আইসিসির অবহেলায় হতাশ স্টেইন
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সেই বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারি নাড়িয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভিত। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট হয়েছেন নিষিদ্ধ, শুনতে হয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের সমালোচনা। কিন্তু কেনও বল টেম্পারিং করেছিলেন তারা? আর কেনই বা সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা বাড়ছে? দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার ডেল স্টেইন মনে করেন, ক্রিকেটে বল-ব্যাটের লড়াইয়ে সামঞ্জস্য রাখার আপ্রাণ চেষ্টার ফলাফলই হচ্ছে এই বল টেম্পারিং।
টেম্পারিংয়ের অভিযোগ মাথা পেতে নিয়ে স্মিথ বলেছিলেন, টেস্টের ওই মুহূর্তে বলে কোনো সুইং ছিল না, আফ্রিকা ব্যাটসম্যানদের ঠেকানোর আর কোনো উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার বোলাররা। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে জেতার সর্বশেষ উপায় হিসেবেই বেছে নিয়েছিলেন বল টেম্পারিংকে।
আধুনিক ক্রিকেটে বহুবার এরকম পরিস্থিতিতে পড়া বোলারদের প্রতি আইসিসির ‘অবহেলায়’ হতাশ স্টেইন, ‘বল টেম্পারিং কেউ দেখতে চায় না। কিন্তু আমরা যদি ঠাণ্ডা মাথায় ভাবি, এটা হচ্ছে সামঞ্জস্য রাখার শেষ প্রচেষ্টা। বল-ব্যাটের লড়াইটা এখন আর সমানে সমান হচ্ছে না। এই ব্যাপারে আমাদের কিছু একটা করতেই হবে। আধুনিক ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের বেশি সুবিধা দেয়। মাঠ ছোট, দুইটি নতুন বল, পাওয়ার প্লে, বড় ব্যাট, ফ্রি হিট; সবই তাদের পক্ষে। আমি তো কখনোই আইসিসিকে বোলারদের পক্ষে নিয়ম বদল করতে দেখিনি!’
রিভার্স সুইং আনার জন্যই মূলত বল টেম্পারিং করেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট থেকে ক্রমেই হারিয়ে যেতে বসা রিভার্স সুইংয়ের ঐতিহ্য ফিরে আসতে দেখতে চান স্টেইন, ‘রিভার্স সুইং হারিয়ে গেলে সেটা খুবই দুঃখের ব্যাপার হবে। আমরা বড় হয়েছি ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুসের রিভার্স সুইং দেখে। এখন তো এটা দেখাই যায় না। ফাস্ট বোলারদের সামনে আসলে আদর্শ বলে এখন কেউ নেই। এখন যুগটা বোলিং মেশিনের, সবাই এটার সামনে দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানই হতে চায়।’