• প্লেয়ার রেটিং
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং: ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড

    প্লেয়ার রেটিং: ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড    

    ইংল্যান্ড

    জর্ডান পিকফোর্ড  ৭/১০
    মারিও মাঞ্জুকিচকে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত করেছিলেন, কিন্তু খুব বেশিক্ষণ আটাকানো হয়নি। ক্রোয়েশিয়ার দুই গোলে তার তেমন কিছু করারও ছিল না। ভালো খেলেও শেষ পর্যন্ত স্বপ্নপূরণ হয়নি ইংল্যান্ড গোলরক্ষকের।

    কাইল ওয়াকার ৫/১০
    সমতায় থাকা ম্যাচে তার একটা ব্যাকপাস আরেকটু হলেই বিপদে ফেলে দিত ইংল্যান্ডকে। পেরিসিচের একটা শট ব্লক করেছিলেন, বেশকিছু ইন্টারসেপশনও করেছেন। কিন্তু পিছিয়ে পড়ার পর ইংল্যান্ডের বাকি খেলোয়াড়দের মতো তিনিও মলিন হয়ে গেছেন।

    জন স্টোনস ৬.৫/১০
    ৯০ মিনিট অসাধারণ খেলেছেন। কিন্তু মাঞ্জুকিচের ম্যাচ জেতানো গোলের সময় নিজেই পাথর হয়ে গেলেন, আটকাতে পারলেন না। আরও ভালো করতে পারতেন স্টোনস? হয়ত।

    হ্যারি ম্যাগুয়ের ৬/১০
    এরিয়াল ডুয়েলে আবারও ভালো করেছেন। আক্রমণে বেশ কয়েকটি হেড জিতেছিলেন।

    কিয়েরান ট্রিপিয়ের ৭/১০
    তার গোলেই ৫২ বছর পর ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। সমতাসূচক গোলে রক্ষণের কাজটা ভালোমত করতে পারেননি।

    জেসি লিনগার্ড ৪/১০
    ডিবক্সের ঠিক বাইরে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু মেরেছেন বাইরে দিয়ে। নিদেনপক্ষে লক্ষ্যে শুট করলেও গোলের একটা সুযোগ তৈরি হতে পারত। ইংল্যান্ডকে হতাশ করেছে তার খেলা।



     


    জর্ডান হেন্ডেরসন ৫/১০
    প্রথমার্ধের পরই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। লং বল দিয়ে আজ দলকে সাহায্যও করতে পারেননি। রক্ষণের কাজটা ভালো মতো করেছেন।

    ডেলে আলি ৫.৫/১০
    ইংল্যান্ডের ফ্রি কিক থেকে করা গোলে ফাউলটা তিনিই আদায় করেছিলেন। ভালো কিছু পাসও দিয়েছিলেন, লিংক আপ প্লেও ভালো ছিল। কিন্তু ম্যাচ বদলে দেওয়ার মতো কিছু করা হয়নি।

    রাহিম স্টার্লিং ৫/১০
    প্রথমার্ধে তার গতি ক্রোয়াট ডিফেন্ডারদের ধন্ধে ফেলে দিচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

     

    অ্যাশলি ইয়াং ৫/১০
    ভালো একটা ব্লক করেছিলেন, তবে দ্বিতীয়ার্ধে তার খেলা গতি হারিয়েছে। তাতে পথ হারিয়েছে ইংল্যান্ডও।

    হ্যারি কেইন ৪/১০
    নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন, একদমই সুবিধা করতে পারেননি।

    বদলি
    মার্কোস র‍্যাশফোর্ড, ড্যানি রোজ, এরিক ডায়ার, জেইমি ভার্ডি
    একমাত্র রোজ বাদে সেভাবে কেউই ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারেননি। রোজের গতি অবশ্য ইংল্যান্ডকে আক্রমণে সাহায্য করছিল। কিন্তু একটু দেরিতেই নেমেছিলেন তিনি।


    ক্রোয়েশিয়া
    ড্যানিয়েল সুবাসিচ ৬/১০
    ট্রিপিয়েরের ফ্রি কিকের সময় বলের নাগালই পাননি। স্টোনসের হেডেও হেরে গিয়েছিলেন, তবে দলকে অবশ্য তার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়নি।

