• ফুটবল

স্প্যানিশ বীরত্বগাথাকে চ্যালেঞ্জ ফ্রেঞ্চ দুঃখগাথার

পোস্টটি ৯১৮৫ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

৬-১ এর লজ্জাকে এত সহজে ছাড় দিতে নারাজ ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। রেফারীর সকল বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে একত্রিত করে একটি ভিডিও উয়েফাকে তারা পাঠিয়েছে অফিসিয়াল অভিযোগের আকারে। এই অভিযোগে মূলত ৮টি বিষয়কে তারা প্রাধান্য দিয়েছে। বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক রেফারি, পরামর্শক লেস পারিসিয়েনসের পরামর্শে বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী সংবাদপত্রের অংশবিশেষ এখানে তারা তুলে ধরেছে।

 

 

১. ম্যাশচেরানোর হাতের ছোঁয়া

 

 

হুলিয়ান ড্র্যাক্সেলারের ক্রস ডিবক্সের ভেতরে যে ম্যাশচেরানোর হাতে লেগেছিল এ বিষয়ে রিপ্লে দেখার পরে থেকেই আর কারো কোন সন্দেহ থাকার কথা না। কিন্তু রেফারী দেনিজ আয়তেকিনের চোখ এটা ফাঁকি দেওয়ার ফলে কোন মাশুল গুনতে হয়নাই আর বার্সাকে। অথচ মাত্র ২০ গজ দূরে থাকা রেফারীর চোখের সামনে বাধাস্বরূপ কিছু দেখা যায়নি রিপ্লেতে।

 

 

২. পিকের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড?

 

 14894387388134

 

২৩ মিনিটে প্রথম হলুদ কার্ড পায় পিকে। এরপর ম্যাচের ৪১ মিনিটে কাভানিকে শেষ ডিফেন্ডার হিসেবে ফাউল করে বসে পিকে। আপাতদৃষ্টিতে নিজের মার্কারকে গতিতে পরাস্ত করে গোলের দিকে এগিয়ে গেলেও এ স্ট্রাইকারের শার্ট টেনে দেওয়ার ফলে বাধাগ্রস্থ হয় এ আক্রমণ যা থেকে যায় রেফারীর দৃষ্টির অগোচরেই।

 

 

৩. নেইমারের বক্সে ডিগবাজি

 


 

থমাস মুনিয়ারের স্লিপ করে পড়ে যাওয়ার জন্য নেইমারের ধাক্কা লাগে তার সাথে ডিবক্সে। ফলশ্রুতিতে পেনাল্টি কল আসে রেফারী থেকে। কিন্তু পিএসজির দাবী নেইমার মুনিয়ারের পড়ে যাওয়ার পরে ইচ্ছাকৃতভাবেই তার সংস্পর্শে আসে। আয়তেকিন যদিও পরিষ্কারভাবেই এ ঘটনাটা খুব কাছ থেকেই দেখেছিলেন তবুও সময় নিয়ে সে স্পটকিকের জন্য বাঁশি বাঁজায়।

 

 

৪. মারকুইনহোসকে নেইমারের চার্জ

 

 

ম্যাচের যখন ৩-১, তখন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার মারকুইনহোসের পায়ে পেছন থেকে চার্জ করে। ভিডিওতে যা দেখা যায় তাতে রেফারীর এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ পিএসজির সাথে আরো অনেক নিরপেক্ষ সমর্থকই করতে পারে বলাই যায়।

 

 

৫. সুয়ারেজের প্রথম ডাইভ

 


 

ভেরাত্তির সাথে নূন্যতম স্পর্শেই পড়ে যায় ডিবক্সে সুয়ারেজ। যার পুরোটাই নাটক বুঝে যান আয়তেকিন। স্পট কিক না দিলেও কেন সেখানে কোন কার্ড দেওয়া হল না কেন তা জানার দাবি পিএসজির।

 

 

৬. পিকের হ্যান্ডবল

 

14894389532166

 

৭৮ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস স্পষ্টতই পিকের হাতে লাগে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাঁশির শব্দ আসে না রেফারীর মুখ থেকে। এ সিদ্ধান্তের পরে হতাশ না হওয়ার আসলে কোনই কারণ থাকে না পিএসজির।

 

 

৭. আবারো ম্যাশচেরানো

 


 

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হত যদি আরেকটা গোল পেত পিএসজি। যার একটা সুযোগ আসে যখন ডি মারিয়া গোলকিপারের সাথে ওয়ান অন ওয়ান ছিল। কিন্তু পেছন থেকে ম্যাশচেরানোর ডি মারিয়াকে চার্জ করে যা আয়তাকিনের কাছে ফেয়ার প্লে বলেই মনে হয়।

 

 

৮. এবং সুয়ারেজের দ্বিতীয় ডাইভ

 


 

বার্সার পঞ্চম গোল যেটা সেই রাতের সবচেয়ে বড় অভিযোগ, সেই পেনাল্টিটা। যেভাবেই বলা হোক না কেন সেই পড়ে যাওয়াতে মারকুইনহোসের কোন হাত কেন শরীরের কোন অংশই ছিল বলে কেউই মানবে বলে মনে হয় না।

 

**[সংগৃহীত এবং পরিমার্জিত]