প্লেয়ার রেটিং: ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম
ইংল্যান্ড
জর্ডান পিকফোর্ড ৭.৫/১০
স্মরণীয় এক বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেও নিজের সেরাটা দিয়ে গেলেন। গোল দুটিতে কিছুই করার ছিল না। কিন্তু ম্যাচে ভুল করেননি তেমন একটা। বেলজিয়ামের দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে মুনিয়েরের আগুনে শট ফিরিয়েছেন অসামান্য দক্ষতায়।
ফিল জোনস ৫/১০
কাইল ওয়াকারের বদলে তাকে মূল একাদশে নামানোর সিদ্ধান্তের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। হ্যাজার্ডদের বিপক্ষে একদমই অসহায় ছিলেন। প্রতি-আক্রমণে রীতিমত তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছেন। দ্বিতীয় গোলে হ্যাজার্ডকে মার্ক করতে পারেননি।
জন স্টোনস ৭/১০
৯০ মিনিটই বেশ ভাল খেলেছেন। লুকাকুকে পকেটবন্দিই করে রেখেছিলেন। তবে সেটপিস থেকে হেডে পরাস্ত হয়েছেন কম্পানিদের কাছে।
হ্যারি ম্যাগুয়ের ৭/১০
ইংল্যান্ডের সেরা ডিফেন্ডার আজ। এরিয়াল ডুয়েলে আবারও ভালো করেছেন। আক্রমণে বেশ কয়েকটি হেড জিতেছিলেন।
কিয়েরান ট্রিপিয়ের ৭.৫/১০
উইংব্যাক রোলে আবারও নজর কেড়েছেন। হ্যাজার্ডকে আটকানোর কাজটা অবশ্য তেমন ঠিকঠাক করতে পারেননি। তবে আক্রমণভাগে কেইনদের বেশ সাহায্য করেছেন।
রুবেন লফটাস-চিক ৬.৫/১০
মাঝমাঠে দারুণ খেটে খেলেছেন। তবে আক্রমণভাগের ডিসিশন মেকিং ডুবিয়েছে তাকে।
এরিক ডায়ার ৫.৫/১০
বদলি হিসেবে নামাটাই যেন তার জন্য শ্রেয়। মূল একাদশে নেমে খারাপ খেলার ‘রেকর্ড’টা বজায় রাখলেন আজও। ডি ব্রুইনরা রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছেন তাকে। কর্তোয়াকে একা পেয়ে চিপ করেছিলেন, কিন্তু অ্যাল্ডারওয়েরেল্ডের দুর্দান্ত ক্লিয়ারেন্সে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।
জর্ডান হেন্ডেরসন ৫/১০
প্রথমার্ধের পরই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। লং বল দিয়ে আজ দলকে সাহায্যও করতে পারেননি। রক্ষণের কাজটা ভালো মতো করেছেন।
ফ্যাবিয়ান ডেলফ ৫.৫/১০
একেবারেই নিষ্প্রভ পুরোটা ম্যাচ। আক্রমণেই ছিলেন বেশিরভাগ সময়, মাঝমাঠে তার রেখে যাওয়া খালি জায়গা দিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণ গড়েছে বেলজিয়াম।
ড্যানি রোজ ৪.৫/১০
প্রথম গোলে মুনিয়েরকে ছেড়েই দিয়েছিলেন মার্ক না করে। না পেরেছেন রক্ষণে নিজের সেরাটা দিতে, আর আক্রমণে তো মুনিয়েরের পকেটেই ছিলেন। ভুলে যাওয়ার মত এক পারফরম্যান্স।
রাহিম স্টার্লিং ৪/১০
ব্যর্থতার সব সীমাই যেন ছাড়িয়ে গেলেন আজ। কম্পানিদের মার্কিংয়ে নড়তেই পারেননি।
হ্যারি কেইন ৫/১০
স্মরণীয় বিশ্বকাপের শেষটা মনের মত করে রাখতে পারলেন না। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন। এছাড়া তাকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি পুরোটা ম্যাচ।
