# সাম্প্রতিক ক্রিকেট ইস্যু।
পোস্টটি ৮০৫৪ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
ব্লগের নীতিমালা
ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
যে দলের ক্যাপ্টেন মাঠের কোনজায়গায় ফিল্ডিং করবে- টিম ম্যানেজমেন্ট তথা কোচ সেটা ঠিক করে দেয়, মাঠে সে দলের পারফরম্যান্স তো এমনই হবার কথা! এখন তো সাদা চোখেই বোঝা যাচ্ছে- টেস্ট দুটিতে টস জিতে ফিল্ডিং কার বা কাহাদের নির্দেশে নিতে বাধ্য হয়েছেন মুশফিক।মানে সকল সিদ্ধান্তই যখন মাঠের বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন মাঠে ক্যাপ্টেনের আর কী কাজ থাকে! পরিষ্কার কথা- হাতুরুর এমন স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তই যে দলের উপর চাপিয়ে দিতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট তথা বিসিবি তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।দুঃখের বিষয় হল- এভাবে চলবে আরও কত দিন!
ক্রিকেটপাগল জাতির দর্শক হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে মুশফিককে নিয়ে সমালোচনায় মুখর হচ্ছে তা তাদের হতাশারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু এ দায় তো শুধু দলপতির একার নয়, দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং দলের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের।টেস্টে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বেই। বাংলাদেশ দলের ১০টি টেস্ট জয়ের ৭টিই তাঁর অধিনায়কত্বে। ব্লুমফন্টেইন টেস্টের আগে মোট ৩৩টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে সাত জয় ছাড়াও মুশফিকের দল ড্র করেছে ৯ টেস্টে। হার ১৭টিতে।এমন একজন দলনেতার ব্যাপারে একটি সিরিজের ফলাফল দিয়ে আপনি কী বিচার করতে চাইছেন!তাছাড়া গোড়াতেই যদি গলদ থাকে তবে মাঠের খেলায় এমন তো হবেই।তাই মুশফিকের দিকে আঙুল তোলার আগে কোচ-ম্যানেজমেন্ট এবং বিসিবির দিকে আঙুল তোলা উচিৎ।কোচকে সব ব্যাপারে নাক গলানোর অধিকারটা তারাই তাকে দিয়েছে।
তাই সব দায় মুশফিকের উপর চাপিয়ে তাকে দলনেতার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়াটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট হারে সকল ব্যর্থতার দায়ভার শুধু ক্যাপ্টেনের একার হতে পারে না। তার আগে গাছের গোঁড়ায় একটু হাত বোলাবার সময় এসে গেছে।
- 0 মন্তব্য