• বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর
  • " />

     

    বিসিবি প্রেসিডেন্ট : সাকিবের অস্ত্রোপচার জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় হলে ভাল

    বিসিবি প্রেসিডেন্ট : সাকিবের অস্ত্রোপচার জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় হলে ভাল    

    সাকিব আল হাসানের অস্ত্রোপচার জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় করানোই “ভাল হবে” বলে মত বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসানের। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আঙ্গুলের চোট ফিরে এসেছে সাকিবের, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছেন ইনজেকশন নিয়েই। অস্ত্রোপচার করাতেই হবে তার, তবে বাংলাদেশের ঠাসা সূচিতে সে সময়টা বের করা নিয়েই প্রশ্ন এখন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফিরে সাকিব ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এশিয়া কাপের আগেই করাতে চান অস্ত্রোপচার। 

    সূত্রমতে অস্ত্রোপচারের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সহ সেরে উঠতে সাকিবের লেগে যেতে পারে প্রায় মাস দুয়েক। ১৫-২৮ সেপ্টেম্বর হবে এশিয়া কাপ, এরপর ২১ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজ বাংলাদেশের। সে সময়ে সাকিবের অস্ত্রোপচারই দলের জন্য “ভাল” হবে বলে মনে করছেন নাজমুল। 

    “সাকিব আমাকে ফোন করেছিল। বলেছিল যে হাতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। হেড কোচও ওখান থেকে ফোন করেছিল। কারণ যে শক্তি ওর দরকার, সেটা পাচ্ছে না ব্যাটিংয়ে। ইনজেকশন নিয়ে নিয়ে খেলছে। কিন্তু অস্ত্রোপচার হলে অন্তত ছয় সপ্তাহের বিরতি দরকার। এত লম্বা বিরতি পাওয়াটা কঠিন।

    “প্রথমে চেষ্টা করা হচ্ছে যদি কোনো খেলার মাঝখানে ওকে বিরতিটা দেওয়া যায়। আর তা না হলে একটা খেলাই (সিরিজ) বাদ দিতে হবে। যেটা ওকে ছাড়া খেলার (কথা) আমরা চিন্তাই করতে পারছি না।”

    হেড কোচ স্টিভ রোডসও এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচার করানোর পক্ষে। তবে এই টুর্নামেন্টে সাকিবকে ছাড়া খেললে মানসিকভাবে বাংলাদেশ দল দূর্বল হয়ে যাবে বলেও ধারণা নাজমুলের, “আজকে কোচের সঙ্গে যে কথা হয়েছে, ও বলেছে এশিয়া কাপের কথাই। আমি বলেছি, এশিয়া কাপের চেয়ে ভাল হয় আমরা জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় করি। নতুন কিছু ক্রিকেটারও দেখতে পরব আমরা। এশিয়া কাপ এমনিতেই এবার কঠিন হবে। তার ওপর সাকিবের মতো একজন ক্রিকেটার না খেললে দলের ‘মোরাল আরও উইক’ হয়ে যেতে পারে। তার পরও আরও কথা হবে। আজ-কালকের মধ্যে সাকিবের সঙ্গে কথা বলব। আমার মনে হয়, অন্য সময় করাটাই ভালো হবে।”

    এর আগে সাকিব-মুস্তাফিজুর রহমানের মতো কয়েকজন ক্রিকেটার টেস্ট খেলতে চান না, এমন মন্তব্য করেছিলেন নাজমুল। এবারও তার মত একই রকম, “টেস্ট খেলার ব্যাপারে আগ্রহী নয়.. এটা আছে, আগেও বলেছি এখনও আছে। এটা বলার কিছু নেই।

    “আপনারা দেখেন আমাদের ঘরোয়া দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেট কয়জন খেলে? চারদিনেরটা না খেললে পাঁচদিন খেলবে কি করে? অবশ্যই ওরা চায় না খেলতে।”

    ঘরোয়া দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেট খেলতে চাপ দেওয়ার কথাও ভাবছে বিসিবি, “তবে আজকেও ওটা নিয়ে আলাপ হয়েছে, আমরা চেষ্টা করব ওদেরকে খেলানোর। তবে যে লম্বা সূচি আমাদের, যে পরিমাণ খেলা, কোচ ও ক্রিকটারদের বিশ্রাম কখন দেব, সেটা নিয়েই চিন্তা করে পাচ্ছি না। আজকে কোচ এটা নিয়ে কথা তুলছিল যে, টানা এভাবে কিভাবে খেলবে। 

    “আমরা এখন শীর্ষ পাঁচটা দেশের পর্যায়ে (ব্যস্ত সূচি) খেলছি। টানা খেলা। এত খেলা, সফর করা, এই ধকল কিভাবে সামলাবে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরতি দিতে হলে কখন দেব? যেমন, সাকিবের মতো ক্রিকেটারের কিন্তু বিরতি দরকার। ও যদি টেস্টও খেলে, ওয়ানডে টি-টোয়েন্টিও খেলে এবং টানা খেলে, তাহলে কখন বিরতি দেব? আবার বিপিএল ও ফ্র্যাঞ্চাইজিও খেলবে। ওদের জন্য তাই সময় বের করতে হবে।”