ক্রিকেট কিছু কিছু সময়ে বিনোদনেরও খোরাক জোগায়
পোস্টটি ১০৫২৪ বার পঠিত হয়েছে‘ক্রিকেট ইজ অ্যা জেন্টলম্যান’স গেইম’ বলে একটি কথা আছে। কিন্তু কোথাও লেখা দেখিনি বা শুনিনি যে ‘ক্রিকেট ইজ এ ফানি গেইম’। তবে অনেকেই মনে করে ক্রিকেট একটি মজার খেলা। আসলে মনে করাটাই স্বাভাবিক, কেননা ডব্লিউ জি গ্রেসের মতে এই আধুনিক ক্রিকেটটা আসলেই কয়েক’শ কোটি মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে।
যাই হোক এখন ‘কাজের’ কথায় আসা যাক। কাজের কথা বলতে এই ‘মজার’ কথাই আজ বলতে এসেছি। তাহলে কান দিয়ে শুনুন। দুঃখিত, কান দিয়ে শুনতে হবেনা, চোখ দিয়ে দেখুন এবং মন দিয়ে পড়ুন। এখনকার ক্রিকেটে দর্শকরা হলো খেলার প্রধান উপাদান। দর্শকশূন্য ক্রিকেট মাঠ যেন লবনহীন তরকারির মত। আর মাঠে দর্শক মানেই যে ক্রিকেট প্রাণবন্ত সেটাও কিন্তু মুখ্য বিষয় নয়, দর্শকদের কে কত আনন্দ দিতে পেরেছে সেটাই হলো আসল। ঠিক এমন অনেক মজার মজার ঘটনার নজির আছে ক্রিকেটে যেটা কিনা শুধু দর্শকদের স্রেফ আনন্দ দেওয়ার জন্যই ঘটিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা।
দ্যা ওভাল ১৯৮১, প্যাভিলিয়ন প্রান্তের সাইটস্কিনের জন্য ডেনিস লিলির বড় রকমের এক ধরনের সমস্যা হচ্ছিল। প্রথিতযশা আম্পায়ার ডিকি বার্ড তার আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন,
‘আমি চেষ্টা করছিলাম মাঠের সকল দর্শকদের থামাতে। সবাইকে বসতে বলছিলাম বারবার। কিন্তু কেউই কথা শুনছিল না। বাধ্য হয়ে অনেককে বের করে দেওয়া হয়েছিলো। হঠাৎ, আমার কাঁধে কে যেন ধাক্কা খেল। পিছনে ফিরে দেখলাম লোকটি ডেনিস লিলি’ই ছিলো। সে আমার মাথার টুপি খুলে তার মাথায় পরে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে সাইটস্কিন ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিল।’
লিলির মাথায় বার্ডের টুপি © Patrick Eagar/Getty Images
গতবছর অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট ম্যাচে নাসিরের আম্পায়ার হবার কাণ্ড দেখেছিলাম আমরা। ডিকি বার্ডের মত সেদিনের আম্পায়ার নাইজেল লংও হয়তোবা তার আত্মজীবনীতে নাসিরের এই ঘটনা লিখে ফেলবেন ভবিষ্যতে, ‘অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ভেবে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে প্যাট্রিক কমিন্সকে আমি শুরুতে আউট দিইনি। মুশি রিভিউ নিল। রিভিউতে দেখা গেল বলটি অফস্ট্যাম্পে হিট করেছে। থার্ড আম্পায়ার আলিম দারের কাছ থেকে সিগনাল পেয়ে যখনই আমি আঙ্গুল তুলব তার ঠিক আগ মুহুর্তে আমার ডানে থাকা নাসির হোসেন আঙুল তুলে জানিয়ে দিল কমিন্স তুমি আউট।’
আম্পায়ার নাসির ©গাজি টিভি
১৯৭৬-৭৭ সাল, ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ভারত সফরে এসেছে। ক্রিকেট খেলাতেও যে বিনোদন দেখানো যায় সেটা সেদিন দেখিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক টনি গ্রেগ। যখন তিনি দেখলেন মাঠের দর্শকেরা ইংলিশদের অনুকুলে নাই, তখন তিনি খেলা করলেন দর্শকদের সঙ্গে, খুলে ফেললেন মাথার ক্যাপটি, হাটু নিচু করে জোরে চিৎকার করলেন আতশবাজির মত শব্দে। জানিয়ে রাখা ভাল, ওই ম্যাচে ইংলিশরা ২০০ রানে জিতেছিল এবং সিরিজও জিতেছিলো ৩-০ ব্যাবধানে।
টনি গ্রেগ © Patrick Eagar/Getty Images
ডেরেক রেন্ডেল ১৯৯১ সালের একদিনেরে খেলায় নটিংহামশায়ারে
পুরোটাই খেয়ে ফেলবো (Phil O'Brien / © PA Photos)
২০০২ সালে ডেভিড সাকার নিম্নমুখী ফ্যাশানে।
এই দ্যাখো, আমিও একেবারে ফুলবাবু। বুক বরাবর জামা গুজিয়েছি। Hamish Blair / © Getty Images
দর্শকদের উদ্দেশ্যে শেন ওয়ার্ন
দর্শক দের উদ্দেশ্যে শেন ওয়ার্ন। Stu Forster / © Getty Images
২০০৫-০৬ মৌসুমে অ্যাশেজ জয়ের পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে হারতে হল ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারতে হল ইংলিশদের। হারের পরে ফিল্ডার ও ব্যাটম্যানদের চোখে পড়ল কেভিন পিটারসেনের ‘সুমো’ পোজ। Stu Forster / © Getty Images
"আমার প্যান্ট কি ছিড়ে গেল নাকি? কেমন যেন ভিতরে বাতাসের আঁচ পাচ্ছি!"
রিকি পন্টিং সেদিন ঠিক এই কথাই বলেছিলেন।
অদ্ভুত এক পোজে পন্টিং । Hamish Blair / © Getty Images
শাস্তি’ই হতে পারে সেরা বিনোদন। ইংলিশদের টানা হারের জন্য এভাবেই শাস্তি দেওয়া হলো কয়েকজনকে।
"এই স্টাউস, মন্টি, কুক; আল ইজ ওয়েল বোল। নইলে ছাপ্পা মারতে পারে" David Cannon / © Getty Images
"ও চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন । এভ্রিবডি নো টু এন্ড্রু ফ্লিন্টফ ইজ এ চ্যাম্পিয়ন।'' ২০০৮ এ চ্যাম্পিয়ন নাচের তালে ফ্লিন্টফ।
২০০৮ এ চ্যাম্পিয়ন নাচের তালে ফ্লিন্টফ। © Associated Press
ভিরাট কোহলী কি নাচছেন? নাকি এক্সারসাইজ করছেন? কি কিরছেন তিনি?
হ্যাঁ, ছটবেলায় তিনি "May I come in, ma'am?" গানটি ভালো গাইতেন। তাই সেদিন তিনি দিল্লীতে খেলার ফাঁকেও এই গানটি গেয়েছিলেন।
- 0 মন্তব্য