• ফুটবল

পর পর দুবার বিশ্বজয় আর অনবদ্য এক ইতিহাস

পোস্টটি ৩২০৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

      পর পর দুবার বিশ্বজয় আর অনবদ্য এক ইতিহাস

 

ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম স্থায়ীভাবে লেখার জন্য এই আসরটিই ছিলো সেলেসাওদের জন্য আশীর্বাদস্বরুপ..!

 

 চিলি।

ইউরোপ থেকে ঘুরে বিশ্বকাপের আসর বসে ল্যাটিনে। চিলিতেই বসে ৭ম বিশ্বকাপের আসর। ১৬টি দল, ৪টি ভেন্যু নিয়ে প্রথমাবারের মত বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে চিলি। সেই বিশ্বকাপে হট ফেবারিট ছিলো চিলি, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, কলম্বিয়া, ব্রাসিল, ইংল্যান্ড, হাঙ্গেরী, সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফাইনালে যায় জোযেফ এডামাকের দল চেকোস্লোভাকিয়া..!

 ১৯৬২ বিশ্বকাপ

এই নিয়ে ৩য়বারের মত ল্যাটিনে বিশ্বকাপের ৭ম আসর বসে। যেই বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিলো উরুগুয়ে বনাম কলম্বিয়ার মধ্যকার খেলা দিয়ে আর শেষ হয় ব্রাসিল বনাম চেকোস্লোভাকিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে..! ৩২ টি ম্যাচের মধ্যে গোল হয়েছে ৮৯ টি এবং একটিও আত্মঘাতী গোল হয় নি। সব মিলিয়ে দর্শক হয়েছিলো ৮ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৭২ জন। প্রতি ম্যাচে গড়ে ২৭ হাজার ৯১২ জন দর্শক হয়েছিলো..!

 ব্রাসিল

নিজেদের নাম ইতিহাসের সোনালী পাতায় মুদ্রিত করার জন্য এই আসরটিই ছিলো যথেষ্ঠ। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে ফুড়ফুড়ে মেজাজে সেলেসাওরা ১৯৬২ বিশ্বাকাপের টিকেট পেয়ে যায় বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ের প্রত্যেকটি ম্যাচ জিতে। ল্যাটিনের হয়ে একমাত্র দল এবং ফুটবল ইতিহাসের ২য় দল হিসেবে পর পর দুবার বিশ্বকাপ জিতার গৌরব অর্জন করে ব্রাসিল, যা এখনো স্থায়ীশীল। ব্রাসিলের পর আর কোন দল পর পর দুবার বিশ্বকাপ জিততে পারে নি..! তাইতো বললাম, ১৯৬২ বিশ্বকাপের আসর, ব্রাসিলের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ..!

১৯৫৮ এর কোচ ভিসেন্তা ফেওলার স্কোয়াডকে এত টা পরিবর্তন করেন নি ১৯৬২ এর কোচ মরেইরা। সেই গিলমার, দেলমা সান্তোস, নিলটন সান্তোস, জিতো, গারিঞ্চা, দিদি, পেলে, ভাভা, বেলেনী, জাগালোদের নিয়ে তিনি দল সাজান। দলে নতুন মুখ হিসেবে ছিলেন পেপে, কৌটিনহো, আমারিল্ডো, জিকুইনহো, জুরানদির, জোজিমো আর মাউরোর মত প্লেয়ার রা..! কোচ হিসেবে মরেইরা এসেই অধিনায়ক নির্বাচন করেন মাউরো রামোস কে..!

এই বিশ্বকাপে গারিঞ্চা ছিলো তুরুপের তাস। ৫৮ বিশ্বকাপে পেলে আর ভাভার ছায়াতলে থাকলেও, এই বিশ্বকাপে নিজের জাতকে চিনিয়েছেন আরও ভালোভাবে। গ্রুপ পর্বেই পেলের ইঞ্জুরী পর দলকে নিয়ে গেছেন ফাইনালে প্রায় একাই..!

ব্রাসিল ছিলো গ্রুপ সি তে। সেই দলে ছিলো চেকোস্লোভাকিয়া, মেক্সিকো আর স্পেনের মত শক্তিশালী দল। কিন্তু ব্রাসিলের কাছে তখন এইসব দল কিছুই না। কারন ব্রাসিল ফুটবল খেলতো মানুষদের আনন্দ দেওয়ার জন্য, নিজেরা আনন্দ পাওয়ার জন্য, দল দেখে নয়..!

