• মেয়েদের ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্ব
  • " />

     

    ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে জায়গা নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ

    ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে জায়গা নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ    

    বাংলাদেশ ১২৫/৬, ২০ ওভার
    স্কটল্যান্ড ৭৬/৭, ২০ ওভার 
    বাংলাদেশ ৪৯ রানে জয়ী 


    দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, এরপর এশিয়া কাপ, এরপর আয়ারল্যান্ড সফর- প্রত্যেকটিতেই বাংলাদেশের পাখির চোখ ছিল এই ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্ব। সেই হার্ডলটা পেরিয়ে গেল বাংলাদেশ, দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে তারা। সঙ্গে অবশ্যই চলে গেছে বাছাইপর্বের ফাইনালেও, সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথম সেমিফাইনাল জেতা আয়ারল্যান্ড। 

    ১২৫ রানের সম্বল ছিল বাংলাদেশের, বোলিংয়ের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে স্কটল্যান্ডকে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেননি বাংলাদেশী বোলাররা, উলটো ডট বলের চাপে পিষ্ট হয়ে গেছে স্কটিশরা। পাওয়ারপ্লেতে জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন মিলে দিয়েছেন  মাত্র ১৮ রান, সঙ্গে স্কোলসের উইকেট নিয়েছেন সালমা। 

     

     

    সারাহ ব্রাইস টিকে ছিলেন ১২ ওভার পর্যন্ত, তবে ক্রিজ ছেড়ে এসে স্টাম্পড হয়েছেন ফাহিমা খাতুনের বলে, ৪৪ বলে ৩১ রানে। স্কটল্যান্ডের আশা তখনও টিকে ছিল, সারাহর বোন ও স্কটল্যান্ড অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইসে ভর করে। ২২ বলে ২১ রান ক্যাথরিনকে বোল্ড করেছেন নাহিদা আক্তার। এরপর ধস নেমেছে স্কটিশ ইনিংসে। ৫ রানেই তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত তাদের থামতে হয়েছে ৭৬ রানেই। 

    শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান। পাওয়ারপ্লেতেই দুই ব্যাটসম্যান তুলেছিলেন ৪৬ রান। ৭ম ওভারে ১৬ বলে ২২ রান করা শামিমার রান-আউটে ভেঙেছে ৫১ রানের ওপেনিং জুটি। এরপরই খানিকটা এলোমেলো হয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। পরের ওভারেই ক্যাচ দিয়েছেন ২০ রান করা আয়েশা। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এরপরের ওভারে স্টাম্পড ফারজানা হক। এরপরের ওভারে পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন রুমানা আহমেদ। ১১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভাল শুরুটা নিজেরাই মিলিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। 

    একপ্রান্ত আগলে ছিলেন চারে নামা নিগার সুলতানা। ১৬ বলে ১৫ রান করে স্টাম্পড হওয়ার আগে ফাহিমা খাতুন ও ১৮ বলে ১৯ রান করে ক্যাচ দেওয়ার আগে সানজিদা ইসলাম সঙ্গ দিয়েছেন নিগারকে। শেষ ৩ ওভারে ২৯ রান তুলে মোমেন্টামটা নিজেদের দিকে এনেছিল বাংলাদেশ। নিগার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৩৩ রানে।