• ফুটবল

ব্রাজিলের ফিরে আসা এবং সমর্থকদের শঙ্কা

পোস্টটি ১৫১২৪ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

tite-apresentacao-brasil-world-cup-trophy-20062016_1odzblg0rzrjazl1f39uzvp4tসর্বশেষ দেখা ব্রাজিলের খেলা হচ্ছে আর্জেন্টিনার সাথে ম্যাচটা। গত দুই ম্যাচ ঘুম সম্পর্কিত কারণে দেখা হয়নাই। বাছাইপর্বের পাউলিনহোর নজরকাড়া পারফর্মেন্সের উপর ভর করে ব্রাজিল এরি মধ্যে রশিয়ার টিকেট কেটে ফেলেছে। ঠিক এক বছর আগে আমরা যে পজিশনে ছিলাম বর্তমানে আমাদের চীরপ্রতিদ্বন্দি আর্জেন্টিনা সেখানে অবস্থান করছে। দুঃখের বিষয় টানা নয় ম্যাচের জয়ের পরও দেখা যাচ্ছে ব্রাজিলের ফ্যানবেস পুরোপুরি খুশি না। বাছাইপর্ব থেকে বাদ যাওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল অন্তত সেটা এখন আর নেই, আসলে ভালভাবেই সেই সময়টাকে পিছনে ফেলে আসা গেসে।

২০০৬ পরবর্তী সময়ে ব্রাজিলের উত্থান পতন কম হয়নাই। দুঙ্গার প্রথম পর্বে ব্রাজিলে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছিল, কিন্তু কুৎসিত ফুটবলের নামে সেটা স্বীকৃতি পায়নাই। ২০১০ বিশ্বকাপে শক্তিশালী এবং ফর্মে থাকা প্লেয়ারদের নিয়েও কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল। এরপর মেনো মেঞ্জেসের সেই মন্তর গতিতে দল গঠণের প্রক্রিয়াকে আধাপাঁকা অবস্থায় রেখেই আনা হয়েছিল ফিলিপে স্কলারিকে। স্কলারির নিয়োগের সময়, নিয়োগ পরবর্তি পরিবর্তন এবং সাফল্যের সাথে বর্তমান কোচ তিতের দলের বিষয়গুলো কম্পেয়ার করলে দেখা যায় দুজনেই নিয়োগের পরপর দলে একই পরিমাণ ইম্পেক্ট ফেলতে সমর্থ হয়। দুজনেই কিছু প্লেয়ার পরিবর্তন করেন, তবে যেটা বেশি চমকপ্রদ সেটা হচ্ছে প্লেয়ারদের মনোবলের পরিবর্তন ঘটানো যেটা দুই কোচই খুব ভালভাবে করতে সমর্থ হয় যা ম্যানেজার হিসেবে তাদের অভিজ্ঞতা বা সক্ষমতা দুটাই প্রমাণ করে। তিতে যে দিক থেকে এগিয়ে সেটা হচ্ছে স্কলারির বেশিরভাগ ম্যাচ ছিল ফ্রেন্ডলি আর তিতে প্রায় সবগুলা ম্যাচই খেলেছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের। অবশ্য কনফেডারেশন কাপে ব্রাজিলের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাকে তিতের এই নয় ম্যাচ রানের সাথে তুলনা করা যায়। উলটা বলা যায় সে সময়ে ব্রাজিলের সাফল্যটা আরো কঠিণ ছিল প্রতিপক্ষ এবং দলের প্লেয়ারের অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে। তিতের নয় ম্যাচ আর স্কলারির কনফেডারেশন কাপের সাফল্য একটা জিনিস পরিষ্কারঃ ব্রাজিল ছন্দে থাকলে, প্লেয়ারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোন দল/প্লেয়ার নিয়ে যেকোন দলকে যেকোন সময়ে সহজে হারিয়ে দিতে সক্ষম। সমস্যা হচ্ছে ছন্দটাও সঠিক সময়ে দরকার।

