• বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্কুল ক্রিকেট
  • " />

     

    বরিশালে ম্লান মেহেদির সেঞ্চুরি

    মেহেদির আজকের দিনটি আরো স্মরণীয় হতো নিজের স্কুল জয় পেলে। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন সে ক্রিজে এসেছে, দল তখন ১২.৫ ওভারে মাত্র ২৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে কম্পমান। ৫০ ওভার শেষে যখন অপরাজিত অবস্থায় মাঠ ছাড়ছে সে, নামের পাশে ২০টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো ১৩০ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ঝলমলে ইনিংস। তারপরও তার দল জিলা স্কুলের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৩৬ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই যে ২০-ও পেরোতে পারেনি!  যা টপকে যেতে ৩৬ ওভারের বেশি লাগেনি চৌহাটপুরের ছেলেদের। আজ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রাইম ব্যাংক ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের বরিশাল পর্যায়ের ম্যাচে জিলা স্কুলকে ইমতিয়াজ (৮৬) ও আশরাফুলের (৮২*) ব্যাটে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চৌহাটপুর হাই স্কুল।

     

    বৃথা গেল মেহেদির অপরাজিত শতক

    লো স্কোরিং এক ম্যাচ দেখেছে মাদারীপুর। আলহাজ্ব আমিন উদ্দিন হাই স্কুল প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করেছিল ৯৭ রান। সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেছে সমাপ্ত আহমেদ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ এসেছে মিস্টার এক্সট্রার খাতা থেকে! জবাবে চরমুগুরিয়া মারচেন্টস হাই স্কুল মাত্র ১৪.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই পৌছে যায় লক্ষ্যমাত্রায়।

    লো স্কোরিং ম্যাচ দেখেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ প্রথমে ব্যাট করে অলআউট হয় মাত্র ৯৬ রানে, জবাবে অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫.৪ ওভারে সহজ জয় তুলে নেয়। টানা ৩টি খেলায় জয়লাভ করে অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ফাইনালে উন্নীত হয়। বিজয়ী দলের উইকেট কিপার ও ওপেনার ব্যাটসম্যান সাকিবুল হাসান বাপ্পী আবারও অপরাজিত ৬২ রান করে। ৩টি খেলা শেষে বাপ্পীর স্কোর যথাক্রমে ৪৮, ১৬১, ৬২*।

    অন্যদিকে লালমনিরহাটেও হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করে অলআউট হওয়ার আগে কালেক্টরেট কলেজিয়েট স্কুল সংগ্রহ করতে পারে মাত্র ৯৯ রান। এই রান ডিফেন্ড করবে তারা, তা বোধহয় কেউই ভাবেনি। কিন্তু আগুন ঝরিয়েছে কলেজিয়েট স্কুলের বোলার সাজ্জাদ ও আবু জায়েদের বোলিং। ৫ ওভার বল করে ২৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নেয় সাজ্জাদ, অন্য প্রান্তে আবু জায়েদ ছিল আরো বিধ্বংসী! ৩ ওভার বল করে মাত্র ৫ রানে সে তুলে নেয় ৪ জনকে। অন্য উইকেটটি যায় অমিত কুমারের ঝুলিতে।

    পিরোজপুর দেখেছে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ। পিরোজপুর সরকারী হাই স্কুলের ছুড়ে দেয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ১২৫ রানেই পড়ে গিয়েছিল পিরোজপুর টাউন হাই স্কুলের অষ্টম উইকেট। কিন্তু তার পরপরই বৃষ্টির হানায় দলীয় ১২৮ রানের মাথায় থেমে যায় খেলা। প্যারাবোলা পদ্ধতিতে দেখা যায়, পিরোজপুর সরকারী হাই স্কুল তখন মাত্র ২ রানে এগিয়ে! 

    দিনের অন্য খেলায় গাইবান্ধায় মহিমাগঞ্জ হাই স্কুলের ছুঁড়ে দেয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় গাইবান্ধা সরকারী হাই স্কুলের ইনিংস। মহিমাগঞ্জের রাহুল (৪), শামীম (৩) ও আক্তারুল (৩) ভাগাভাগি করে নেন গাইবান্ধা সরকারী হাই স্কুলের উইকেটগুলো।