    সিমে ভ্রাসালকো ৮/১০
    স্টোনসের হেড লাইন থেকে ফিরিয়েছেন। প্রথম গোলটাও এসেছে তার ক্রস থেকে। ম্যাচের আগে তার ফিটনেস নিয়ে সংশয় ছিল। তার গুরুত্বটা বুঝিয়ে দিয়েছেন পুরো বিশ্বকেই। বড় ম্যাচে বড় পারফরম্যান্স দিয়ে।

    ডেয়ান লভ্রেন ৭/১০
    দুর্গ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, এরিয়ালে ছিলেন ভালো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভুলও করেননি তেমন। শুরুতে অবশ্য হ্যারি কেইনকে ফাউল করার অপরাধে হলুদ কার্ড দেখতে পারতেন, সেখান থেকে বেঁচে গেছেন। এমনটাই তো চেয়েছিলেন লভ্রেন!

    ডমাগো ভিদা ৬/১০
    স্টার্লিংয়ের বিপক্ষে ভুগেছেন, তিনি মাঠ ছাড়ার পর তার কাজ সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু স্টেডিয়ামের দুয়ো শোনা থেকে থামননি। সেসব নিয়ে অবশ্য এখন মাথা ঘামাবেন না ভিদা।

    ইভান স্ট্রিনিচ ৫/১০
    ভুল একটা করেছিলেন, ওটাই ক্রোয়েশিয়াকে ছিটকে দিতে পারত ম্যাচ থেকে। লিনগার্ডকে আটকাতে হিমশিম খেয়েছেন। পরে অবশ্য আক্রমণে ভালোই করেছেন।

    মার্সেলো ব্রোজোভিচ ৬/১০
    রক্ষণকে মজবুত করেছেন ডিফেন্সিভ লাইনের সামনে দাঁড়িয়ে। খুব বেশি আক্রমণে ওঠেননি, তবুও একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ভালো।

    ইভান রাকিটিচ ৭/১০
    ডিবক্সের ভেতর ঢুকেও গোল করার জন্য শুটই করতে পারেননি, তাতেই ম্যাচটা শেষ হয়ে যেতে পারত। রাকিটিচ নিজের সেরাটা দিতে পারেননি, তবে যা করেছেন সেটাই ইংল্যান্ডকে ছিটকে দিয়েছে ম্যাচ থেকে। আক্রমণে বলের যোগান দিয়েছেন নিয়মিত। মদ্রিচের সঙ্গে সমন্বয়টা ছিল আগের মতোই।

    লুকা মদ্রিচ ৭/১০
    প্রথমার্ধে সেভাবে সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধেদ দারুণ খেলেছেন। ম্যাচে সমতা আনার পর দলকে পজেশন বজায় রাখতে সাহায্য করেছেন। ক্রোয়াটদের ওই পজেশন নির্ভর ফুটবলে আরও ভড়কে গেছে ইংল্যান্ড। কাজটাও তাই শেষদিকে সহজ হয়েছে তাদের জন্য। সবচেয়ে বড় ধন্যবাদটা ক্রোয়াট দিতে পারে তাদের অধিনায়ককেই।

    আনতে রেবিচ ৬.৫/১০
    ইংল্যান্ডের রক্ষণ ভাঙতে খুবই কার্যকর ছিলেন। একটা শটও করেছিলেন সেটা সরাসরি গেছে পিকফোর্ডের হাতে। পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ভালো কয়েকটি ক্রসও করেছিলেন ডান দিক থেকে।

    ইভান পেরিসিচ ৮/১০
    সমতাসূচক গুরুত্বপূর্ণ গোলটা তো করেছেনই, এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ক্রোয়েশিয়াকে জিতিয়ে ফিরতে পারতেন। আগের ম্যাচের মতো আবারও বারপোস্টে বাঁধা পেয়ে গোলবঞ্চিত হয়েছেন। হ্যাটট্রিকও করে ফেলতে পারতেন আজ!

    মারিও মাঞ্জুকিচ ৭/১০
    সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন বোধ হয় এই সময়ের জন্যই। ওই গোলের আগে গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান অন ওয়ানে থেকেও গোল করতে পারেননি। কিন্তু এরপর পুষিয়ে দিয়েছেন সবকিছু!

     

    বদলি
    জসিপ পিভারিচ, ক্রামারিচ, করলুকা, বাদেল
    ক্রামারিচকে মাঠে নামানো হয়েছিল ম্যাচ জেতাতেই। কিন্তু করলুকা, বাদেলরা নেমেছিলেন জিততে যাওয়া ম্যাচে রক্ষণকে আগলে রাখতে।