কোচের পরিবর্তন হলে দলে প্লেয়ারদের মধ্যে আগের দুর্বল ম্যানেজমেন্টের যে খারাপ একটা প্রভাব পড়ে সেটা সরে যায় এবং নতুন কোচ যোগ্যতা সম্পন্ন হলে প্লেয়াররা নতুন কোচের নতুন ট্যাক্টিক্সে উজাড় করে খেলার চেষ্টা করে যার ফলশ্রুতিতে নতুন কোচ নিয়োগের শুরুতেই দুইবারই কোচ খুব ভাল রেজাল্ট বের করে আনতে পেরেছে। এটা আমার ব্যাক্তিগত হাইপোথেসিস; মনোবিজ্ঞানীরা এটা ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবে। আর এই হাইপোথেসিস যদি সত্যি হয় তাহলে বলতে হবে ব্রাজিল তার স্বাভাবিক রুপ এখনো দেখায়নি। সমালোচকদের ফেসবুক পোস্ট দেখে এটা নিশ্চিত হয়েছি যে তিতের দারুণ সাফল্য সত্ত্বেও দলে অনেক দুর্বল জায়গা রয়েছে যেগুলা যেকোন সময় মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। দুঙ্গার দ্বিতীয় স্পেলের সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয় ছিল দল নির্বাচন নিয়ে এবং টানা ৫ টা বাছাইপর্বের ম্যাচ জিতেও তিতেকে সেই একই বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষ তার সাবেক দল করিন্থিয়ান্সের অনেক প্লেয়ারকেই দলে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বা বিতর্ক উঠে এদের কয়েকজন বর্তমানে চীনের ঘরোয়া লীগে খেলে । এটা নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নাই যে চীনে একটা প্লেয়ার খেলায় যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা যে ডিফিকাল্টি ফেইস করে সেটা ইউরোপের তুলনাইতো না-ই, ব্রাজিলের লীগের সাপেক্ষেও নগন্য। সুতরাং এসব প্লেয়ারকে দলে নেয়াটা যেমন দলকে দুর্বল করতে পারে তেমনি সেটা অন্যান্ন ব্রাজিল এর প্লেয়ারদেরও চীনে খেলতে অনুপ্রাণিত করতে পারে যেটা সত্যিকার অর্থে ব্রাজিলের জাতীয় দলের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। কিন্তু সেটা কোচের চিন্তার বিষয় কিনা বুঝা উচিত। কোচ কে নিয়োগ দেয়া হয় একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য। তিতের ক্ষেত্রে প্রথম কাজ ছিল ব্রাজিলকে জয়ের ধারায় ফিরিয়ে বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া। এখন এই কাজটা কিভাবে সে সম্পন্ন করবে সেটা পুরাপুরি ওর ব্যাপার। কারণ হারলে দিনশেষে তাকেই জবাবদিহি হতে হবে। সুতরাং সে শুরুতেই এমন প্লেয়ার দিয়েই দল গঠণ করবে যার উপর সে পুরোপুরি আস্থা রাখবে। ঘটনাচক্রে তার আস্থার জায়গায় এমন কিছু নাম চলে আসে যেগুলা তার সাফল্য সত্ত্বেও বিতর্কিত হয় বা হচ্ছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না তিতের সিলেকশান নেতিবাচক ফল নিয়ে আসছে ততক্ষন পর্যন্ত তিতের দিক থেকে সে ঠিক কারণ তার উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই কয়টা ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করা এবং ভাল ফুটবল খেলেই সে তার প্রজেক্টের প্রথম মাইলস্টোন বা চেকপয়েন্ট অতিক্রম করে গেছে। কোচের দল অনেকের পছন্দ না হলেও তিতে তার কাজের জন্য অন্তত ভুল কাউকে বেছে নেয়নাই। এটা অনেকটা এরকম, আপনি একটা রিসার্চ করবেন। আপনি পার্টনার হিসেবে এমন কাউকে বেছে নিলেন যে আসলে সফল কেউ না কিন্তু আপনি তার মেধা সম্পর্কে জানেন এবং সেও আপনার কাজ সম্পর্কে জানে, ফলে তাকে নিয়ে যত সহজে আপনি রেজাল্ট বের করে আনতে পারবেন সেটা হয়ত অন্য কাউকে (যার প্রোফাইল বেটার) নিয়ে পারতেন না। এখন কথা হচ্ছে অন্য কেউতো আরো বেটার কিছুও দিতে পারতো। তিতের উত্তরঃ আমি এদের কে সাথে নিয়ে যা দিয়েছি তার চায়তে বেটার আর কি হতে পারে? পাউলিনহোর ব্যাপারে যেটা বলতে পারিঃ হি ইজ অলরেডি প্রোভেন প্লেয়ার - এখন ওর কাছ থেকে সেরাটা বের করে নেয়ার দায়িত্ব কোচের। দুঙ্গার প্রথম আমলে রবিনহো ক্লাবে আহামরি না হওয়া সত্বেও জাতীয় দলে ঠিকই ভাল করত। সুতরাং ব্যাপারটা কোচ কোন প্লেয়ারের কাছ থেকে কিরকম কাজ/পারফর্মেন্স আদায় করে নিচ্ছে সেটার সাথে সম্পর্কিত এবং অদুর অতীত বলে সেরা ফর্মের সেরা ক্লাবের সেরা লীগের প্লেয়ার নিলেই (উদাহারণ ২০০৬, ২০১০ বিশ্বকাপ) যে দল ভাল ফুটবল খেলবে বা কাপ জিতবে তার নিশ্চয়তা কেউ দেয়না। অতএব কোচ সেই পন্থাই গ্রহণ করবে যেটাতে অন্তত তার আত্মবিশ্বাস আছে।

