ৪ উইকেট। 

     

     

    বাকি ৩টি উইকেটই রাজ্জাকের। জহুরুল ইসলাম ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল হক হয়েছেন বোল্ড, ধীমান ঘোষ হয়েছেন এলবিডাব্লিউ- তিনজন মিলে করেছেন ৮ রান। লড়াইয়ের ব্যাটনটা সোহরাওয়ার্দি শুভকে দিয়ে এরপর কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে কট-বিহাইন্ড শান্ত, ৫০ রানে। 

    ফরহাদ রেজা হয়েছেন রান-আউট, এরপর আবার ধাক্কা রাজ্জাকের। তাইজুল ইসলাম ও শফিউল ইসলাম- দুইজনই দিয়েছেন ক্যাচ, রাজ্জাকের পঞ্চম শিকার শফিউল, নর্থ জোনও অল-আউট তখনই। ওপাশে লড়াই করে যাওয়া সোহরাওয়ার্দি অপরাজিত থাকলেন ৮৪ বলে ৮ চারে ৫৯ রানে, সঙ্গীই পেলেন না আর! 

    দলীয় ২১ রানে সৌম্য সরকার এলবিডাব্লিউ হয়েছেন শফিউলের বলে, নর্থ জোনের একমাত্র সাফল্য সেটিই। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এনামুল হক ও ইমরুল কায়েস, দুইজনই করেছেন ফিফটি। এনামুলের রান দিনশেষে ৫২, ইমরুলের ৫১, দুইজনই খেলেছেন ৭৯টি করে বল।