 ৩০ মে ১৯৬২

ব্রাসিল খেলত নামে মধ্য আমেরিকার ত্রাস মেক্সিকোর সাথে। প্রথামার্ধের হাডাহাড্ডি লড়াইয়ে কোন দলই গোলের দেখা পায় নি। এরপরে ২য়ার্ধের ৫৬ মিনিটে জাগালোর গোল আর ৭৩ মিনিটে বিস্ময় বালক পেলের গোলে ব্রাসিল ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে..!

 ২ জুন ১৯৬২

নিজেদের প্রথম ম্যাচ সহজাতভাবে জিতে নিলেও ২য় ম্যাচে ব্রাসিল জিত্তে পারে নি। চেকোস্লোভাকিয়ার সাথে ০-০ এ ড্র করে মাঠ ছাড়ে। দেখেই বুঝা যায় কি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিলো সেই ম্যাচে..! আর এই ম্যাচেই পেলে ইঞ্জুরীতে পড়ে তার বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে যায়..!

৬ই জুন ১৯৬২

প্রথম দুই ম্যাচে না নামা স্ট্রাইকার আমারিল্ডো স্পেনের সাথে বিশ্বকাপের মুল একাদশে অভিষেকে হয়। কারন চেকোস্লোভাকিয়ার সাথে পেলের ভয়ানক ইঞ্জুরীতে পেলের বিশ্বকাপ খেলা বাদ হয়ে যায়, ছিটকে পড়েন বিশ্বকাপ থেকে। বেঞ্চে বসেই দেখতে হয় ব্রাসিলেরর বিশ্বকাপ জয়। খেলার ৩৫ মিনিটেই এডেরাল্ডোর গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। খেলায় সমতায় ফিরতে সেলসাওদের অপেক্ষা করতে হয়েছিলো ৭৫ মিনিট। আমারিল্ডোর ম্যাজিকে বিশ্বকাপে নিজের অভিষেক স্টার্টে ৭৫ ও ৮৬ মিনিটে জোড়া গোল করে ব্রাসিলকে ২-১ গোলের জয় এনে দেয় এই স্ট্রাইকার। মরেইরা যে তাকে নামিয়ে ভুল করেন নি তার প্রমান তিনি দিয়েছিলেন সেদিন..!

 ১৯৫৮ বিশ্বকাপের মত ২ জয় আর ১ ড্র নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়াটারে পা রাখে ব্রাসিল..

 ১০ই জুন ১৯৬২

কোয়াটারে ব্রাসিল মুখোমুখি হয় ইউরোপে পরাশক্তি ইংল্যান্ডের সাথে। সেই ম্যাচটা হয়তো বিধাতা শুধুমাত্র গারিঞ্চার জন্যই বরাদ্দ রেখেছিলেন। গত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলতে থাকা গারিঞ্চা একটি গোলও পায় নি। তাইতো এই বিশ্বকাপে গোলের খড়া কাটানোর জন্য ইংল্যান্ডকেই বেছে নিলো। ৩১মিনিটেই গারিঞ্চা জাদু, দলকে ১-০ গোলের লিড এনে দেয় গারিঞ্চা। আর সেই সাথে করে ফেললেন বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের নিজের প্রথম গোল। ৩৫ মিনিটে হিথহেন্সের গোল সমতায় আসে ইংলিশরা। ৫৩ মিনিটে ভাভার গোলে ২-১ এ এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। এরপর আবারো গারিঞ্চা জাদু। সেদিন ম্যাচটি ছিলোই গারিঞ্চাময়।  ৫৯ মিনিটে ইংলিশদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে  নিজের ২য় গোল করে দলকে ৩-১ গোলের আনন্দে ভাসান। সেমির দিকে এগিয়ে গেছে অনেকটাই। এরপর আক্রমন, পাল্টা আক্রমনে খেলা শেষ হয় ৩-১ গোলের ব্যবধানে আর গারিঞ্চার জাদুতে..!

 ১৩ই জুন ১৯৬২      

এই ম্যাচটার কথা একটু না বললেই নয়। সেমিফাইনালের এই ম্যাচটিতে ছিলো চরম উম্মাদনার। স্বাগতিক চিলির মুখোমুখি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাসিল। ল্যাটিন ল্যাটিনের যুদ্ধ। ছিলো উত্তেজনায় ভরপুর..!

