যুবরাজের গল্প
পোস্টটি ৮৯৪৮ বার পঠিত হয়েছেফুটবলে ইতিহাসে কিছু প্লেয়ার থাকে যাদেরকে সর্বজনগৃহীত সর্বকালের সেরা বলেনা কেউ । কিন্তু তাদের ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় বা কোন এক সময় এমন কিছু তারা করে দেখিয়েছেন যেটা তাদেরকে আজীবন স্মরণ করে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল । আর যে তার কোন কর্ম তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহারণ হিসেবে রেখে যান তাদেরকে আমরা বলে থাকি লীজেন্ড । আসলে "কিছু" বললে ভুল হবে , এই লিস্টের প্লেয়ারই বেশী । তাদের জন্য একটা সুখবর হচ্ছে তাদেরকে নিয়ে কেউ তর্ক করেনা , কারণ তারা ওই বিশেষ কিছুর জন্যই কিংবদন্তি এবং ওটাতে উনি ছাড়া আর কেউ গণ্য না । আর ২২ এপ্রিল আসলে এরকম একজন কিংবদন্তিকে নিয়ে কোন ফেসবুক পোস্ট না হলে নিজেকে খুব অকৃতজ্ঞ মনে হয় । আজকে অবশ্য ডেভিড লুইজেরও জন্মদিন কিন্তু আমি লিখছি কাকাকে নিয়ে ।
দেখতে দেখতে ৩৫ এ পা দিয়ে দিয়েছেন কাকা - মিলানের যুবরাজ কাকা, সাউ পাওলোর যুবরাজ কাকা, মাদ্রিদের যু... - না তিনি মাদ্রিদের যুবরাজ ছিলেন না , তবে তার সরল সুন্দর চেহারা আর সেরা সময়ে তার আকর্ষনীয় প্লেয়িং স্টাইল তাকে ফুটবলের যুবরাজ হিসেবে চাইলে স্বীকৃতি দিতেই পারে । কিন্তু ৩৫ এ এসে তিনি আর যুবরাজ নন । তবে তাকে যারা শেষবার দাপিয়ে বেড়াতে দেখেছে ফুটবল মাঠে তখন তিনি যুবরাজই ছিলেন , আর কিংবদন্তি কাকা বলতেতো আমরা সেই ২৫ বছরের কাকাকেই চিনি যে কিনা মুহুর্তের মধ্যে ফ্লেচার এর মাথার উপর দিয়ে বল নিয়ে হেইঞ্জ আর এভরাকে দৃষ্টিভ্রম করে ভ্যান ডার সারকে পরাজিত করে ওল্ড ট্রেফোর্ড সমর্থকদের উচ্ছাস থামিয়ে দিয়েছিল । কিংবিদন্তি কাকা বলতে আমরা চিনি ২৫ বছর বয়সি সেই কাকাকে যে কিনা নিজের বক্স থেকে মেসিকে নিজের সঙ্গে নিয়ে আর্জেন্টিনা ডিফেন্সকে পিছনে ফেলে বল জালে জড়িয়ে দেন ।
তবে আরেকটু পিছন থেকে কাকার গল্পটা শুরু করলে খারাপ হয়না - বেশী পিছনে না , ওর প্রথম প্রফেশনাল ম্যাচের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক যুবরাজ কাকার কিংবদন্তি ।
- কাকা সাও পাওলোর হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন ২০০১ সালে , বদলি হিসেবে । কাকার সিনিওর দলে ঢুকাটা ছিল নাটকীয় । ব্রাজিলের একটা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ "তরনিও রিও - সাউ পাওলো" এর জন্য সিনিওর দলের কোচ ভালদাও জুনিয়র টিমের কোচের কাছ থেকে একজন মিডফিল্ডার চান । জুনিয়র দলের কোচ মিডফিল্ডার দিতে রাজী হননি কারণ মেইন দলের ওই মিডফিল্ডার ছিল দলের ক্যাপ্টেন এবং অভিজ্ঞ প্লেয়ার । তাই জুনিয়র দলের কোচ তার রিজার্ভ প্লেয়ার , সদ্য পুল এক্সিডেন্ট থেকে সেরে উঠা কাকাকে দেন সিনিয়র দলে খেলার জন্য । "তরনিও রিও - সাউ পাওলো" এর ফাইনাল ম্যাচে সাউ পাওলো মুখোমুখি হয় বোটাফোগোর । ফ্যাবিয়ানোকে বদলি করে