 

আপাতত কোচ তার প্রথম অপারেশন সাফল্যের সাথে শেষ করেছে। এখন পরবর্তি কাজ হচ্ছে বিশ্বকাপ ঘরে নিয়ে আসা। আমি একদম মনে প্রাণে বিশ্বাস করি তিতে বা স্কলারি যদি ঠিক বিশ্বকাপের দুই মাস আগে নিয়োগ পেত তাহলে তারা বিশ্বকাপ জিতত। কারণ কোচ পরিবর্তনের ফলে দলে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে দুইবার সেই পরিবর্তনের সময়টা এক্ষেত্রে চলত বিশ্বকাপের সময়েই। আর ছন্দে থাকলে ব্রাজিল যেহেতু যে কাউকেই হারাতে পারে সেটার সুযোগে হয়ত ব্রাজিল বিশ্বকাপ নিয়ে যেতে পারত। বিশ্বকাপে খেলতে হয় মাত্র সাত ম্যাচ। তাও গ্রুপ পর্বের একটা ম্যাচ চাপ ছাড়া খেলা যায়। নকাউট ম্যাচ চারটা। ২০১৩ কনফেডারেশন কাপ বা তিতের গত ৯ম্যাচের পরিসংখ্যান বলে ওই চার ম্যাচ জেতা অসম্ভব কিছুনা। যাই হোক, সিরিয়াসসমালোচকরা আমার এসব আবেগতাড়িত কথা শুনে হাসবে শুধু। কিন্তু আমার কাছে জাতীয় দলের ফুটবল এরকমই, সাত ম্যাচের খেলা। আমরা যারা ব্রাজিলের দল বাছাই নিয়ে বিভিন্ন ইউরোপীয়ান দলের তুলনা দি - সিরিয়াসলি! স্পেন ছাড়া কোন দলের পরিসংখ্যান কি ব্রাজিলের সাম্প্রতিক বছরগুলোর সাফল্যের সাথে যায়? জার্মানী নিয়ে এত কথা বলি কেন, কারন তারা ওই সাত ম্যাচের বিশ্বকাপ জিতসে তিন বছর আগে। কেউ কিন্তু এটা চিন্তা করেনা এরকম গোছানো একটা দলের গত ২০ বছরের সাফল্য শুধু একটা বিশ্বকাপ। ওরা নিজেরাও জানেনা আগামী বিশ্বকাপে ওরা কেমন খেলবে যেমন জানতনা ২০০৬ আর ২০১০ এর ফাইনালিস্টরা। স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স তিনটা দলই পরের বিশ্বকাপে গ্রুপ রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছে। বর্তমানে আর্জেন্টিনার অবস্থা তথৈবচ। অথচ ওদের দলে ঠিকই ইউরোপের প্লেয়ারে ভরা। হিগুয়েন আগুয়েরোর মতো ফরোয়ার্ড থাকতেও তারা দলকে গোল এনে দিতে পারছেনা। এমন না যে তারা ক্লাবে ফর্মে নাই। আর্জেন্টিনা যাস্ট একটা উদাহারণ। তবে এ উদাহারণগুলো দেয়া হয়েছে এটা বুঝানোর জন্য যে যাস্ট ইউরোপের সেরা প্লেয়ার নিলেই আপনার বিশ্বকাপ বা সাফল্য নিশ্চিত না। আর যে জিনিসটা নিশ্চিত না সেটা নিয়ে এত হাহাকার কেন?

