• বাংলাদেশের ভারত সফর
  • " />

     

    বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্নও দেখতে চান রোডস

    বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্নও দেখতে চান রোডস    

    কাউন্টি ক্লাবের কোচ ছিলেন, কাজ করেছেন ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক দলের কোচিং প্যানেলেও। তবে স্টিভ রোডসের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটীয় পরিচয়, তিনি এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন সাবেক এই ইংলিশ উইকেটকিপার। বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বপ্নও দেখছেন ২০২০ সাল পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তি করা এই কোচ। 

    “সবার আগে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি কতখানি গর্বিত! এটা অসাধারণ একটা ক্রিকেটীয় জাতি। বাংলাদেশ দল যে সমর্থন পায়, সেটা অসাধারণ। মাঝে মাঝে হতাশা থেকে এই সমর্থনটা উড়ে যেতে পারে, তবে এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় যুক্ত হতে পারাটা অনেক বড় সম্মানের। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি”, কোচ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর উচ্ছ্বাসই ঝড়েছে রোডসের কন্ঠে। 

    সামনের বছরই বিশ্বকাপ, চুক্তির প্রথম মেয়াদে রোডসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সেটাই। সেখানেই আশাবাদী তিনি, “আমি মাত্রই প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড সদস্যদের বলে এসেছি, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভাল করেছে। তারা প্রমাণ করেছে, ইংলিশ কন্ডিশনে তারা ভাল করতে পারে। এমন একটা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে যাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ এক ব্যাপার ছিল। আমরা যদি সে পর্যন্ত বা এরপরও যেতে পারি, আমি এখন সে পথ ধরেই ভাবছি, ফাইনালের পথ পর্যন্ত গেলে সেটা বাংলাদেশের জন্য কেমন একটা স্বপ্ন হবে! এটা দারুণ একটা উপলক্ষ্য হবে!” 

    রোডসের আগে বেশ কয়েকজন কোচের সঙ্গে কথাবার্তা ও সাক্ষাত হয়েছিল বিসিবির। শেষে কোচ ঠিক করে দেওয়ার “উপদেষ্টা” হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ গ্যারি কারস্টেনকে। তার তালিকা ও বিসিবির নিজস্ব তালিকা- দুইটিতেই ছিল রোডসের নাম। কারস্টেনের মতো ক্রিকেট-ব্যক্তিত্বের “সুপারিশকৃত” তালিকায় থাকাটাও বড় ব্যাপার মনে করছেন রোডস, “আমি গর্বিত, গ্যারি কারস্টেনের মতো সম্মানীয় ক্রিকেট-ব্যক্তিত্ব আমার নামটা তুলে এনেছে। অবশ্যই, আমি সরাসরিই হ্যাঁ বলে দেওয়ার পক্ষে ছিলাম। এই অসাধারণ দেশকে কোচিং করানোয় আগ্রহ প্রকাশ করতে আমার একদমই সময় লাগেনি।” 

    রোমাঞ্চর পাশে আছে চ্যালেঞ্জও। সে চ্যালেঞ্জের অনেকখানিই জুড়ে আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ, তাও আবার তিন ফরম্যাট জুড়েই। কাজটাকে সহজ মনে না করলেও নিজেকে যোগ্যই মনে হচ্ছে রোডসের, “ইংল্যান্ডের প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, ২০১৬ সালে বাংলাদেশেও এসেছিলাম। আন্তর্জাতিক কোচিংয়ের একটু সুবাস পেয়েছি আমি। আন্তর্জাতিক সূচি অনেক ঠাসা, তবে আপনি কিভাবে কোচিং করাবেন, সেটায় তেমন কোনও পার্থক্য থাকে না। ছেলেদের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত রাখার কাজটা সহজ নয়। তবে সবকিছুর ওপরে, আমার মনে হয় আমি এখন যোগ্য।” 

    “আপনারা আমার পাকা চুল দেখতে পাচ্ছেন, এর মানে হলো, আমি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। আশা করি, আমার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের জন্য কাজে লাগবে,” বলেছেন ৫৩ বছর বয়সী রোডস।