নামার আগ পর্যন্ত সাও পাওলো পিছিয়ে ছিল এক গোলে । জুনিয়র দল থেকে সিনিয়র দলে ডাক পাওয়া অচেনা বালক প্রফেশনাল ফুটবলার হিসেবে প্রথমবার নেমে পর পর দুই গোল করে সাউ পাওলোকে তাদের ইতিহাসের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত ওই একবারই "তরনেইও রিও সাউ পাওলো" কাপ জিতাতে ভূমিকা রাখেন । যেটা সাউ পাওলোর দর্শকদের জন্য এখনো স্মরণীয় । ওই সিজনে কাকার পারফর্মেন্স তাকে স্কোলারীর বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে দেয় । কাকা ২০০২ সালে ব্রাজিলের জাতীয় পুরষ্কার "Bola de Oura" অর্থাত গোল্ডেন বল পান যেটা কার্যত দেশটির "ফুটবলার অফ দ্যা ইয়ার" এর সমতূল্য । একই বছর কাকা তার পজিশনের বেস্ট প্লেয়ার নির্বাচিত হন ।
- সাউ পাওলো এবং জাতীয় দলে কাকার পারফর্মেন্স রিয়ালমাদ্রিদ , এসি মিলান সহ ইউরোপের অনেক বড় ক্লাবের নজরে আসে । ২০১১ সালে রিয়ালমাদ্রিদ চ্যানেলে "Real Kaka" শোতে কাকা এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকারে বলেন ২০০২ সালে পেরেজের সাথে কাকার দেখা হয় পেরেজের কর্মস্থলে । রিয়ালমাদ্রিদের শতপর্ষ পূর্তি উপলক্ষে রিয়ালমাদ্রিদ বনাম ফিফা অল স্টার একাদশের মধ্যকার ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রিত হন কাকা । সেখানে খেলতে ওই সাক্ষাতে পেরেজ কাকাকে জানান যে সে একদিন মাদ্রিদের প্লেয়ার হবে এবং কাকাও নিজেকে তৈরি করার কথা বলেন । সাউ পাওলোর ২০ বছর বয়সী একজন প্লেয়ারের জন্য বিশেষ কিছু । http://unamadridista.wordpress.com/2011/10/18/kaka-the-real-interview/
- ২০০৩ এর গ্রীষ্মে এসি মিলানে যোগ দেন কাকা । প্রথম দেখাতে কোচ আনসেলোত্তি বিশ্বাস করতে পারেন নাই যে প্লেয়ারটা ভাল কিছু করতে পারবে । আনসেলোত্তি তার আত্মজীবনিতে কাকাকে নিয়ে আলাদা চ্যাপ্টার রাখেন যেখানে লিখেন প্লেয়ার হিসেবে কাকার প্রথম দর্শন যেটা ছিল মিলানের ট্রেইনিং গ্রাউন্ডে । আনসেলোত্তির ভাষায় , "এরপর যা হলঃ সে এখনো মাতালের মত দুলছিল , তারপর মাঠে নামল , এরপর আমি একটা স্বর্গীর ধ্বনী শুনলাম । সে স্বর্গী থেকে আগত জিনিয়াস , সত্যিকার ভাবেই স্বর্গ থেকে পাঠানো । ধন্যবাদ ঈশ্বর । তোমাকে ধন্যবাদ ।"
- ঐ সময় মিলানের মিডফিল্ডে ছিল রুই কস্তা , রিভালদো , পিরলো , সিডর্ফ এর মত কোয়ালিটি প্লেয়ার । কাকাকে কেনার পর সবাই ধরে নেয় কাকাকে হয়ত লোনে অন্য ক্লাবে পাঠিবে আরো তৈরি হবার জন্য অথবা বেঞ্চে থাকতে হবে । কিন্তু প্রথম ট্রেনিং সেশনে আনসেলোত্তির নজর কাড়া বালকটি শেষ পর্যন্ত প্রথম একাদশেই জায়গা করে নেয় এবং সেখান থেকে আর নামানোর কোন সুযোগ দেয়নি কাকা । অভিষেক ম্যাচে শেভচেঙ্কোকে এসিস্ট করা কাকা ২য় ম্যাচে প্রায় ৩০ গজ দুর থেকে একটা অসাধারণ লং রেন্জ শটে প্রথম গোলটা করেন । যে জিনিসটা কাকাকে মিলান ফ্যানদের কাছে বেশি আপন করতে অবদান রাখে তা হল তার প্রথম মিলান ডার্বিতে