মজিদের ডাবল সেঞ্চুরির জবাবে লিটনের ৯০ বলের সেঞ্চুরি
শেষ রাউন্ড, রাজশাহী
২য় দিনশেষে
সেন্ট্রাল জোন (টস) ১ম ইনিংস ৫৪৬ অল-আউট (মজিদ ২০৫, সাদমান ১১২, শুভাগত ৭১, গাজি ৫/১৮৮)
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ২৬৪/৩* (লিটন ১৩৯*, তাসামুল ৬৭, আফিফ ৩১*, শুভাগত ২/৮২)
ইস্ট জোন ইনিংসে ৭ উইকেটে নিয়ে ২৮২ রানে পিছিয়ে
আগের দিন ১৫৯ রান করে মাংসপেশিতে টান পেয়ে উঠে গিয়েছিলেন আব্দুল মজিদ। সাদমান ইসলামের মতো তিনিও ফিরে এলেন, এসে করলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এরপর লিটন দাস করলেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। সেন্ট্রাল জোনের জবাবটা ভালই এবং দ্রুতগতিতে দিচ্ছে ইস্ট জোন, তারা লিডটা নামিয়ে এনেছে ২৮২ রানে, ৭ উইকেট নিয়ে। ইস্ট জোন রান তুলেছে ৫.৭৩ হারে!
এনামুল হক জুনিয়রকে তিন বলের ব্যবধানে ছয়-চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মজিদ, ২৩০ বলে। তার বলেই ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৪৬ বলে মজিদ করেছেন ২০৫ রান, ২২টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৮টি ছয়। সঙ্গে শুভাগত হোমের ৭১, মোহাম্মদ শরিফের ৪১ রানের ইনিংসে ৫৪৬ রান তুলেছে সেন্ট্রাল জোন। আগের দিন ৩ উইকেট নেওয়া সোহাগ গাজি এদিন নিয়েছেন আরও ২টি, এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ২০ বার ইনিংসে ৫ বা এর বেশি উইকেট পেলেন এই অফস্পিনার।
ব্যাটিংয়ে সেন্ট্রাল জোন পেয়েছে ৫টি বোনাস পয়েন্ট, বোলিংয়ে ইস্ট জোন পেয়েছে ২টি।
এরপর লিটন দাস ও মেহেদি মারুফের ওপেনিং জুটি টিকেছে ৪৬ রান পর্যন্ত। দ্রুতই ফিরেছেন মুমিনুল হকও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে নিজের আত্মবিশ্বাসটা ঠিক উঁচুতে নিতে পারলেন না তিনি এখনও। তাসামুল হক অবশ্য দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন লিটনকে, দুইজন মিলে তৃতীয় উইকেটে তুলেছেন ১৪৮ রান।
শুভাগত হোমকে মুমিনুলের মতোই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে তাসামুল করেছেন ৬৭। আর ঝড় তুলেছেন লিটন। ৯০ বলে পূর্ণ করেছেন সেঞ্চুরি, দিনশেষে অপরাজিত আছেন ১২৫ বলে ১৩৯ রানে, ২৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। সঙ্গী আফিফ হোসেনের রান ৩১।