বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত 'ট্রান্সফার'
পোস্টটি ৯১০০ বার পঠিত হয়েছে“ এই জানিস আমার না ঢাকায় ট্রান্সফার হয়েছে ।“ বলেই হয়তো আপনার কোনো বন্ধু আপনাকে আলিঙ্গনে বাঁধবে । হয়তো নতুন চাকরি হয়েছে কষ্ট হলেও পরিবার ছেড়ে চাকরির জন্য ট্রান্সফার হয়ে চলে যেতে হবে দূরে । বস খুব স্নেহ করতেন আপনার অথবা তার ট্রান্সফার হয়ে গেল , হয়তো কষ্টে মনটা খারাপ হয়ে গেল । এসবই হচ্ছে আপনার ও আপনাকে ঘিরে থাকা কিছু মানুষের নিজস্ব অনূভুতি , অন্য কারও সেসবে মাথা ঘামানোর ফুসরত নেই । বিশ্বে তো এমন কতজনই ট্রান্সফার হচ্ছে কে কার খবর রাখে ? তাহলে অন্যের ট্রান্সফার নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কি আছে ? অবশ্যই আছে যখন আপনি হবেন দলবদলের বাজারের গরম খবর । হ্যা পাঠক ঠিকই ধরেছেন , বলছি বিশ্বের সবচেয়ে বিনোদনদায়ী খেলার বিনোদনদায়ী খবর ফুটবলের ট্রান্সফার নিউজ নিয়ে । এক দল থেকে আরেকদলের ট্রান্সফারের জন্য দর্শকদের দুয়ো থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের মৃত্যুর হুমকি কোনো ইতিহাসেরই বাদ নেই এই ফুটবল নামক উন্মাদনায় । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেই দর্শকেরা মাথায় তুলে রাখত কোনো খেলোয়াড়কে সেই তারাই অনেকসম ট্রান্সফারের পর হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় নিন্দুক । আর সেটা যদি হয় আপনার কোনো রাইভালের দলে ট্রান্সফার তাহলে হয়তো তাদের চেয়ে আর খারাপ নিন্দুকের নজির আর আছে বলে মনে হয় না !!
ফুটবলে ট্রান্সফার কনসেপ্টটা প্রথম আসে ইংল্যান্ডে ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ১৮৮৫ সালের কিছু পরে । তার আগে খেলোয়াড়েরা একাধিক ক্লাবের জন্য যেকোনো সময় একটি বা তার বেশি ম্যাচ খেলতে পারত যাকে আমরা বাংলা ভাষায় ‘খ্যাপ’ খেলা বলে থাকি । তারপর ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন প্রথম খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করার সিস্টেম চালু করে । প্রতিটি সিজনের আগে একজন খেলোয়াড়কে কোনো একটি ক্লাবে নিবন্ধন করতে হত এবং সেই সিজনে নিবন্ধিত ক্লাব বা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবের হয়ে খেলা ওই খেলোয়াড়ের পক্ষে সম্ভব ছিল না । ১৮৮৮ সালে ফুটবল লিগ গঠিত হওয়ার পর দেখা গেল যে , এই নিয়মের কারণে বড় বড় দলগুলোর একচ্ছদ্দ আধিপত্য দেখা যাচ্ছে যার ফলে অন্য ক্লাবগুলো প্লেয়ার সাইনিং এর ক্ষেত্রে সুবিধা করতে পারছে না । সেইজন্য ১৮৯৩-৯৪ সিজন থেকে নতুন নিয়ম করা হয় যেখানে একজন খেলোয়াড় একবার কোনো ক্লাবের সাথে নিবন্ধিত হলে ওই ক্লাবের অনুমতি ছাড়া আর কখনই আর অন্য কোনো ক্লাবে খেলতে পারতেন না । এমনকি যদি ওই খেলোয়াড়ের চুক্তি শেষ ও হয়ে যেত তবুও না যদি না সেই ক্লাব নিবন্ধন বাতিল করত । স্বভাবতই সংশ্লিষ্ট ক্লাব ওই খেলোয়াড়কে খেলাতে বাধ্য ছিল না এবং চুক্তি শেষ হয়ে যদি নতুন চুক্তি না করা হত তাহলে সেই খেলোয়াড় বেতনের জন্য কোনো দাবিও করতে পারত না চুক্তিবদ্ধ ক্লাবের কাছে । সেখান থেকে আস্তে আস্তে ক্লাবগুলোর ট্রান্সফার ফির ব্যাপারটা ভাবতে শুরু করে এটা ভেবে যে তারা কোনো খেলোয়াড়কে অন্য কোনো ক্লাবের কাছে মোটা ফিতে ট্রান্সফার করতে পারে ।
হারবার্ট কিংএবেই-প্রাক্তন এস্টন ভিলা ফুটবলার