খেলার শুরুতেই ব্রাসিলের ফ্রিকিক, চিলির শট ব্রাসিলের গোলবারে লেগে ফিরে আসার মধ্যে প্রথম থেকেই উত্তেজনা ছিলো ম্যাচটিতে। কেও কাওকে ছাড়বার নয়। এই ম্যাচেও নিজের জাত চিনাতে মোটেও কার্পন্য করেন নি ড্রিবল মাষ্টার গারিঞ্চা..! খেলার ৮ মিনিটে ব্রাসিলের এক প্লেয়ারের ল্যাফট উইং থেকে ক্রসের এক ভলি শটে আমারিল্ডো বাই সাইকেল কিক নিলে তা চিলিয়ান ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি বল গারিঞ্চার বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে গোলকি সালভাদরকে পরাস্থ করে জালে ঢুকে পরে..! করলেন বিশ্বকাপে নিজের ৩য় গোল..!

আবারো গারিঞ্চা জাদু..! ৩২ মিনিটে কর্নার পায় ব্রাসিল। সেই কর্নার কিক থেকে হেডের মাধ্যমে বল জালে জড়ান গারিঞ্চা। ব্রাসিল ২-০ এ এগিয়ে। করলেন বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের নিজের ৪র্থ গোল..!

এরপর ৪২ মিনিটে ব্রাসিলিয়ান অধিনায়ক মাউরো রামোসের ফাউলে ফ্রি কিক পায় চিলি। ফ্রি কিক হতে ২-১ এর ব্যাবধান কমান চিলিয়ান তরো। এরপর আবার ৪৭ মিনিতে ব্রাসিলের কর্নার। জাগালোর করা কর্নারে উড়ে এসে হেডের মাধ্যমে বল জালে জড়ান ভাভা। ব্রাসিল ৩-১ এ এগিয়ে..! কিন্তু খেলার ৬১ মিনিটে পেনাল্টি পায় চিলি ব্রাসিলের হ্যান্ডবলের জন্য..! পেনাল্টিতে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান সানচেজ। চিলি ২- ব্রাসিল ৩..!

এরপর আবার ৭৮ মিনিটে ভাভা জাদু। হেডের মাধ্যমে করা ভাভার গোলে ব্রাসিল ৪-২ গোলে এগিয়ে যায়। এক চরম উত্তেজনার ম্যাচের পর ব্রাসিল পর পর ২য় বারের মত ফাইনালে..! এ যেনো এক বর্ণীল ইতিহাস..!

 ১৭ জুন ১৯৬২

স্বপ্নের ফাইনালে ব্রাসিল আরো একবার। কি লিখেছে বিধাতা ব্রাসিলের কপালে? সুখের কান্না? নাকি দুঃখের কান্না? গারিঞ্চা ভাভা বুঝতেই দেন নেই যে পেলে দলে নেই। বুঝতে দেয় নি পেলের অভাব। সেদিন পেলে বেঞ্চে বসে খেলা উপভোগ করেছিলেন..!

ফাইনালে ব্রাসিলেরর প্রতিপক্ষ গ্রুপ পর্বের সেই চেকোস্লোভাকিয়া। যারা একে একে দাপুটের সাথে হাঙ্গেরী, যুগোস্লোভাকিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে। দলে আসছে তাদের জোযেফ এডমেকার মত তারকা প্লেয়ার। ইউরোপের এই দলটি ফাইনালে গেলেও ফেবারিট ছিলো ব্রাসিল। কারন ল্যাটিনে অল টাইম ফেবারিট ল্যাটিনই..! তবে সবাই ভেবেছিলো যে, চমক দেখাবে চেকরাই..!

খেলার বয়স ১৫ মিনিট। ব্রাসিলের ৩-৪ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ল্যাফট সাইড ঘেষে মাসপুস্টকে বল বাড়িয়ে দেন চেকের প্লেয়ার। তারপর গিলমারকে সেই এসিস্টে পরাস্থ করে মাসপুস্ট। চেক ১-০ এ এগিয়ে। আবারো গত বিশ্বকাপের ফাইনালের মত আগে গোল খেলো ব্রাসিল। গতবার ত ভাগ্য সহায় ছিলো। এবার কি অন্য কিছু হবে? নাকি ভালোই হবে..?

