প্লেয়ার রেটিং : ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড
একনজরে ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড ম্যাচের প্লেয়ার রেটিং
অ্যালিসন বেকার ৬/১০
ব্রাজিলের পায়ে যখন বল ছিল, তখন উটকো ঝামেলায় পড়তে হয়নি। সুইজারল্যান্ড বলের দখলে থাকা অবস্থায়ও খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। ৫০ মিনিটে হজম করা গোলেও তার দোষ নেই।
মার্সেলো ৭/১০
রক্ষণে ছিলেন অসাধারণ। জের্দান শাকিরিকে সুযোগই দেননি। আক্রমণেও সাহায্য করেছিলেন, নেইমারের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন ঠিকঠাকই। কিন্তু তাকে সেভাবে সাহায্য করতে পারেননি বাকিরা।
মিরান্ডা ৪/১০
কর্নারের সময় জুবেরকে তারই মার্ক করার ছিল। বড় ভুল করেছেন, দল দিয়েছে চরম মাশুল।
থিয়াগো সিলভা ৭/১০
নির্ভুলই মনে হয়েছে তাকে। শক্ত হাতেই রক্ষণ সামলেছেন। প্রথমার্ধের শেষদিকে গোলও করতে পারতেন।
দানিলো ৫/১০
তার খেলা খুব বেশি ভরসা যোগাতে পারেনি ব্রাজিল সমর্থকদের। শুরুতে একটু নড়বড়ে ছিলেন, সময়ের সঙ্গে অবশ্য মানিয়ে নিয়েছেন।
কাসেমিরো ৪/১০
সুইজারল্যান্ডের বেহরামি, আর জেমাইলির কাছে বারবার হেরেছেন। মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়েও পিছিয়ে ছিলেন, সৃজনশীল কিছুও করতে পারেননি। হলুদ কার্ড না দেখলে হয়ত পুরো ম্যাচই খেলতেন।
পাউলিনহো ৫/১০
প্রথমার্ধে গোলের সামনে স্বভাবসুলভ সপ্রিতভ উপস্থিতি ছিল তার। কিন্তু ব্রাজিল বল পজেশন হারানোর পর আর সুবিধা করতে পারেননি। পরে বদলি হয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
কৌতিনহো ৭.৫/১০
গোল করা বাদেও খেলেছেন অসাধারণ। বল ডিস্ট্রিবিউশন ছিল দেখার মতো। এই ম্যাচে ব্রাজিলের একমাত্র পাওয়া কৌতিনহোর দুর্দান্ত এক পারফরম্যান্স।
উইলিয়ান ৭/১০
রক্ষণে মন কম দিতে হলে হয়ত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারতেন উইলিয়ান। ডান প্রান্ত দিয়ে গতি আর কৌশল দিয়ে ভুগিয়েছেন সুইসদের। তবে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার মতো কিছু করা হয়নি আজ।
নেইমার ৫/১০
মাঝামাঠে তেমন একটা জায়গা পাননি, বাকিদের সঙ্গেও বোঝাপড়ায় ছিল ঘাটতি। নেইমার লেগেছে অচেনা।
গ্যাব্রিয়েল হেসুস ৪.৫/১০
ম্যাচে তার তেমন কোনো প্রভাবই পড়েনি। বাকিদেরকেও অবশ্য দুষতে পারেন। তবে নিজের কাজোটাও ঠিকমতো করতে পারেননি। তার জায়গায় পরে বদলি নামা রবার্তো ফিরমিনোকেই বরং ভয়ঙ্কর মনে হয়েছে সুইসদের জন্য।
বদলি
ফার্নান্দিনহো ৪/১০
কাসেমিরোর জায়গায় নেমে তার চেয়ে ভালো কিছু করতে পারেননি। সুইসদের মিডফিল্ডের বিপক্ষে অসহায় মনে হয়েছে তাকে।
রেনাটো আগুস্তো ৫/১০
গোল হজম করার পর মাঠে নেমেছিলেন। পাস দিয়েছেন নির্ভুলভাবে, ব্রাজিলকে পজেশন ফিরে পেতে সাহায্য করেছেন।