বদলি
মার্কাস রাশফোর্ড, জেসি লিনগার্ড
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নেমেছিলেন দুজন। সুবিধা করতে পারেননি কেউই।
ড্যালে আলি
শেষ ৬ মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় প্রভাব ফেলতে পারেননি।
বেলজিয়াম
থিবো কোর্তোয়া ৭.৫/১০
পুরো ম্যাচে তেমন কিছুই করতে হয়নি। তবে ক্রস নিয়ন্ত্রণে আনা, ডিস্ট্রিবিউশন ছিল দারুণ।
টবি অ্যাল্ডারউইরেল্ড ৮/১০
আবারও নিজের কাজটা করে গেছেন দারুণভাবে। আবারও ছিলেন নির্ভুল এবং অসাধারণ। ডায়ারের চিপ থেকে গোললাইন ক্লিয়ারেন্স ছিল অবিশ্বাস্য।
ভিনসেন্ট কোম্পানি ৭.৫/১০
রক্ষণে পুরো দলকে বেঁধেছিলেন এক সূতোয়। আর সেই ইস্পাতদৃঢ় বন্ধনের সামনে বারবার খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে কেইনদের।
ইয়ান ভেট্রোনহেন ৭.৫/১০
বেলজিয়ান রক্ষণের বাঁ-প্রান্তটা প্রায় একাই সামলেছেন। স্টার্লিংকে একাই পকেটবন্দি করে রেখেছিলেন।
থমাস মুনিয়ের ৮/১০
রোজকে রীতিমত নাকানিচুবানি খাইয়েছেন। তার গোলেই ম্যাচের শুরুতে চাপে পড়া ইংল্যান্ড আর ফিরতে পারেনি। বাকিটা সময়ও আক্রমণে ছিলেন দুর্দান্ত, আর রক্ষণে ইস্পাতদৃঢ়
কেভিন ডি ব্রুইন ৯/১০
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। মাঝমাঠে রাজার মত ছড়ি ঘুরিয়েছেন পুরোটা সময়। হ্যাজার্ড-মুনিয়েররা গোল করলেও পুরো ম্যাচে বেলজিয়ামের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই।
অ্যাক্সেল উইটসেল ৭/১০
মাঝমাঠে নিজের কাজটা দারুণভাবে করেছেন। রাশফোর্ডদের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি একদমই।
ইয়ুরি তিয়েলেম্যানস ৭/১০
ড্রিবলিং ছিল দেখার মত। আক্রমণে হ্যাজার্ডদের লম্বা পাসে সাহায্য করেছেন অনেক। তবে ট্যাকলিং ঠিকমত হয়নি।
নাসের চাডলি ৭/১০
প্রথমার্ধে তার ক্রসেই গোল করেছিলেন মুনিয়ের। ২৩ মিনিটে ইনজুরিতে পড়ে উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই।
এডেন হ্যাজার্ড ৯/১০
ড্রিবলিংয়ের এক পসরাই সাজিয়ে বসেছিলেন। জোনসদের রীতিমত নাচিয়েছেন পুরোটা ম্যাচ। কিন্তু ফ্রান্সের কড়া ডিফেন্সের লুকাকুর সাথে তেমন বোঝাপড়া গড়তে পারেননি।
রোমেলু লুকাকু ৫/১০
একদমই ভাল খেলেননি। ‘ফার্স্ট টাচ’ খুবই বাজে ছিল। ডি ব্রুইনের থ্রু থেকে বল দখলে আনতে পারেননি কয়েকবার। বল ধরে রাখার কাজেও ব্যর্থ আজ।
বদলি
দ্রিস মার্টেনস ৭.৫/১০
বদলি হিসেবে নেমে আবারও নজর কাড়লেন। প্রতি-আক্রমণে ইংলিশদের ,কাঁপিয়ে দিয়েছেন। হ্যাজার্ডদের সাথে বোঝাপড়াটা দারুণ ছিল।
থমাস ভার্মাইলেন ৬.৫/১০
চাদলির বদলে নেমেছিলেন প্রথমার্ধে। তবে খুব একটা ভাল করতে পারেননি। রাশফোর্ড-লিনগার্ডদের গতির সাথে মানিয়ে উঠতে পারেননি।
মুসা ডেম্বেলে
শেষ ১০ মিনিটে নেমেছিলেন, তেমন কিছুই করতে পারেননি।