খেলার বয়স ১৬ মিনিট। চেকের অঞ্চলে ব্রাসিল থ্রু পায়। দেলমা সান্তোস থেকে সেই থ্রু রিসিভ করে পেলের সাবস্টিটিউট আমিরাল্ডো। বলটা পেয়ে ২ জন ডিফেন্ডারদের ড্রিবল করে ল্যাফট বক্সের বাহির থেকে বা পায়ের জোড়ালো শটে বল পাঠান জালে..! ব্রাসিল ১-১ এ সমতায়। চেকেরা সেদিন গারিঞ্চাকে কড়া মার্কে রাখলেও আমিরাল্ডোকে ভুলে গিয়েছিলো..! যার মাশুল দিলো চেক..

চলছে সাম্বা সেলিব্রেশন। একটু আশার আলো দেখা যাচ্ছে..! ১-১ সমতায় ১মার্ধের খেলা শেষ হয়..!

খেলার বয়স ৬৮ মিনিট। জাগালো মিডফিল্ড থেকে ৩-৪ প্লেয়ারদের কাটিয়ে ডি-বক্সের একটু আগে ল্যাফট সাইডে ডিফেন্ডচেরা পাস দেন আমিরাল্ডোকে। আমিরাল্ডোর ক্রসকে এক অসাধারন হেডে জালে জড়ান জিতো (যিনি কয়েকদিন আগে ইন্তেকাল করেছেন)। ব্রাসিল ২-১ এ এগিয়ে। রিপোর্টার, ক্যামেরা ম্যানরা সবাই মাঠে..!

এক বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো সেদিন প্রত্যেক টা গোলের পর। আশার আলো আরো একটু বাড়লো..! সাম্বা বয়েজ সেলিব্রেশন..!

এরপর দুই দলেরই চলে টানা আক্রমন। হিংস্র  বাঘের মত চেকরা গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু নিলটন, দেলমা, বেলেনি, মাউরোদের নিয়ে গড়া ডিফেন্ডকে ভাঙ্গতে পারে নি চেকরা..! উল্টো খেলার ৭৮ মিনিটে নিজেদের কফিনে শেষ পেরেকটি মারতে নিজেরাই সাহায্য করে..!

খেলার বয়স ৭৭ মিনিট। রাইট সাইড থেকে গারিঞ্চার থ্রু, জিতোর ডিবক্সে লং ক্রস। কিন্তু চেক গোলকিপার সেই বল ধরতে গিয়েও ছেড়ে দেয় আর সেই সুযোগটাই নেন ফলস নাইন ভাভা। কারন ভাভা গোলকির সাথেই ছিলো। ডান পায়ের আলতো ছোয়ায় দলকে ২য় বিশ্বকাপের আনন্দে ভাসান। আমারিল্ডোর ১৭, জিতোর ৬৯ আর ভাভা ৭৮ মিনিটের গোলে ৩-১ এ ব্রাসিল জিতে তাদের ২য় বিশ্বকাপ, তাও আবার পর পর।

সাম্বা উচ্ছ্বাস চলছে। গারিঞ্চা, ভাভা, পেলে, গিলমার, দেলমা, নিলটনদের পাশে লেখা হলো দুইটি বিশ্বকাপ জয়ের তকমা। পেলে সেদিন খেলতে না পারলেও ছিলেন স্কোয়াডে, দেখেছেন নিজ দেশের বিশ্বজয়। ল্যাটিনে আসর, ল্যাটিনেই কাপ রয়ে গেলো।

বেঞ্চে বসে পেলের উচ্ছ্বাস, গারিঞ্চার সেরা প্লেয়ার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া আর মাউরো রামোস বিশ্বকাপটিকে মাথার উপরে তুলে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় বিশ্বকাপের ৭ম আসর..!

সেদিন বিশ্ব দেখেছিলো ব্রাসিলের ফুটবল জাদু..!

আমরা আবারও চাই সেই ব্রাসিলকে, যেই ব্রাসিল ৬২ ব্রাসিলের মত দল নির্ভর একক প্লেয়ার নির্ভর দল না। চাই সেই ব্রাসিল যেই ব্রাসিলের খেলায় থাকবে জাদু, থাকবে ১১ জনই জাদুকর। মুগ্ধ হবে পুরো বিশ্ব, যাদের খেলায় থাকবে ছন্দ, গোল দেওয়ার পর দেখতে চাই সেই পুরানো সাম্বার ছন্দময় উদযাপন..

চলবে.................(NEXT 1970 WORLD CUP)