তিয়াত্তরের মন্বন্তরে দক্ষিণ আফ্রিকা
শ্রীলঙ্কা ২৮৭ এবং ১৯০
দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৬ এবং ৭৩
ফলঃ শ্রীলঙ্কা ২৭৮ রানে জয়ী
পুনর্বাসন থেকে ফিরে আসার পর এমন বিপর্যয় আর দেখতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথম ইনিংসেও তাও টেনেটুনে ১২৬ করেছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রানেই নলআউট হয়ে গেল। আর তাতেই গল টেস্টে ২৭৮ রানের বড় জয় পেল শ্রীলঙ্কা।
এমন একটা বিপর্যয় আসতে পারে, সেই আভাস পাওয়া যায়নি সকালেও। ৪ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা অল আউট হয়ে যায় ১৯০ রানে। রোশেন সিলভার রান আউটে দিন শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কা, এরপর বাকি কাজটা দ্রুত সেরেছেন কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা। দুজন মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট, তবে এক উইকেট নিয়েই আজ ইতিহাসের একদম কাছাকাছি চলে গেছেন ডেল স্টেইন। শন পোলকের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন স্টেইনের (৪২১টি), পোলককে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পরের ম্যাচ পর্যন্ত।
কিন্তু প্রথম ইনিংসের ধসটা যে ফ্লুক নয়, দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই সেটা প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবং আরও একবার স্পিনেই হলো বাজিমাত। ১২ রানে ডিন এলগারকে ফিরিয়ে ট্রিগারটা চাপেন দিলরুয়ান পেরেরা, এরপর একের পর এক সেটা টিপেই গেছেন। ১৬ রানে অফ স্পিনারের ক্লাসিক একটা ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিয়েছেন আমলাকে, ২৪ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাভুমাকে। অধিনায়ক ডু প্লেসিকে আউট করে সেই ধ্বংসযজ্ঞে যোগ দিয়েছেন হেরাথও। একটা সময় ৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে আফ্রিকা। শেষদিকে ভারনন ফিল্যান্ডারের ২২ রানে রানটা কিছুদূর বাড়িয়েছেন। তবে ম্যাচের ফল নিয়ে তখন আর কোনো সংশয় ছিল না। ৬ উইকেট নিয়েছেন দিলরুয়ান পেরেরা, ম্যাচে হলো তাঁর ১০ উইকেট। আর হেরাথ নিয়েছেন ৩ উইকেট।
তবে ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েও ম্যাচসেরার পুরস্কার পাননি পেরেরা, সেটা গেছে দিমুথা করুনারত্নের কাছে। দুই ইনিংস মিলে ২১৮ রান করেছেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার, দক্ষিণ আফ্রিকা দুই ইনিংস মিলে করেছে ১৯৯ রান। একাই তো হারিয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়াদের!