অসাধারণ খেলার পাশাপাশি চীরপ্রতিদ্বন্দিদের বিপক্ষে স্কোরশীটে নাম উঠানো যেটা বলবত থাকে একই মৌসুমের ২য় লেগের ম্যাচেও । অর্থাত একই সিজনে দুই ম্যাচেই ইন্টারের বিপক্ষে গোল । কিন্তু কাকাকে মনে রাখার জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু করেন মিলানের জন্য । ব্রাজিল জয় করে আসা ২১ বছর বয়সি ছেলেটা ইউরোপে প্রথম মৌসুমে ১৪ গোল করে এসি মিলানকে চার বছর পর স্কুডেটো জিতাতে ভূমিকা রাখেন । তার অনবদ্য পারফর্মেন্সের জন্য প্রথম সিজনেই কাকা "সিরিআ প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার" পুরষ্কার জিতে নেন । সাথে "সিরিআ ফরেইন প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার" পুরষ্কারটাও । ওই বছর চ্যাম্পিয়নস লীগে কাকা করেন ৪ গোল ।
- আগের তিন মৌসুমে ব্রাজিল এবং ইতালীতে নিজেকে সেরা প্লেয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পর ২০০৪-০৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগেও নিজেকে আরো ভালভাবে মেলে ধরেন কাকা । শেভচেঙ্কো এবং ক্রেসপোর পিছনে সিডর্ফ গাত্তুসো পিরলো আমব্রোসিনি সমৃদ্ধ মিডফিল্ডের ট্রেকোয়াতিস্তা পজিশনে ভালভাবে এঁটে যান কাকা । পুরা চ্যাম্পিয়নস লীগে দুর্দান্ত খেলা কাকা মিলানকে ফাইনালে তুলতে ভূমিকা রাখেন । সেমিফাইনালে পিএসভি এর বিপক্ষে ম্যাচের ৮৪ মিনিটের মাথায় তার এসিস্ট থেকে আমব্রোসিনির করা গোল সেসময় দুর্দান্ত খেলতে থাকা পিএসভি কে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয় । ইস্তাম্বুলের মহাকাব্যিক ফাইনালে মিলানের করা তিনটি গোলেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অবদান রাখেন কাকা । দলের ৩য় এবং ক্রেসপোর ২য় গোলটি আসে কাকার অসাধারণ এক পাস থেকে । মাঝ মাঠেরও দুর থেকে দারুন এক থ্রু পাস লিভারপুল ডিফেন্সকে অতিক্রম করে খোঁজে নেয় ক্রেসপোর পা - ধন্যবাদ ক্রেসপো । শেষপর্যন্ত জিততে না পারলেও ওই বছর কাকা "উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ বেস্ট মিডফিল্ডার" হিসেবে নির্বাচিত হন । একই বছর কাকা ব্রাজিলকে কনফেডারেশন কাপ জিতাতে ভূমিকা রাখেন । ফাইনালে চীরপ্রতিদ্বন্দি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে করা গোলটি কনফেডারেশন কাপ ইতিহাসের ২য় সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত হয় ।
- পরের দুই মৌসুম কাকা ইউরোপের ডোমিনেন্ট একজন প্লেয়ার হিসেবে নিজেকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যান । ২০০৬ বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন কাকা । ওই সিজনে মিলানকে চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমি ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পথে ৫ গোল করেন যেগুলার মধ্যে ফেনেরবাচের বিপক্ষে মাঝ মাঠ থেকে ড্রিবল করে দেওয়া গোল এবং বায়ার্নের বিপক্ষে করা গোলগুলা উল্লখযোগ্য । ওইবার কাকা উয়েফা টিম অফ দ্যা ইয়ারে জায়গা পান ।