রবার্তো ফিরমিনো
সুপার সাব তকমাটা গায়ে সেটে যেতে পারত। শেষ ১০ মিনিটে দুইবার ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে স্মরণীয় কিছু করা হয়নি আর।
সুইজারল্যান্ড
ইয়ান সমার ৭/১০
কৌতিনহোর গোলে তেমন কিছুই করার ছিল না। তবে শুরুতেই পাউলিনহোকে ফিঙ্গারটিপ সেভে গোলবঞ্চিত করেছেন। পরে শেষদিকে ফিরমিনোর হেডও শক্ত হাতেই ফিরিয়েছেন।
রিকার্ডো রদ্রিগেজ ৬/১০
প্রথমার্ধে আক্রমণে সাহায্য করেছেন দলকে। পরে অবশ্য সেভাবে ওপরে উঠতে পারেননি। তবে ট্রানজিশনের সময় ট্র্যাক ব্যাক করেছেন ভালোভাবেই।
ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ৮/১০
হেসুসকে হতাশ করেছেন তিনিই। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন পুরো ম্যাচ জুড়েই। কৌতিনহোকেও ড্রিবল করে ভেতরে ঢোকার সুযোগ দিয়েছেন কমই।
ফাবিয়ান শার ৬/১০
আকাঞ্জির পারফরম্যান্সের শারের ভুলগুলো ঢাকা পড়ে গেছে। অবশ্য বড় ধরনের ভুলও করেননি।
স্টেফান লিচস্টেইনার ৭/১০
৩৩ বছর বয়সী খেলেছেন অধিনায়কের মতোই। বদলি হওয়ার আগ পর্যন্ত আক্রমণ আর রক্ষণে দুই জায়গাই সালাম দিয়েছেন দক্ষতার সঙ্গে। তবে মার্সেলোর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ঝামেলা হয়েছে।
গ্রানিত শাকা ৬/১০
বল পজেশন হারিয়েছেন বেশ কয়েকবার। নড়বড়ে মনে হয়েছে শাকাকে।
ভ্যালন বেহরামি ৭.৫/১০
প্রথমার্ধে ব্রাজিলের খেলার গতি থামিয়ে দিয়েছিলেন একাই। তবে আক্রমণে সাহায্য করতে পারেননি দলকে। রক্ষণকে করেছেন মজবুত। মাঝমাঠ থেকেই বেশ কয়েকবার ভেস্তে দিয়েছেন ব্রাজিলের আক্রমণ।
ব্লেরিম জেমাইলি ৬.৫/১০
ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন জেমাইলিই। সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে মাঝমাঠে বেহরামির সঙ্গে জুটি গড়ে ব্রাজিলকে আটকানোর কাজটা করেছেন।
স্টিভেন জুবের ৭/১০
গোলটা সুইসদের প্রাপ্যই ছিল। সেটা এনে দিয়েছেন তিনিই।
জের্দান শাকিরি ৭/১০
ডানদিক দিয়ে প্রায় একাই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ব্রাজিলের রক্ষণে। কাট করে ভেতরে ঢুকতে পারেননি। তবে ব্রাজিলকে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতেও দেননি। পায়ে বল রেখে দলকে খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছেন।
হারিস সেফেরোভিচ ৬/১০
গোল করার সুযোগ পাননি, একাই পড়ে গিয়েছিলেন। তবে ব্রাজিলের রক্ষণকে ব্যস্ত রেখে কোচের কৌশল সফল করতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন।
বদলি
ডেনিস জাকারিয়া ৬.৫/১০
বেহরামির জায়গায় নেমে তার অভাব বুঝতেই দেননি বাকি সময়ে।
ব্রিল এমবোলো ৪/১০
প্রতি আক্রমণে দলকে সাহায্য করতে পারেননি তেমন।
মাইকেল ল্যাং ৫
পুরোদস্তর রাইটব্যাক না হয়েও শেষদিকে আর দলকে নড়বড়ে হতে দেননি।