• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল দেখতে চান কারস্টেন

    বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল দেখতে চান কারস্টেন    

    বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন পরশু। কাল হোটেল সোনারগাঁর লবিতে কাল সারাদিন জাতীয় দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে প্রচারমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। আজ সকালেও সৌম্য, সাব্বির, দুই নির্বাচকের সঙ্গে স্থানীয় কোচ সালাহউদ্দিনের সঙ্গেও দেখা হয়েছে কারস্টেনের। দুপুরের দিকে এই আলাপ সেরে হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রচারমাধ্যমের। সেখানেই বলেছেন, বাংলাদেশ দলে স্থিতিশীলতা আনার জন্য কাজ করবেন ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ।

    বাংলাদেশে কোচ ঠিক করার জন্যই এসেছেন কারস্টেন, কদিন আগেই বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন। কিন্তু সবার সঙ্গে কথা বলে কী ধারণা হয়েছে কারস্টেনের? কী ধরনের কোচ চাইছে বাংলাদেশ, সেটাই বা কতটুকু বুঝলেন? কারস্টেনের ফরমায়েশি কথা থেকে অবশ্য তার খুব কমই আভাস পাওয়া গেল।

    "প্রশ্নটা খুবই কঠিন। তবে আমাকে বুঝতে হবে আগে এখানে কিভাবে কাজ হয়েছে। আমি জানি, চন্ডিকা এখানে খুবই ভালো কাজ করে গেছে, আমি শুধু বুঝতে চাইছি ওর সময় এত ভালো করেছে কীভাবে। সেজন্য আমি ভেতরের ব্যাপারটাও ভালোভাবে বুঝতে চাই। আমার কাজ হচ্ছে এমন একজনকে  খুঁজে বের করা যে দলটার দায়িত্ব নিতে পারবে। আশা করি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কাউকে ঠিক করতে পারব।"

    বাংলাদেশে এই দুই দিন সবার সাথে কথা বলে কী বুঝতে পেরেছেন কারস্টেন? বেঙ্গালুরুর এই ব্যাটিং পরামর্শক বেশ উল্লসিতই, "আমার সুযোগ হয়েছে এই দুই দিনে অনেকের সাথে কথাবার্তা বলার। বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে ভালোমতো জানাটাই আমার উদ্দেশ্য ছিল। যেটা শুনেছি তাতে আমি খুবই খুশি। দলের উন্নতি নিয়ে সবাই বেশ খোলামেলা কথা বলেছে, কোথায় কী করতে হবে তা জানিয়েছে। আমার লক্ষ্য সেরা লোকটাকে খুঁজে বের করতে বোর্ডকে সাহায্য করা। দলের মধ্যে স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করা।"

    তিন ফরম্যাটে আলাদা কোচ নিয়েও স্পষ্ট করে কিছু বললেন না কারস্টেন, "এটা নিয়ে কথা বলেছি। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে দলের ভালোর জন্য যেটা করতে হবে সেটা ঠিক করা। বিশ্বকাপের আগে দলটা ভালোমতো প্রস্তুত করাই আমাদের লক্ষ্য।"