প্লেয়ার রেটিং: ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়া
ফ্রান্স
হুগো লরিস ৭/১০
প্রথমার্ধের শেষদিকে রেবিচের একটি শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়েছিলেন। কিন্তু তার ভুলেই ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মানজুকিচ। তবে ক্রস নিয়ন্ত্রণে আনা, ডিস্ট্রিবিউশন ছিল দারুণ।
বেঞ্জামিন পাভার্দ ৫.৫/১০
পুরোটা ম্যাচই বেশ ভুগেছেন। পেরিসিচের বিপক্ষে অসহায়ই মনে হয়েছে তাকে। আক্রমণেও তেমন সাহায্য করতে পারেননি।
রাফায়েল ভারান ৮.৫/১০
রক্ষণে আরেকবার দুর্গ হয়ে ছিলেন তিনি। ক্রসনির্ভর ক্রোয়াটদের ফিরিয়ে দিয়েছেন একাই। পাসিংইয়েও ছিলেন দারুণ।
স্যামুয়েল উমতিতি ৭/১০
শুরুর দিকে বেশ কিছু ভুল করেছিলেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেছিলেন স্বরূপে।
লুকাস হার্নান্দেজ ৭.৫/১০
বাঁ-প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন পুরোটা ম্যাচ। পগবার গোলের সূচনাটা করেছিলেন তিনিই। রেবিচকে দারুণভাবে দমিয়ে রেখেছিলেন পুরোটা ম্যাচ।
এনগলো কান্তে ৫/১০
বিশ্বকাপে তার সবচেয়ে খারাপ ম্যাচ ছিল আজ। মাঝমাঠে মদ্রিচ-রাকিটিচদের আটকাতে পারেননি একেবারেই। কিন্তু মাতুইদিরা স্বরূপে থাকায় তেমন ভুগতে হয়নি।
পল পগবা ৮/১০
ফ্রান্সের সেরা মিডফিল্ডার ছিলেন আজ। ড্রিবলিং আর শক্তিমত্তার সামনে দাঁড়াতে পারেননি মদ্রিচরা। গোল করে দলের জয়েও অবদান রেখেছেন। বল ধরে রাখার কাজটাও করেছেন দারুণভাবে।
ব্লেইজ মাতুইদি ৭/১০
কান্তের ভুলগুলোতে ফ্রান্সকে তেমন ভুগতে না হওয়ার কৃতিত্ব তারই। ইন্টারসেপশন ছিল দুর্দান্ত। আক্রমণেও পাস যুগিয়েছেন বেশ।
আঁতোয়া গ্রিযমান ৯/১০
প্রথম গোলে ফ্রিকিকটা ছিল তার ফ্রিকিক থেকেই। পগবার গোলটাও এসেছে তার পাস থেকেই। পুরোটা ম্যাচে ফ্রেঞ্চ আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই। আজকের ম্যান অফ দ্য ম্যাচও তিনিই।
কিলিয়ান এমবাপ্পে ৮.৫/১০
তার গতির সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়ান রক্ষণভাগকে। জিরুকে বেশ কয়েকটি চমৎকার পাস দিয়েছিলেন। আগুনে শটে গোল করে বনে গেছেন পেলের পর প্রথম টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করা ফুটবলার।
অলিভিয়ের জিরু ৪/১০
পুরো ম্যাচে মিসের মহড়ায়ই মেতেছিলেন। গ্রিযমান-এম্বাপ্পেরা যেরকম সুযোগ তৈরি করেছিলেন, সবগুলো হাতছাড়া করেছেন। আবারও একেবারেই নিষ্প্রভ।
বদলি
এনজঞ্জি ৬/১০
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কান্তের বদলে নেমেছিলেন। মদ্রিচদের আটকানোর কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেননি।
টোলিসো, ফেকির
ম্যাচের শেষদিকে মিনিটে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।
ক্রোয়েশিয়া
ড্যানিয়েল সুবাসিচ ৪/১০
সবচেয়ে বড় ম্যাচটাতেই সবচেয়ে খারাপ খেললেন। পগবা-এম্বাপ্পের গোলে যেভাবে ভুগেছে, ফিট ছিল কি না সেটাই প্রশ্ন। লম্বা পাসেও বল যোগাতে পারেননি মানজুকিচদের।
সিমে ভ্রাসালকো ৬.৫/১০
একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। গ্রিযমান, হার্নান্দেজদের আটকাতে রীতিমত হিমশিমই খেয়েছেন। আক্রমণেও জ্বলে উঠতে ব্যর্থ।
ডেয়ান লভ্রেন ৫.৫/১০
এম্বাপ্পেদের বিপক্ষে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছিলেন। কর্ণার থেকে হেডে বল পাননি। প্রথম গোলে ভারানকে ঠিকঠাক মার্ক করতে পারেননি সামনে থেকে।
ডমাগো ভিদা ৭.৫/১০
এম্বাপ্পেকে যেভাবে আটকেছেন, তা আসলেই প্রশংসনীয়। পুরোটা ম্যাচই ভাল খেলেছেন। দলের ব্যর্থতায় ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।
ইভান স্ট্রিনিচ ৬/১০
ওভারল্যাপ করে ক্রস করেছিলেন অনেক। চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না, তবে শেষমেশ প্রাপ্তির খাতাটা শূন্যই।
মার্সেলো ব্রোজোভিচ ৬.৫/১০
রক্ষণকে মজবুত করেছেন ডিফেন্সিভ লাইনের সামনে দাঁড়িয়ে। খুব বেশি আক্রমণে ওঠেননি। কিন্তু প্রতি-আক্রমণে বেশ কয়েকবার অসহায় হয়ে পড়েছিলেন ফ্রান্সের গতির সামনে।
ইভান রাকিটিচ ৭.৫/১০
ছিলেন স্বরূপেই। কিন্তু মানজুকিচ, পেরিসিচরা বুদ্ধিদীপ্ত পাসগুলো কাজে লাগাতে পারেননি। এবারের বিশ্বকাপে তার অন্যতম সেরা ম্যাচ। কিন্তু কপালে জুটেছে হতাশাই।
লুকা মদ্রিচ ৮/১০
ক্রোয়েশিয়ার সেরা খেলোয়াড় ছিলেন আজ। মাঝমাঠে যেভাবে সাহায্য করেছেন, নিচে নেমে রক্ষণভাগকেও সাহায্য করেছেন বেশ। সেটপিস ডেলিভারিও ছিল চমৎকার। পাসিং ছিল একেবারেই নিখুঁত।
আনতে রেবিচ ৬.৫/১০
চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু হার্নান্দেজের বিপক্ষে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি।
ইভান পেরিসিচ ৮.৫/১০
সমতাসূচক গুরুত্বপূর্ণ গোলটা।করেছিলেন তিনিই। পাভার্ডকে রীতিমত নাচিয়েছেন পুরোটা ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন সবকিছু দিয়ে।
মারিও মাঞ্জুকিচ ৫/১০
গোল করেছেন দুই প্রান্তেই। বাকিটা ম্যাচ ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই।
বদলি
ক্রামারিচ, পিয়াজ্জা
দুজনই নেমেছিলেন শেষদিকে। তেমন কিছুই করতে পারেননি কেউই।