১৯১২ সালে এই নিয়মের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদটি আসে ‘কিংএবেই’ কেসের মাধ্যমে । এস্টন ভিলা ফুটবলার হারবার্ট কিংএবেই এই কেসটি করেছিলেন যখন তার ক্লাব তাকে শুধু শুধুই খেলতে বাধা দিচ্ছিল । কিন্তু কিংএবেই কাউনসিলরদের ভুল কৌশলের কারণে কেসটি বাতিল হয়ে যায় । তখন যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্য সর্বোচ্চ ওয়েজ ছিল এক সপ্তাহে ৪ পাউন্ড করে যার ফলে ১৯৬৩ সালের আগ পর্যন্ত খেলোয়াড়েরা ছিলেন বেশ চাপে ।
১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ডে খেলোয়াড়দের প্রতি এই অবিচারের অবসান হয় কোর্টের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে । তখন একজন খেলোয়াড়কে ১ এপ্রিল থকে মে মাসের প্রথম শনিবারের মধ্যে পুরোনো ক্লাবের সাথে চুক্তি করতে হত । কিছু সহজ শর্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলো খেলোয়াড়টিকে চুক্তি বাতিল হতে বিরত রাখতে পারত যদি সেটা তৎকালীন ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের যুক্তিসংগত মনে হত । খেলোয়াড়েরাও কারণ দেখিয়ে ভিন্ন ক্লাবে যাওয়ার জন্য এ্যাসোসিয়েশনের কাছে আবেদন করতে পারত । যদি সেটা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের যুক্তিসংগত মনে হত নতুবা তাকে আগের ক্লাবেই খেলতে হত । ফুটবল ক্লাবগুলো খেলোয়াড়ের একটি নির্দিষ্ট ট্রান্সফার ফি ঠিক করে তাকে ট্রান্সফার লিস্টে ওঠাতে পারত এবং যদি কোনো ক্লাব ট্রান্সফার ফি দাবি না করত এবং খেলোয়াড়টিকে না রাখতে চাইত তাহলে সেই খেলোয়াড়টি রিলিজ হিসেবে গণ্য হত এবং জুনের শেষে সে অন্য ক্লাবগুলোতে জয়েনের জন্য জুনের শেষে জয়েন করার জন্য চুক্তিবদ্ধের জন্য কথাবার্তা শুরু করতে পারত । এই নিয়মটি চালু ছিল ১৯৯৫ সালের ‘বসম্যান রুলিং’ এর আগ পর্যন্ত । ১৯৯০ সালে বসম্যান তার চুক্তি শেষ হলে বেলজিয়ান ক্লাব লিয়েজ থেকে ফ্রেঞ্চ ক্লাব ডানকার্কে যাওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন । কিন্তু ডানকার্ক তার ৫ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে আগের ক্লাবেই থাকতে হয় এবং না খেলানোর জন্য আগের ক্লাবে তার বেতনের ৭৫ শতাংশ কাটা যায় । এর ফলে তিনি ইউরোপিয়ান কোর্টে এর বিরুদ্ধে আবেদন করেন এবং কোর্টের বিধি মোতাবেক যেকোনো ইউরোপিয়ান লিগের ক্ষেত্রে ১৯৯৫ সালের ১৫ জুন থেকে চুক্তি শেষ হলে খেলোয়াড়েরা ট্রান্সফার ফি ছাড়াই অন্য ক্লাবে যাওয়া র অনুমতি পায় ।
এডগার ডেভিস - তিনি 'বসম্যান রুলিং' এর আওতায় আয়াক্স থেকে মিলানে ট্রান্সফার হন
এই নিয়মের প্রথম হাই প্রোফাইল খেলোয়াড় ছিলেন এডগার ডেভিস যিনি আয়াক্স থেকে মিলানে ট্রান্সফার হন । এতসব ধারণা থেকেই ২০০২-০৩ সিজনে উয়েফা ‘ট্রান্সফার উইন্ডো’ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় । এরপর ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ইউরোপে দুটি ট্রান্সফার উইন্ডো চলে আসছে যেখানে একের অধিক খেলোয়াড় বিভিন্ন দলে ট্রান্সফার হয়ে থাকেন । তাছাড়া যেসব খেলোয়াড় কোনো ক্লাবের চুক্তির আওতাধীন নয় তারা যেকোনো সময়ই যেকোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারে । তাছাড়া বিভিন্ন খেলোয়াড় একাধিক ক্লাবে লোনের মাধ্যমে যেতে পারে যেটা হয় ক্লাবগুলোর মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে ।
