• ফুটবল

ফুটবলের নেক্সট বিগ থিংগ হেসুস!

পোস্টটি ৭৫১২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

নাম গ্যাব্রিয়েল হেসুস। ব্রাজিল মেইন ইলেভেনের সেন্ট্রাল ফরওয়ার্ড। আবার একই সাথে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতেও স্ট্রাইকার হিসেবে খেলছেন।

হেসুস কে ফুটবলের নেক্সট বিগ থিংক হিসেবে আশা করা যেতেই পারে এবং ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা তা আশা করছেও।  দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হেসুস জাতীয় দল ও ক্লাব উভয় জায়গাতেই সমান কৃতিত্বে পারফর্ম করে যাচ্ছে। হেসুসের জীবনের গল্প টা বেশ রোমাঞ্চকর। ২০১৪ বিশ্বকাপ আসরটি যখন হেসুসের নিজ দেশ ব্রাজিলে হচ্ছিলো তখন গরীব হেসুস অন্যান্য স্বচ্ছল পরিবারের কিশোরদের মতো ফুটবলটাকে উপভোগ না করে কিছু রোজগারের জন্য ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের দেওয়ালে ও রাস্তায় আলপনা অংকনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ কাজের একটি ছবি হেসুস নিজে কিছুদিন আগে নিজের টুইটার একাউন্টে পোস্ট করেন। হেসুস কে নিয়ে আরো একটা গল্প প্রচলিত আছে। গোলের পর হেসুসের ফোন কলের সেলেব্রেশন টাকে ঘিরেই এই গল্প।  ম্যান সিটির হয়ে ম্যাচের পর হেসুসের এই ধরনের সেলেব্রেশনে তার ও ক্লাবের সমর্থকরা উৎসুক হয় এই ধরনের সেলেব্রেশনের পেছনের গল্প বা কারণটা বা ফোন কল টা কার উদ্দেশ্য সেটা জানার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে ছড়াছড়ি হয় যে হেসুসের সাবেক প্রেমিকার উদ্দেশ্যেই নাকি এই ফোন কল। সেই প্রেমিকা যে হেসুস যখন পালমেইরাসে খেলতো এবং তার অবস্থা যখন এখনের মতো উন্নত নয় তখন হেসুসের ফোন কল গুলোকে ইগনোর করতো এবং যোগাযোগ রাখতে চাইতো না। পরবর্তীতে হেসুস যখন ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিময়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে  যোগদান করে তখন সেই প্রেমিকা আবার হেসুসকে মেসেজ ও ফোন কল করে।  

সবেমাত্র ২০ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল জাতীয় দল ও ক্লাব উভয়ের হয়েই উড়ন্ত ফর্মে আছেন। তার সাবেক ক্লাব পালমেইরাসকে হেসুস ১৯৯৪ সালের পর প্রথম ব্রাজিলিয়ান টাইটেল জেতাতে সাহায্য করে এবং ২০১৩ সালে পালমেইরাসে যোগদানের পর হেসুস ৪৮ ম্যাচে ৫৪ গোল করেন। সর্বশেষ রিও ডি জেনেরিওতে অলিম্পিক আসরেও ব্রাজিল অনুর্ধ-২৩ এর হয়ে ৬ ম্যাচে ৩ গোল করে টীম কে সোনা জেতাতে সাহায্য করে।  দারুণ ফর্মে থাকা এই প্লেয়ারকে দলে ভেড়াতে ম্যানসিটি কে গুনতে হয়েছে £২৭ মিলিয়ন। ক্লাবে যোগ দিয়ে হেসুস ক্লাব কর্তাদের বিশ্বাসের প্রতিদান রেখেছে তার খেলার মাধ্যমে বলা যায়।  ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের এই সিজনে এখন পর্যন্ত ৬ গোল ও ১ এসিস্টে দলকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রাখতে সে সাহায্য করেছে। ওয়ার্ল্ডকাপ ২০১৮ কোয়ালিফায়ারেও ৭ গোল করে প্রথম দল হিসেবে ওয়ার্ল্ডকাপে ব্রাজিলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে হেসুস এবং অই গ্রুপে এডিনসন কাভানির পরেই গোল সংখ্যার দিক দিয়ে অবস্থান করছে সে। প্রিয় দল ব্রাজিলের এই মেইন স্ট্রাইকার ১৮ বিশ্বকাপ মাতাবে এবং ব্রাজিলকে ৬ষ্ঠ বারের মতো বিশ্বকাপ জেতাবে এই আশাও রাখি। মাত্র ২০ বছর বয়সেই জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবলে ভালো অবস্থায় অবস্থান করছে গ্যাব্রিয়েল। তাই আশা করা যায় ভবিষ্যতে ফুটবলের নেক্সট বিগ থিংগদের একজন হবে গ্যাব্রিয়েল হেসুস।