• ক্রিকেট

চট্টগ্রাম টেস্ট: কোন ডিপার্টমেন্টেই এগিয়ে ছিলনা বাংলাদেশ।

পোস্টটি ১৬১৩ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

অবশেষে ড্রতেই শেষ হল চট্টগ্রাম টেস্ট। মুমিনুল ও লিটনের অসাধারণ ব্যাটিং এ ম্যাচ বাচালো বাংলাদেশ। অার গতকালই জয়ের সুভাষ পেতে থাকা শ্রিলঙ্কার কাঙ্খিত জয়টা অার পাওয়া হল না। অাজকের ড্র টা বাংলাদেশের জন্য জয়ের সমান। কিন্তু প্রকৃত জয় পাওয়ার জন্য পারফরমেন্সের দিক থেক একটি দলকে প্রতিপক্ষের চেয়ে নূন্যতম যতটা এগিয়ে থাকতে হয়, বাংলাদেশ ততটা এগিয়ে ছিলনা। বরং ব্যাটিং বোলিং কিংবা ফিল্ডিং সব বিভাগেই শ্রিলঙ্কারচেয়ে পিছিয়ে ছিল।

চট্টগ্রাম টেস্টের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট:

ব্যাটিং: চট্টগ্রাম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যাটিং উইকেটে। এই উইকেটে শ্রিলঙ্কান ব্যাটসমানরা ব্যাট চালিয়েছে ইচ্ছা মত। সেঞ্চুরি করেছে তিন জন। ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি ছিল ২জন। অার একটা ৮০ রানের ইনিংসও ছিল। শ্রিলঙ্কান ব্যাটসমেনরা ৬৬ টি চার মেরেছে। অার খেলেছে প্রায় ২০০ ওভার।শ্রিলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে অলঅাউট করা যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংস ততো অার তাদের খেলাই হলো না। অতএব এক ইনিংসে শ্রিলঙ্কার স্কোর লাইন অাপ ছিল "713/9 decl"।

অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান তুলছিল।  প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সেঞ্চুরি একটাই। ৮০ ও ৯০ এর ঘরের দুটি ইনিংস সহ ফিফটি ৩টি। প্রথম ইনিংসে ১২৯.৩ ওভার খেলে অলঅাউট হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের স্কোর লাইন অাপ "513-all out"। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের একটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি হয়। দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর লাইন অাপ "307/5"।

ব্যাটিং উইকেট এর সাহায্য নেওয়ার বিচারে শ্রিলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে ছিল না বাংলাদেশ।

বোলিং: টেস্ট শুরুর অাগে হইচই করে ৬ জন স্পিনারকে দলে নেয় বাংলাদেশ। অার ম্যাচ স্কোয়াড স্পিনার এবং স্পিন অলরাউন্ডারে ভরে ফেলা হয়। অার পেসার নেওয়া হয় শুধু একজন। কোন পেস বোলিং অলরাউন্ডারও দলে ছিল না। বাংলাদেশের বোলররা উইকেট প্রতি খরচ খরচ করেছে ৭৯ রান।

অন্যদিকে শ্রিলঙ্কার স্কোয়াডে স্পিনার ও পেসারদের মধ্যে ভারসম্য ছিল। বৈচিত্র ও অভিজ্ঞতার দেখা মিলেছে শ্রিলঙ্কার একাদশে। ওদের বোলাররা উইকেট প্রতি খরচ করেছ ৫৫ রান।

বোলিং ডিপার্টমেন্টে বেশ পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

ফিল্ডিং: অনফিল্ডে দুই দলের ফিল্ডিংই মোটামুটি ভাল ছিল। কিন্তু স্লিপ পজিশনে বাজে ফ্লিডিং করেছে বাংলাদেশ। স্টাপিং মিচ করেছে বাংলাদেশের উইকেট কিপার।

উইকেট কিপিং, স্লিপ কিংবা গালি পজিশনে শ্রিলঙ্কার ফিল্ডিং বাংলাদেশের চেয়ে ভাল ছিল। ফলে এই ডিপার্টমেন্টেও এগিয়ে ছিল শ্রিলঙ্কা।

                              _______________

এই ছিল পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। মূলত ব্যাটিং উইকেটে হাইস্কোরিং ম্যাচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে এবং শেষ দিনে ব্যাটিং বিপর্যয় এড়িয়ে বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টটি বাচিয়েছে। পরের টেস্টটি ভাল করতে হলে ব্যাপক ভাবে উন্নতি করতে হবে বাংলাদেশকে।

অার অামরা বাংলাদেশের সামর্থকরা তো রইলামই। পরের টেস্টে অারো ভাল কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে।

_20180204_160937