• বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্কুল ক্রিকেট
  • " />

     

    একপেশে ম্যাচের একটি দিন প্রাইম ব্যাংক প্রেজেন্টস বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেটে

    যখন অষ্টম উইকেট হারিয়েছে পৌরসভা আদর্শ হাইস্কুল, স্কোরকার্ডে তখন মাত্র ৩৩ রান। স্কুলের ইনিংস পঞ্চাশ পার হবে এমনটা বোধহয় পৌরসভা আদর্শ হাইস্কুলের ছেলেরাও ভাবেনি। কিন্তু নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে খালেকুজ্জামান খেললো ৭৬ রানের লড়াকু একটি ইনিংস। অন্যপ্রান্তে সোহানকেও (১৪) আউট করতে পারছিলেন না মৌলভীবাজার গভমেন্ট হাইস্কুলের বোলাররা। তাতে প্রথম ইনিংস শেষে একটু ভদ্রস্থ পৌরসভা আদর্শ হাইস্কুলের ইনিংস। ৪৪.১ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারানোর আগে তারা করতে পারে ১৩৯ রান। মৌলভীবাজার গভমেন্ট হাইস্কুলের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন রিফাত ও অনুপ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে যায় মৌলভীবাজার গভমেন্ট হাইস্কুলের ইনিংসও। মাত্র ৪৬ রান তুলতেই সাজঘরে তাদের প্রথম ছয়জন ব্যাটসম্যান। কিন্তু প্রতিপক্ষের খালেকুজ্জামানের কাছ থেকেই হয়তো অনুপ্রেরণা খুঁজে নিয়েছিলেন মৌলভীবাজার গভমেন্ট হাইস্কুলের অষ্টম ব্যাটসম্যান অনুপ। তার ৫০ রান ও সপ্তম ব্যাটসম্যান জুমানের অপরাজিত ৩৮ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নিশ্বাস মৌলভীবাজার গভমেন্ট হাইস্কুল শিবিরে। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে প্রাইম ব্যাংক প্রেজেন্টস বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেটের মৌলভীবাজার জেলার ম্যাচে অনুপের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে মৌলভীবাজার গভমেন্ট হাইস্কুল।

     

    বৃথা গেল নবম ব্যাটসম্যান খালেকুজ্জামানের ইনিংস

    মাদারীপুরে আবারও বড় জয় পেয়েছে চরমুগুরিয়া হাই স্কুল। ৭০ রানে জয় পেয়েছে তারা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা, নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ২২৯ রান। ফিফটি পাননি কেউই, তবে রানের দেখা পেয়েছে প্রায় সবাইই। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাঝারি একটি পার্টনারশিপ হলেও রাজীব (৪৬) ও ফাইজুনের (৩৩) বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শেষ পর্যন্ত ৪৩.২ ওভারে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানেই আটকে যায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

    বাগেরহাটে বড় রানের দেখা পেয়েছে বাহিরদিয়া সেকেন্ডারি স্কুলের আলামিন মীর। ৮৩ বলে ৭৯ রান করে সে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট জুটিতে তাকে সঙ্গ দেয় রিয়াদ (২০), সালমান (২৮) ও নাহিদ (৩৩)। তাছাড়া এই ইনিংসেও এক্সট্রার খাতা থেকে এসেছে ৮০ রান। অলআউট হওয়ার আগে নির্ধারিত ৪৩.৫ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ২৫৩ রান। ২৫৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আমলাপাড়া সেকেন্ডারি স্কুল। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থামে ১৫৭ রানে। ৯৬ রানে জয় পায় বাহিরদিয়া সেকেন্ডারি স্কুল। নবম ব্যাটসম্যান সাব্বির (৪০) ও দশম ব্যাটসম্যান রাব্বির (১০*) ইনিংস দু'টি না হলে হয়তো একশ রানও পার হওয়া হতো না আমলাপাড়া সেকেন্ডারি স্কুলের।  

    গাইবান্ধায় মহিমাগঞ্জ হাইস্কুলের জয় ১১১ রানের। ফিফটির দেখা পেয়েছে মহিমাগঞ্জ হাইস্কুলের রাতুল। সাথে নাহিদ ও রাজুর ছোট কিন্তু কার্যকরী দু'টি ইনিংসের সুবাদে ২৩৩ রান সংগ্রহ করে মহিমাগঞ্জ স্কুল। সাথে লক্ষীপুর স্কুল গুনেছে ৬৪টি অতিরিক্ত রান। জবাবে মাত্র ১২২ রানেই গুটিয়ে যায় লক্ষীপুর স্কুলের ইনিংস। বলের নিয়ন্ত্রণ ভালো ছিল না মহিমাগঞ্জ স্কুলের বোলারদেরও। ৫০টি রান অতিরিক্ত দিয়েছে তারাও। দিনশেষে দুই ইনিংসেই সর্বোচ্চ স্কোরার তাই মিস্টার এক্সট্রা।

    হবিগঞ্জে ১৩৪ রানের বড় জয় পেয়েছে হবিগঞ্জ গভমেন্ট হাই স্কুল। জুবায়ের আহমেদের (৬৮) ফিফটির সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ২২৫ রান করে হবিগঞ্জ গভমেন্ট হাই স্কুল। আইডিয়াল হাইস্কুলের পক্ষে রায়হান নেন ৪ উইকেট। জবাবে মাত্র ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় আইডিয়াল হাইস্কুলের ইনিংস। ৪টি উইকেট পেয়েছেন হবিগঞ্জ গভমেন্ট হাইস্কুলের অধিনায়ক মুশতাকও।

    বাগেরহাটে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন জুবায়ের আহমেদ

    পিরোজপুরে কাওকালি গভমেন্ট স্কুলের সামনে আজ দাঁড়াতেই পারেনি টাউন স্কুল। মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়েছে তারা। ৮ উইকেটে জয় পায় কাওকালি গভমেন্ট স্কুল। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও প্রথম থেকেই জুনায়েদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে টাউন স্কুলের ব্যাটসম্যানরা। হ্যাটট্রিক সহ ছয়টি উইকেট তুলে নেয় জুনায়েদ। প্রথম সাত জনের ছয় জনই জুনায়েদের শিকার। অষ্টম ব্যাটসম্যান সজীবের অপরাজিত ২৭ রানই টাউন স্কুলের সর্বোচ্চ। পরে লোয়ার অর্ডারকে ছেঁটে দেন আরিয়ান ও সিয়াম। দুইজনেই তুলে নেন দুটি করে উইকেট। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ২৭ ওভারের মধ্যেই জয় তুলে নেয় কাওকালি গভমেন্ট স্কুল।