বাংলাদেশের পেসারেরা ;আমার স্মৃতি রোমান্থন।
পোস্টটি ৪৪৮৩ বার পঠিত হয়েছেস্পিন খ্যাতি পাওয়া দল্ টা এখন পেস এ্যাটাকেও সমীহ করে নিচ্ছে ।শুরুর দিকটায় হাসিবুল হোসাইন শান্ত এর পর হাত ধরে মন্জুরুল ইসলাম মন্জু এবং তাপস বৈশ্যকে নিয়ে।বৈশ্য নতুন বলে উইকেট পেলেও শেষের দিকে খুব রান দিতো। মন্জু অভিজ্ঞতা দিয়ে সামলে নিত। সহায়ক হিসাবে খালেদ মাহমুদ সুজন। বৈশ্য আসার আগেই আমাদের মাশরাফি মুর্তুজা বিন কৌশিক ও হয়ে গিয়েছিলেন ভরসার প্রতীক, কিন্তু সেই ইনজুরি দুরে নিয়ে যায় মাশরাফিকে । আর এত সংগ্রাম করে পরে অগ্রদূত হবার গল্প এখনও দেখছি।
একই পথের পথিক মোঃ শরীফ।সে সময়ের অন্যতম দ্রুত গতির বোলার শরীফ ও ইনজুরিতে ছিটকে পড়ে। সাথে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে থাকা মিডিয়াম পেসার মুশফিকুর রহমান বাবুও পরের দিকে দলে ছিল অনেকদিন। অনেক দিন পর আসে তালহা জুবায়ের নাম। তখন তালহাকে ধরা হয়েছিল পেস বোলিং এর অন্যতম প্রধান অস্ত্র।কিনতু তালহা যুবায়ের ও পড়ে যান ইনজুরির তালিকায়। মাশরাফি ফিরে আসতে পারলেও আসা হয় নাই মো শরীফ অথবা তালহা জুবায়ের এর। প্রেক্ষাপটে ছিল আরও অনেকে। সৈয়দ রাসেল আসলেন।মনে হল যেন মন্জুরুল ইসলামের মত কেউ আসলো।কিনতু রাসেল গতির কারনে পিছিয়ে পড়লেন।নতুন বলে সুইং করতে পারলেও পুরানো বলে তার প্রতি নির্দয় হয়ে পড়তো বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা।এরই মাঝে ঝলকানি তারেক আজিজ খানের।মনে পড়ে জিম্বাবুয়ের সাথে প্রথম ওয়ানডে জয়ে ছিল তারেক আজিজ খানের অবদান।
মাঝে সুজন এবং মুশফিক বাবুর বিকল্প অলরাউন্ডার হিসাবে আসা ফরহাদ রেজাও পারলেন না নিজের অবস্থান করে নিতে। ডেভ হোয়াটমোর কোচ হয়েই নেমেছিল পেসারের খোজে।তার কোচ হিসাবে প্রথম বিদেশ সফর অস্ট্রেলিয়ায় যাবার আগে খুজে নেন আনোয়ার হোসেন মনির এবং গাজী আলমগির কে। আনোয়ার হোসেন মনির কিছুদিন খেললেও গাজী আলমগির( পুরানো বলে সুইং করতে সক্ষম) বেশিদিন পারেননি টিকে থাকতে।এরপর নাজমুল হোসেন ছিল আরেক হতভাগা। ইঠাৎ ইঠাৎ দলে সুযোগ পাওয়া এই বোলার বাংলাদেশের অনেকগুলো জয়ে দলে ছিল স্কোয়াড।কয়েকটা ম্যাচে অবদান ও ছিল তার। পরে ২০০২এর অনুর্ধ ১৯ দলে নাজমুল হোসেন এর সাথে খেলা শাহদাত হোসেন রাজীব টেস্টের জন্য ছিলেন অটো চয়েজ বোলার। কিনতু লংঙ্গার ভার্সনের এ বোলার ছোট ফরমেট গুলোতে ছিল চূড়ান্ত ব্যর্থ। এদের সাথে দলে থাকা অনুর্ধধ- ১৯ প্রশংসায় ডুবে থাকা রুবাইয়েত হক তো জাতীয় দলের মুখ ই দেখতে পাননি। এরপরের দিকে রুবেল হোসেন চলে আসেন সামনে।নিউজিল্যান্ডের সাথে ভাল করে ভরসার প্রতিক হয়ে যান। সাথে আসেন সফিউল ইসলাম সুহাস। সাথে সাথে ম্যাশ তো ফিরে আসেন এদের অনেক আগে। মাঝে ছিল বাহাতি রবিন এর মত কয়েক ম্যাাচ খেলা কয়েকজন যেমন সাজেদুল ইসলাম , ডলার মাহমুদ,জিয়াউর রহমান জিয়া ।
এরপর তাসকিন আহমেদ আমাদের পরবর্তি মাশরাফি। সাথে আল আমিন হোসেন, আবু হায়দার রনি, রবিউল ইসলাম জীবন,আবুল হোসেন রাজু রা তো আছেই। রবিউল ইসলাম ক্যারিয়ারে টেস্টে অনেক কিছু দেবার বাকি। হয়তো ভবিষ্যৎ এ আশা পুরন হবে। মো শহীদ ও লংঙ্গার ভার্সনে ভাল করবে ধরা যায়।আর মুস্তাফিজ এর উত্থান বাংলাদেশ ক্রিকেট এর পেস আক্রমণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ । তার প্রশংশা বলে শেষ করা সম্ভব নয়।আর ফিজ সামনের দিন গুলি স্বর্ণ গাথা হয়ে থাকবে আশা করি
যাইহোক এতকিছু বলার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক নিয়ে যারপনাই খুশি হবার কথা পুরো দেশের। কারন যেখানে মুস্তাফিজুর রহমান যেভাবে আমাদের পেস এ্যাটাক কে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে তা আর নতুন করে বলার দরকার হয় নাহ। আরো ভাল হয়ত ভবিষ্যৎ দেখবো,কারন তামিম সাকিবের পাশাপাশি ম্যাস, ফিজ,তাসকিন দের এর মত হবার ইচ্ছে যে অনেকের। শুভ কামনা এবং একরাশ সাহসী আহ্বান এগিয়ে বাংলার পেস বোলাররা ।এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, বাংলাদেশের পেস এ্যাটাক।
- 0 মন্তব্য