• ফুটবল

জিদান এন্ড পাভোন্স ২.০

পোস্টটি ৫৪২৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
আমরা মনে হয় একটা ব্যাপারে ভুল করছি।
 
২০০৯ এ গ্যালাক্টিকোস ২.০ প্রজেক্টও লং টাইম ডমিনেশনের এমন আশা দেখায়নি যেটা ২০১৭ এর জিদান এন্ড পাভোন্স ২.০ দেখাচ্ছে। আমরা একাডেমী লেভেলে আর মূল দলে সাবেক প্লেয়ারদের কোচ হিসেবে দেখে বার বার এর সাথে বার্সার গুয়ারডিওলা-সময়টাকে মেলানোর দিকে চলে যাই।
1419181887_extras_noticia_foton_7_0
এখানে ছোট-খাট একটা ভুল আছে। বার্সার ওই সময়ের সাফল্য গুয়ারডিওলার টিকি-টাকা বিপ্লব আর মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তার কারণে। এই ত্রয়ী একাডেমী থেকে উঠে এসেছিল ঠিকই কিন্তু তারা কিন্তু ততদিনে সুপারস্টার। জিদান এই সিজনের লীগের চেহারাটাই পালটে দিয়েছে স্কোয়াড ডেপথ এর সূযোগটা ১০০% কাজে লাগিয়ে।
ডিপ স্কোয়াড মরিনহোর কাছেও ছিল। সেখানেও তরুণ আর অভিজ্ঞ প্লেয়ারের অনুপাতটা চমৎকার ছিল। কিন্তু হোসের মত ঝানু ম্যানেজারও এই ডেপথ এত ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। কিন্তু জিদান পেরেছেন। ফলস্বরূপ সিজনের শেষভাগে মড্রিচ আর রোনাল্ডো প্রাইম শেপে ছিল। আর তাই রিয়াল সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই স্রেফ পিষে ফেলেছে।
 
ফিরে যাই ২০০৯ পরবর্তী বার্সা আর ২০১৭ এর রিয়াল এর তর্কে। একডামী থেকে উঠে আসা বা কমবয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে তখন বার্সায় ছিল বোজান, ক্রিশ্চিয়ান তেয়ো, জেফারসনের মত প্লেয়াররা। রিয়ালের বর্তমান দলের সাথে তুলনা করলে স্কোয়াডে এদের মত প্লেয়ার হলেন আসেন্সিও, ভাস্কেজরা। আর এখানেই জিদানের ম্যান-ম্যানেজমেন্টের ভেল্কি। এই তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে এই বিশ্বাসটা রোপণ করা হয়েছে, তোমরা শুধু ব্যাক-আপ খেলোয়াড় নও। তোমাদের দলে আলাদা একটা কাজ আছে।তোমাদের নিজেদের খেলেই জেতাতে হবে, এমন ম্যাচ তোমরা পাবে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালেও তোমাদের জায়গা আছে। আমার সন্দেহ আছে এমন বড় ম্যাচে বোজান, তেয়োদের উপর আস্থা রাখা হত কিনা। আফসোস এই যে, হামেস-মোরাটার মত পরিক্ষিত তারকারা এই সূযোগটা লুফে নিতে অপরাগ ছিলেন, যেটা আসেন্সিও কাজে লাগিয়ে এখন হয়ত রিয়ালের রিয়ালের ১০ নম্বর জার্সিটাই গায়ে চাপিয়ে ফেলবেন।
marco-asensio-sevilla-real-madrid-copa-del-rey_1q10ojd0m9p7d128xxkmg4getd
ট্রান্সফার স্ট্র্যাটেজিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। অনেকটা বায়ার্নের ট্রান্সফারগুলোর মত। সব হচ্ছে নীরবে নিভৃতে। এই মৌসুমে এখনো কোন বড় সাইনিং হয়নি। ইয়ুথ প্লেয়ারদের মূল দলে আনার আগেই স্কাউট করে অন্যদলে লোনে রাখার প্রথাটাও খুব বেশি কার্যকর মনে হচ্ছে। থিও হার্নান্দেজ,লোনে থাকা ভায়েহো, মারকোস ইয়োরেন্তে আর নতুন বলতে সম্ভবত ডানি সেবায়োস...এককালে একই সপ্তাহে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো আর কাকাকে সাইন করানো রিয়ালের পক্ষে এই ধরনের ট্রান্সফার এক্টিভিটি অদ্ভুত লাগতেই পারে। মাঝখানে ভিনিশাসের সাইনিংয়ে একটু হই-হুল্লোর ছিল অবশ্য।
Ceballos_Madridistas_eurocopa
অবশেষে মনে হচ্ছে, রিয়াল মাদ্রিদের মনযোগটা এখন ফোর্বসের ধনীতম দলের তালিকায় একনম্বরে থাকার চেয়ে লা লীগার শীর্ষে আর চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সংখ্যা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার দিকেই বেশি।