ফুটবলের ইতিহাসে ১০০ ইউরোর উপরে ট্রান্সফার হওয়া প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন উইলি গ্রোভস , তার ট্রান্সফার ফি ছিল ১১২ ইউরো । মিলিয়ন ইউরোতে ট্রান্সফার হওয়া প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন নেদারল্যান্ডের কিংবদন্তী খেলোয়াড় ইয়োহান ক্রুইফ যিনি আয়াক্স থেকে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনাতে ট্রান্সফার হন , তার ট্রান্সফার ফি ছিল ১.৭ মিলিয়ন ইউরো । এরপর ২০০৯ সালে প্রথম রেকর্ড ফি গড়ে ৯৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াদ মাদ্রিদে যোগ দিয়ে ৯০ মিলিয়নের ঘরে পা রাখেন তৎকালীন মোস্ট এক্সপেন্সিভ প্লেয়ার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো । তারপর সেই মাদ্রিদই আবার ২০১৩ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে সাইন করায় ‘হান্ড্রেড মিলিয়ন’ ম্যান গ্যারেথ বেলকে । ২০১৬ সালে সবাইকে কিছুটা ভড়কে দিয়েই রেকর্ড ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফ্রান্সের পল পগবাকে জুভেন্টাস থেকে নিয়ে আসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যেটা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফির রেকর্ড ।
বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার-পল পগবা
তবে ফুটবলে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে টাকা দিলাম খেলোয়াড় নিলাম আপনি যদি ব্যাপারটা এত সহজ ভেবে থাকেন তাহলে সবচেয়ে বড় ভুলই করছেন । কিছুদিন আগেও ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে বড় দল ছোট দল বিভাজনটা খুব প্রকট থাকায় ট্রান্সফার মার্কেটে কিছু মুষ্টিমেয় দলের আনাগোনা দেখা যেত । কিন্তু বর্তমানে নব নব ধনকুবেরের উত্থানের ফলে সেই ট্রান্সফারের বাজারে এখন প্রতিযোগীতা হচ্ছে দশাইসই । যেমন বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব চেলসির কথাই ধরা যাক । ২০০৩ সালে রোমান আব্রামোভিচ চেলসি কেনার আগে তাদের মোট ট্রফি ছিল ১৪টি যার মধ্যে দুটি সেকেন্ড ডিভিশন চ্যাম্পিয়নশিপ ও দুটি ফুল মেম্বারস কাপ । কিন্তু আব্রামোভিচ আসার পর চেলসি জিতেছে ১৫টি শিরোপা যার মধ্যে রয়েছে ৫টি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ । ডেইলি মেইলের ২০১৫ সালের হিসাবেই চেলসির পিছনে এক বিলিয়নেরও বেশি টাকা ঢেলেছিলেন ধনকুবের আব্রামোভিচ । তাছাড়া ২০০৯ সালে ২৬৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময়ে আরব আমিরাতের ধনকুবের আল মনসুরের ম্যানচেস্টার সিটি কেনার পর তাদের অগ্রগতি নিশ্চয়ই কারও অজানা নয় । এবারের ২০১৭-১৮ সিজনে তাদের খরচ হয়ে গিয়েছে ২০৮ মিলিয়ন পাউন্ড যার মধ্যে তারা কিনেছে সিলভা, মেন্ডি ,ওয়াকার,দানিলো ও এডারসনকে । তবে বসে নেই অন্য দলগুলোও । ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই সিজনে সাইন করিয়েছে এভারটনের স্ট্রাইকার রোমেল লুকাকুকে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে, তাছাড়াও বেনফিকা থেকে কিনেছে সেন্টার ব্যাক লিন্ডেলফকে ৩১ মিলিয়নের বিনিময়ে । তাছাড়া রিয়াল মাদ্রিদ সাইন করিয়েছে তরুণ থিও হার্নান্দেজ ও ড্যানি সেবালোসকে ।
আলভারো মোরাটা-নতুন সিজনে মাঠ মাতাবেন চেলসির হয়ে
