উন্নতির এই বাংলাদেশের কতোটা উন্নতি হচ্ছে সেটা বিদেশের মাটিতেই বুঝা যাচ্ছে।সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে তার সর্বশেষ প্রমান।এখন পর্যন্ত নিজেদের খেলা সব ম্যাচ হেরেছে।এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচও।
টেস্টে টস নিয়ে মুশফিকের সমালোচনা, ক্যাপ্টেন থেকে অপসারণ।অনেক কথাই হয়েছে।কিন্তু পরিপূর্ণ দল নিয়ে ওয়ানডে তেও একই অবস্থা।কিন্তু টসের ভুল এবার মাশরাফি না করলেও ব্যাটসম্যানরা উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন দুহাতে।আর বোলারদের মানসিকতা একেবারে বাজে অবস্থা।একটা বল এক জায়গাতে তো পরের বল আরেক জায়গাতে।রাবাদাদের বাউন্স যেন রুবেলরা বুক বরাবরও দিতে পারলেন না।
আসলে আমাদের স্পিন নির্ভর উইকেটে খেলে অভ্যাসটাও মিরপুরে ব্যাট চালানোর মতো হয়ে গেছে।যেখানে শর্ট বল খেলতে সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশী।ছেড়ে দেওয়া বলে হয়েতুক আউট।বোলারদের লাইন লেংথ ঠিক নাই।দেশের মাঠে যদি পেস বান্ধব উইকেট না থাকে তাহলে বিদেশে খারাপ করলে বোলারদের দোষ দিয়ে কোন লাভ নাই।দেশের মাটিতে যদি পেসারদের জন্য কিছু থাকতো তাহলে আজকের বাংলাদেশ পেস এটাক বিশ্বমানের হতো।আপনি এক মুস্তাফিজকে দিয়ে গোটা একটা দেশের মান বিচার করতে পারেন না।
একটু ফিরে তাকালেই দেখতে পাবেন কিছুদিন আগেই ক্রিকেট গ্রেট অস্ট্রেলিয়াকে বলে কয়ে হারালো,তারও আগে ইংল্যান্ডকে হারালো।যেখানে স্পিনাররাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রক ছিলেন।এই স্পিনারদের জন্যই ৫ দিনের ম্যাচ ৩/৪ দিনের অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কে হারিয়ে দিচ্ছে।
কিন্তু পেসার দের ভুলে গেলে চলবে না।
গত ২ বছরে মাশরাফি,তাসকিন,রুবেল,মুস্তাফিজরা বাংলাদেশকেকে কম দেইনি।গত ওডিআই এ ভারতের সাথে মুস্তাফিজের স্পেলটা নিশ্চয় আপনার মনে আছে।তার আগে বিশ্বকাপে রুবেলের শেষ উইকেটটাও মনে থাকার কথা।তাসকিনকে ভুলে গেলে ভুল করবেন।
তাহলে দেশে এতো প্রতিভাবান পেসার থাকতে শুধু মাত্র স্পিন নির্ভর উইকেট কেন?দেশে ভালো মানের পেসার কম নাই।কিন্তু পেসারদের জন্য ভালো পিচের খুব অভাব।এক স্পিন দিয়ে যদি গোটা একটা ম্যাচ নিয়ন্ত্রন করা হয় তাহলে পেসারদের প্রেসার হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পেস বান্ধব উইকেট থাকলে কি মিউ মিউ করতে হয়।
তাহলে এমন পরিস্থিতিতে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হয় তাহলে দেশের পেসাররা অনেক ভালো করবে যার প্রভাব বিদেশের মাটিতে পরবে।
এইতো গত বিপিএল এ আবু হায়দার রনির কথা ধরুন।একটু পেস উইকেট ছিল বলে কি না করলো।জাতীয় দলে ডাকও পেলো।
তাহলে আগামী বিপিএল এ দেশের স্বার্থে স্পোর্টিং উইকেট বানানো খুব দরকার।আর তা না হলে পেসাররাও এক সময় স্পিনার হয়ে যাবে।এখন তো তাঁরা আর ১৪০কি.মি তে বল করতেই পারে না।
তাই আগামী বিপিএল হতে হবে মান সম্মত স্পোর্টিং উইকেট। যেখানে পেসার,স্পিনার,ব্যাটসম্যান সবাই নিজেদের সেরাটা দিবে।