- ২০০৬-০৭ মৌসুম নিয়ে নতুন কিছু লিখবনা । মিলানকে সপ্তমবারের মত চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতানোর পথে কাকা গ্রুপ পর্বে একটি হ্যাট্রিক করে । ২য় রাউন্ডে সেলটিক এর বিপক্ষে ২য় লেগের অতিরিক্ত সময়ে মাঝ মাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে গিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেন কাকা - গোলটা দুই লেগ মিলিয়ে করা দুইদলের একমাত্র গোল । কোয়ার্টার ফাইনালেও কাকা বায়ার্নের বিপক্ষে এক গোল করেন । দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের জয় পায় মিলান । সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রথম লেগে কাকা ওল্ড ট্রাফোর্ডে দুইটি অসাধারণ গোল করেন । ২য় লেগে সান সিরোতেও আরেকটা দুর্দান্ত গোল করেন ভলি থেকে । তার তিন গোলের উপর ভর করে প্রথম লেগেও হেরেও মিলান সহজে ফাইনালে উঠে যায় । ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে করা দুই গোলেই অবদান রাখেন কাকা । প্রথম গোলটি আসে তাকে ফাউল করার কারণে পাওয়া ফ্রিকিক থেকে এবং পরেরটা কাকার ডিফেন্সচেরা থ্রু পাস থেকে । দুইটা গোলই করেন ইনজাগী । ওই বছর ব্যাক্তিগত পর্যায়ের প্রায় সব পুরষ্কারই জিতে নেন কাকা ।
পরের মৌসুম শুরু করেন উয়েফা সুপার কাপ জিতার মাধ্যমে যেখানে সেভিয়াকে ৩-১ গোলে হারানোর পথে একটি গোল করেন কাকা । এরপর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালেও কাকা গোল এবং এসিস্ট করে ৪-২ গোলের জয়ে ভূমিকা রাখেন । ওই সিজনে কাকার ২০ গোল তাকে আবারো উয়েফা একাদশ এবং ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার পুরষ্কারের সেরা চারে থাকতে সহায়তা করে । ২০০৯ সালে ব্রাজিলকে কনফেডারেশন কাপ জিতানো কাকা ওইবছর রিয়ালমাদ্রিদে যোগ দেন ।
- ইনজুরী জর্জরীত দুই মৌসুমের মাঝে কাকা ২০১০ বিশ্বকাপে খেলেন । যদিও বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ এসিস্ট মেকার হন কাকা কিন্তু ন্যাদারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোল হেরে বিদায় নেয়া কাকার ক্যারিয়ার পরের সময়টা খুব ভাল কাটেনি আর । বিশ্বকাপের পর ডাক্তারের বক্তব্য অনুসারে কাকা ব্যাথা নিয়েই খেলেন বিশ্বকাপ যেটা তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারত । কিন্তু ইনজুরির সাথে যুদ্ধ করে ২০১১ সালের জানুয়ারীতে আবারো মাঠে ফেরেন কাকা । ওই মৌসুমে ফিটনেস ফিরে পেতে বেগ পান কাকা । পরবর্তী সিজনে (২০১১-১২) আবারো স্মরুপে ফেরার ইঙ্গিত দেন মৌসুমের শুরুতে । যার ফলস্মরুপ জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন ২০১১ এর শেষের দিকে । কিন্তু একটা ছোট ইনজুরি তাকে ওইবার ফিরতে দেয়নি । ইনজুরি রিকভার করার পর কোচ মোরিনহোর সুদৃষ্টি পেতে বেগ পেতে হয় কাকাকে , যার ফলস্মরুপ নিয়মিত