ফুটবলের কঠিণ ম্যচগুলো জিততে প্যাশন লাগে। রোনালদো জিদান নেইমার দের মতো এক্সফ্যাক্টর লাগে। ২০০২ এ ব্রাজিল যাস্ট ভাল প্লেয়ার ছিল বলে জিতে নাই, সেটাতো ২০০৬ এও ছিল, ১৯৯৮ এ ছিল। ২০১৪ এর সেমিফাইনালে নেইমার আর সিলভা থাকলে কি হতো ইউ নেভার নো। এই প্যাশন বা এক্সফ্যাক্টরগুলা যদি বিশ্বকাপের সময়ে কাজ করে তখনই সাফল্যটা আসে। আর বিশ্বকাপের সময় দলকে এখনকার মতো উজ্জিবিত রাখাটাই হবে কোচ তিতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্দিষ্ট ম্যাচে ক্লেবারসনের ক্যামিও যথেষ্ট। যে প্লেয়ারটা নিজেকে প্রমাণের জন্য তাড়না অনুভব করবে সে যেকোন প্রতিপক্ষকে ন্যুনতম সুযোগেই আঘাত করতে চায়বে। এখন এটা কোচের উপর নির্ভর করবে সে কাকে কতটুকু উজ্জিবিত করতে পারবে। একটা প্লেয়ার হয়ত ক্লাবে এক কোচের আন্ডারে ভাল খেলছে, তাকে আরেক কোচ একইভাবে খেলাতে নাও পারতে পারে। কাজটা যেহেতু কোচকেই করতে হবে সুতরাং ও কাকে নিয়ে কাজ করলে সাফল্য পবে সেটা বাইরে থেকে কেউ বলতে পারেনা। দুঙ্গার সময়ে ইলিয়াস বা অন্যান্ন ওভারেজড প্লেয়ার নেয়াতে সমালোচনা হতো। কারণ দুঙ্গা সাফল্য পাচ্ছিলনা কম্পিটিটিভ ম্যাচে। আর তিতে ওইসব প্লেয়ার বাদে নতুন প্লেয়ারদের নিয়ে দল গঠণ করে সাফল্য পাওয়ার পরও সিলেকশান নিয়ে সমালোচনা সহ্য করছে। এটা দ্বারা বুঝা যায় ব্যাপারটা আসলে পুরোপুরি সাফল্য বা ব্যার্থিতাকেন্দ্রিক না - নিজের প্রিয় পছন্দের প্লেয়ার দলে না থাকাতেই এই এরকম হতাশামুলক কথাবার্তা বের হয়। যে লুইজকে দল থেকে বের করার জন্য লেখা হতো, সেখানে এখন লুইজকে দলে চেয়ে কোচের সমালোচনা হয়। অথচ একসময় মিরান্ডা ছিল লুইজের চেয়ে বেটার চয়েস। দিনশেষে জিনিসগুলা যার যার চয়েসেরই ব্যাপার। আর চয়েসের ক্ষেত্রে যাকে সত্যিকারভাবেই দায় গ্রহণ করতে হবে তার সীদ্ধান্তকে অন্তত সাফল্যের পর প্রশ্নবিদ্ধ করাটা আসলে অযৌক্তিক কারণ তার চয়েস যাই হোক (ইউরোপ/চায়না, ছোকরা/বুড়া) - জিতে গেলে বাহবা পাবে, হেরে গেলে দুঙ্গা/স্কলারির মতো গালি শুনবে। তাইলে আমরা কি করব? আমরা আর কি করব? জিতে গেলে উদ্যাপন করব। হেরে গেলে আরেকটা কোচের সাইকেল শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করব! বিশ্বকাপের আগ মুহুর্তে শুরু হলে ব্যাপারটা খারাপ হয়না। তবে যারা জুয়াকিম লোর মতো তিতের কাছ থেকে সাফল্য আশা করে তাদের অন্তত ২০২২ পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করার নিয়ত রাখতে হবে। আর কোপা টোপার চিন্তা সাইডে রাখতে হবে। তবে নেইমার থাকলে কোচ গৌণ। যদি খেয়াল না করে থাকেন - দুঙ্গা তার ২য় পর্বে দুই কোপার কোনটাতেই নেইমারকে পুরাপুরি পায়নাই। স্কলারিও শুধু এক ম্যাচেই নেইমারকে পায়নাই।