• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    আত্মবিশ্বাসটা একই আছে মোসাদ্দেকের

    আত্মবিশ্বাসটা একই আছে মোসাদ্দেকের    

    গত বছরের জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলেছিলেন সর্বশেষ। টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন আরও আগে, শ্রীলঙ্কা সফরে এপ্রিলে। মোসাদ্দেক হোসেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে ফিরেছেন, বিরতিটা আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে পারেনি এই অলরাউন্ডারের। 

    “বিরতিটা ছোট না আমার কাছে। অনেক বড়, প্রায় এক বছর পর আমি আবার রঙিন পোশাকে খেলব  বাংলাদেশ দলের হয়ে। আমার কাছে এটা ভালো লাগারই বিষয়। নতুন সুযোগ আমার জন্য”, দলে ডাক পাওয়ার পর মোসাদ্দেক বলছেন, “নিজের ওপর বিশ্বাসটা আমারও আছে। একজন খেলোয়াড়ের ভালো সময়, খারাপ সময় যাবে এটাই স্বাভাবিক। আমার খারাপ সময় গেছে। সামনে কী হবে বলতে পারব না। তবে আমার চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।”

    এই সিরিজে দলে ডাক পাওয়া নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি, “আমি জাতীয় দলে যতটুকু খেলেছি, আমার নিজের যতটা আত্মবিশ্বাস আছে এবং যেমন ‘রেপুটেশনের’ খেলোয়াড় আমি, সব ঠিক থাকলে এবং পারফরম্যান্স ঠিক থাকে, তাহলে বাদ পড়ার কথা না। ওই একটা বিরতি, একটা অতীত আমার জন্য। ওটা নিয়ে চিন্তা করছি না। সামনে যা তা নিয়েই ভাবছি।”

    “যদি আমি চিন্তা করি অনেক কিছুই করে ফেলব তাহলে এটার ফলাফল কিছুই আসবে না। আমি যদি চিন্তা করি আমি আমার জায়গাতে থাকব, আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে হয়ত এখান থেকে অনেক ভালো কিছু করতে পারব।”

    ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বড় স্কোর গড়তে না পারলেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ শেষ করে এসেছেন আবাহনীর হয়ে। মোসাদ্দেক ভাবছেন সেটা নিয়েই, “প্রিমিয়ার লিগের শেষ ১০ ম্যাচের অনেকগুলোতেই আমি অপরাজিত ছিলাম। এটা আমার জন্যে অনেক প্লাস পয়েন্ট যে অপরাজিত ছিলাম। কত রান করেছি সেটা মুখ্য না। ওটা নিয়েই ভাবছি।” 

     

     

    পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে তার অস্বস্তি নিয়ে যে কথা আছে, তার জবাবটা সময়ের হাতেই তুলে দিয়েছেন তিনি, “আমি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে হয়ত ২৫-২৬টা ম্যাচ খেলেছি। এরমধ্যে তিন থেকে চারটা হয়ত দেশের মাটিতে খেলছি। বাকি সব ম্যাচ দেশের বাইরে। তো আমার যে সফলতাগুলো  আছে সব দেশের বাইরে। সব পেস কন্ডিশন।  এটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে আমি পেস বলে ভালো না স্পিন বলে ভালো। সেটা হয়ত সময়ই বলে দেবে।”

     

    তবে দলে অলরাউন্ডার হিসেবেই নেওয়া হয়েছে মোসাদ্দেককে, মূলত মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাক-আপ হিসেবেই ঢুকেছেন দলে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন বলছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়াটা ভিন্ন বিষয়, আফগানিস্তান সিরিজে প্রাধান্য পাচ্ছে তার বোলিং স্কিল, “আমরা মনে করছি টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করার যথেস্ট স্কিল আছে মোসাদ্দেকের। ও যথেস্ট মেধাবি আমরা জানি। মাঝখানে একটু ছন্দপতন হয়েছিল। এই মুহুর্তে ফিটনেসসহ যাবতীয় বিষয়গুলো দেখে এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ করে আমরা তাকে নির্বাচন করেছি।”