লিটনের আক্ষেপভরা ২৭৪, আফিফের ১৪২
শেষ রাউন্ড, রাজশাহী
৩য় দিনশেষে
সেন্ট্রাল জোন (টস) ১ম ইনিংস ৫৪৬ অল-আউট (মজিদ ২০৫, সাদমান ১১২, শুভাগত ৭১, গাজি ৫/১৮৮)
ইস্ট জোন ১ম ইনিংস ৫৯২/৬* (লিটন ২৭৪, আফিফ ১৪২, তাসামুল ৬৭, শুভাগত ৩/১৫৬)
ইস্ট জোন ইনিংসে ৪ উইকেটে নিয়ে ৪৬ রানে এগিয়ে
রকিবুল হোসেন প্রায় এক যুগ অপেক্ষা করে আছেন। প্রথম শ্রেণিতে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি তার, দ্বিতীয়জনের অপেক্ষায় তিনি। গত জাতীয় লিগে খুব কাছে গিয়েছিলেন নাসির হোসেন, দরজায় কড়া নেড়ে ফিরে এসেছিলেন ৫ রানের জন্য। আজ লিটন দাস দরজায় কড়া না নাড়লেও সদর দরজা দিয়ে ঢুকেই গিয়েছিলেন। ইস্ট জোনের ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২৭৪ রানে। সঙ্গে আফিফ করেছেন ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি, মাত্র ৮ম ম্যাচ খেলছেন তিনি।
গতকালই ৯০ বলের ঝড়ো সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন, অপরাজিত ছিলেন ১৩৯ রানে। আজ ১৪০ বলে পূরণ করেছেন ১৫০, ইলিয়াস সানিকে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ১৯০ বলে। ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি লিটনের, এর আগেরটি করেছিলেন গত মৌসুমের বিসিএলে, এই দলের হয়ে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস
রকিবুল হাসান, ৩১৩*, বরিশাল-সিলেট, ফতুল্লা, ২০০৬-০৭
নাসির হোসেন, ২৯৫, রংপুর-বরিশাল, চট্টগ্রাম, ২০১৭-১৮
মার্শাল আইয়ুব, ২৮৯, সেন্ট্রাল জোন-ইস্ট জোন, বগুড়া, ২০১২-১৩
মোসাদ্দেক হোসেন, ২৮২, বরিশাল-চট্টগ্রাম, বিকেএসপি, ২০১৪-১৫
লিটন দাস, ২৭৪, ইস্ট জোন-সেন্ট্রাল জোন, রাজশাহী, ২০১৭-১৮
লিটন এরপর একটু ধীরগতির হয়ে গেছেন, পরের ফিফটি করতে খেলেছেন ৫৪ বল। ইলিয়াস সানির বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে খেলেছেন ২৯৩ বল, ৩৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়। এর মাঝেই আউট হয়েছেন তার দীর্ঘক্ষণের সঙ্গী আফিফ হোসেন ও অলক কাপালি। লিটনের ২৭৪ রানের ইনিংসে অবশ্য ম্লান হচ্ছে না আফিফ হোসেনের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। ২২৭ বলে ১৫ চার ও ৫ ছয়ে ১৪২ রান করেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। লিটনের সঙ্গে ৪র্থ উইকেটে তার জুটি ২৯৮ রানের।
৬ উইকেটে ৫৯২ রানে দিন শেষ করেছে সেন্ট্রাল জোন, জাকের আলি অপরাজিত আছেন ৩২ রানে, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২৯ রানে। অন্য ম্যাচ জিতে শিরোপা জিতেছে সাউথ জোন, এই ডেড রাবারে তাই সহসাই হয়তো ইনিংস ঘোষণা করবেন না মুমিনুল হক!