চেলসি ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে কিনেছে আলভারো মোরাটাকে । তাছাড়া ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানতো নতুন মালিকের বদান্যতায় পুরো দলই ঢেলে সাজিয়েছে । বার্সেলোনা কিনেছে নেলসন সেমেডোকে , লিভারপুল দলে ভিড়িয়েছে সালাহকে । তাছাড়া ভেরাত্তির পেছনে লেগে থেকেও বার্সা সফল তো হয়ইনি উলটো পিএসজি দলবদলের বাজার গরম করে রেখেছে নেইমারের ২২২ মিলিয়ন ক্লজের পরিশোধের খবর দিয়ে, যেটাতে উয়েফার পিএসজির উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে আপাতত জোর গুঞ্জন প্রায় অস্তমিত । এদিকে বারবার কুতিনহোর পিছে লেগেও ব্যর্থ বার্সা তো এবার ১০০ মিলিয়নের অফারই নাকি দিয়ে বসেছে বলে শোনা যাচ্ছে । ওদিকে রিয়াল মাদ্রিদের ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার এমবাপ্পের পিছনে ১৮০ মিলিয়ন খরচের সম্ভাবনা জন্ম দিয়েছে আরেকটি রেকর্ড ট্রান্সফার ফি গড়ার সম্ভাবনা ।
তবে ইতিহাসে সবসময়ই সবচেয়ে আলোচিত ট্রান্সফার কোনো খেলোয়াড়ের রাইভাল দলে চলে যাওয়া । এর মধ্যে ছিল স্প্যানিশ খেলোয়াড় টোরেসের লিভারপুল হতে চেলসিতে ট্রান্সফার হওয়া , তেভেজের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হতে সিটিতে ট্রান্সফার হওয়া । লিভারপুল সমর্থকেরা তো লোভী বলেই সম্ভোদন করতেন টোরেসকে । তেভেজের সিটিতে চলে যাওয়াটাও ভালভাবে নেয়নি ইউনাইটেড সমর্থকেরা । তাছাড়া আর্সেনালের সামির নাসরিও সিটিতে ট্রান্সফার হয়ে কম গঞ্জনা সহ্য করেননি , যার ফলে তিনি একবার আর্সেনালের সমর্থকদের প্রকাশ্যে অত্যন্ত বাজে বলেও মন্তব্য করেছিলেন । তবে সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন বোধয় লুইস ফিগো । এমনিতেই ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে রিয়াল-বার্সা দ্বৈরথ সবচেয়ে আকর্ষনীয় বস্তু তার উপর রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ যেন ফিগোকে বার্সায় এনে বার্সার সমর্থকদের চোখে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন । ফিগো এরপর যখন নূ ক্যাম্পে খেলতে গিয়েছিলেন বার্সা সমর্থকেরা যেন সমস্ত রাগ উদগিরন করেছিল তার উপর ।
বার্সা সমর্থকেরা - লুইস ফিগোর মাদ্রিদের জার্সি গায়ে পোস্টার পোড়াচ্ছেন
তখন তাদের হাতে ‘ডাই ফিগো’ অর্থাৎ মরে যাও ফিগো সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা গিয়েছিল । তবে তিনি সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন তখনই যখন একটি কর্নার কিক নেওয়ার জন্য দাড়িয়েছিলেন নূ ক্যাম্পে কর্নার ফ্লাগের পাশে । বার্সা সমর্থকেরা ঘৃণার চূড়ান্ত নিদর্শন দেখিয়ে ছিল তার উদ্দেশ্যে একটি শূকরের মাথা ছুড়ে দিয়ে । একটি ট্রান্সফারের জন্য একজন খেলোয়াড়কে যে কতটা বড় ঘৃণার পাত্র হতে হয় সেটা বোঝানোর জন্য এরচেয়ে ভাল উদাহরণ হয়তো আর দেবার প্রয়োজন নেই ।
নতুন সিজন মানে নতুন আশা । কেউ হয়তো হতাশায় ডুবে যাবেন তাদের প্রিয় খেলোয়াড়ের দল বদলে আবার কেউ হয়তো নতুন আশায় বুক বাঁধবেন শিরোপা অর্জনের স্বপ্নে । পেট্রোডলারের ঝনঝানিতে মুখর হয়ে উঠছে ট্রান্সফার মার্কেট । মাঠের নায়কেরা আপাতত জুন-জুলাইয়ের ছুটিতে থাকলেও খেলোয়াড় ভিড়ানোর কূটনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছেন মাঠের বাইরের বড় বড় খেলোয়াড়েরা । শেষ পর্যন্ত ২০১৭-১৮ সিজনের সে খেলায় কে সফল কে বিফল সেটা হয়তো সময়ই বলে দিবে । সে পর্যন্ত নাহয় কিছুটা অপেক্ষাই করা গেল ।
- 0 মন্তব্য