একাদশের বাইরে চলে যান কাকা । সতীর্থ দি মারিয়ার ইনজুরী অনেকগুলা ম্যাচে কাকাকে প্রথম একাদশে জায়গা করে দিলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি । সবকিছু সঃত্বেও ওটাই ছিল কাকার মাদ্রিদে বেস্ট সিজন যেখানে কাকা ৮ গোলের পাশাপাশি ১৫ টি এসিস্ট করেন যেটা রিয়ালমাদ্রিদকে লীগ জিততে এবং চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে ভূমিকা রাখে । ওইবছর কাকা চ্যাম্পিয়নস লীগে ৫টি এসিস্ট করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ এসিস্ট ধারী প্লেয়ার নির্বাচিত হন ।
- ২০১২ সালে কাকা আবারো জাতীয় দলে ফেরেন ইরাক এবং জাপানের বিপক্ষে দুইটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যেখানে কাকা দুই ম্যাচেই গোল করে কামব্যাককে স্মরণীয় করে রাখেন । ওই সিজনে পুরোটা সময় সাইড বেঞ্চেই কাটাতে হয় কাকাকে , যদিও সেটা মাদ্রিদকে কোন সাফল্য পেতে সহায়তা করেনি । বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ২০১৩ এর জানুয়ারীতে কাকা মাদ্রিদ ছাড়ার একেবারে নিকটে চলে যান , কিন্তু মিলান ট্যাক্সজনিত সমস্যার কারণে কাকাকে কিনতে ব্যার্থ এবং পরের দলবদলের মৌসুমে কাকাকে সান সিরোতে আনতে সমর্থ হয় মিলান । ২০১৩-১৪ মৌসুমে কাকা মিলানের হয়ে ৯ গোল করেন । এ সময় কাকা মিলানের হয়ে একশ গোল করার মাইলফলক পার করেন এবং বর্তমানে ৩০৭ ম্যাচে ১০৪ গোল করে মিলানের ইতিহাসের ৯ম সর্বোচ্চ স্কোরার কাকা ।
- এরপরের অংশটুকু শুরুতেই লিখসি । যে ক্লাবে হঠাত জায়গা পেয়ে বাজিমাত করেছিলেন , সেইখানেই ফিরে এলেন কাকা । সাউ পাওলো । এরপর পাড়ি জমান এম,এল,এস ক্লাব অরলনাদো সিঁতিতে। এতক্ষন যারা লেখাটা কষ্ট করে পড়সেন তাদেরকে ধন্যবাদ । প্লেয়ার হিসেবে কাকা কেমন কিংবা ফুটবলে কাকার অবদান কতটুকু সেটুকু বিচার করার জন্য এই লেখা না । এটা হচ্ছে কাকার প্লেয়িং ক্যারিয়ারের বিশেষ ঘটনা গুলার একটা নোট মাত্র । সদাহাস্যময় এই প্লেয়ারটি একদিন অবসর নিবে । এরই মধ্যে চলে গেছে আন্তর্জাতিক স্পটলাইটের বাইরে । তারপরও দীর্ঘদিন পর গত ২০১৪ তে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক মিডিয়ার স্পটলাইটটা ঠিকই তার উপর চলে এসিছিল ক্ষণিকের জন্য যেটা বুঝিয়ে দেয় প্লেয়ার হিসেবে কতটা উঁচু পর্যায়ের । সেদিন কাকা মাঠে নামার সময় চীনের বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামের দর্শকদের উচ্ছাস বুঝিয়ে দেয় প্রাচ্যে কাকার কতটা জনপ্রিয়তা এবং মর্যাদা যেটা বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত যতদিন ওইসময় উচ্ছাসে ফেটে পড়া মানুষের একজনও বেঁচে থাকবে । হয়ত সেটা সঞ্চারিত হবে পরবর্তি প্রজন্মে ।
রিকার্দো ইজেকসন দস সান্তোস লেইতে- ফিফা প্লেয়ার অফ দা ইয়ার ২০০৭ , ব্যালন ডি অর ২০০৭ , মারকানা হল অফ ফেইম ২০০৮ , টাইম হানড্রেড ২০০৮-২০০৯ ।
A TRUE LEGEND OF GAME
- 0 মন্তব্য