• ফুটবল

তুমি তো সেই যাবেই চলে

পোস্টটি ৭০৩৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

                                  

ইংলিশ ফুটবলে সানচেজের মতোন ফুটবলার বিরল। সানচেজরা দক্ষিণ আমেরিকায় স্ট্রিট ফুটবল খেলে বড়ো হন। বল হারিয়ে গেলে তার দখল পাবার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। এই সমস্ত ইনস্টিংক্ট অত্যাধুনিক ট্রেনিং গ্রাউন্ডে শিখিয়ে আয়ত্ত করা যায়না। এইজন্য ইংল্যান্ডের মতোন জায়গায় স্যাঞ্চেজের মতোন প্রতিভারও জন্ম হয়না।

-আর্সেন ওয়েঙ্গার

না, প্রফেসর তো নন তিনি । কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকতালিকায় নাম নেই তার। তবে ভারী ফ্রেমের চশমা পড়ে কিংবা চশমা ছাড়া তিনি যখন ডায়াসে উঠে কোনও কথা বলেন, বিশ্লেষণ করেন ফুটবল খেলাটিকে, তখন তাঁকে প্রফেসর মনে না হয়েই যায়না। ফুটবল নামক এক মহাযজ্ঞের সাধক তিনি। খেলাটিকে ভালোবেসেছেন মনেপ্রানে। অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা আর একজন সত্যিকারের নেতার মতোন দূরদৃষ্টি তাঁর। ক্ষুরধার প্রজ্ঞা রাখেন খেলাটির ওপর। আজও ৬৯ বছরের সুদর্শন, পরিপাটি, লম্বা ছিপছিপে এই মানুষটির চাল-চলন দেখলে, কথা বলার ধরন শুনলে মনে হয় তাকে যেন ক্লাসরুমে পড়ানোতেই বেশী মানায়, খেলার মাঠে নয়। ঠিকঠাকমতোন চুল আঁচড়ে, ক্লিনশেভড হয়ে ক্লাবের ডাগ আউটে বসে খেলা দেখেন, উত্তেজিত হন, যন্ত্রনায় নীল হন, আনন্দে হাতের মুঠো শূন্যে মেলে ধরেন। এই আমাদের চিরচেনা চিরআপন আর্সেন ওয়েঙ্গার।     c

মানুষটিকে অনুসরণ করছি দেড় দশক যাবত। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে ভালোবাসতে পারিনি। কিন্তু কীভাবে যেন আর্সেন ওয়েঙ্গারকে ভালোবেসে ফেলেছি। ২২ বছর আর্সেনাল নামক একটি দলের কান্ডারি তিনি। ভুলেই গিয়েছি আর্সেন ওয়েঙ্গার এবং আর্সেনাল দুটি ভিন্ন সত্তা। এই মৌসুম শেষে তিনি চলে যাবেন আর্সেনাল ছেড়ে। হয়তো ইংলিশ চ্যানেলই ছেড়ে যাবেন। কোথায় যাবেন অভিমানী এই সুপুরুষ? খ্যাতি এবং অর্জন যখন তুঙ্গে, ক্লাব ছেড়ে যাবার কথা ভাবেননি কোনদিন। ডাক এসেছিল বার্সেলোনা থেকে, ফ্রান্সের জাতীয় দল থেকেও নাকি এসেছিল। যাননি। আজ তাঁকেই এই মৌসুম শেষে চলে যেতে হচ্ছে। কোথায় যাবেন? চাকরির অভাব তো হবেনা তাঁর। নাকি অবসর নিয়ে নেবেন খেলাটি থেকেই?

 

একটির পর একটি ইঁট জোড়া লাগিয়ে তিনি আর্সেনাল নামক ফুটবল ক্লাবটির গাঁথুনি শক্ত করেছেন, আধুনিক সময়ের উপযোগী করে তৈরি করেছেন। আর্সেনাল দলটির মাঠ ছিল হাইবুরিতে। ছোট স্টেডিয়াম, ক্লাবপ্রেমিক দর্শকদের সশব্দ সমর্থনে ভরে থাকত হাইবুরি স্টেডিয়ামটির প্রতিটি কোণা। প্যাট্রিক ভিয়েরা বিশ্বসেরা বক্স-টু-বক্স মিডফিল্ডার হয়েছেন, থিয়েরি ওঁরি উইঙ্গার থেকে স্ট্রাইকার হয়েছেন, ইমানুয়েল পেতিত সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার থেকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হয়েছেন এই মাঠেই। আর্সেন ওয়েঙ্গারের বেশীরভাগ সাফল্য এসেছে এখানেই। সেই যে যেবার আর্সেনাল একটি খেলায় না হেরেই শিরোপা জিতল, খেতাব পেল ‘ইনভিন্সিবল’ এর, সেটা কিন্তু এই হাইবুরিতেই। তবে আর্সেন চাইলেন খেলা হবে বড়ো মাঠে, সর্বাধুনিক ও সুসজ্জিত স্টেডিয়ামে। তাই সৃষ্টি হলো এমিরেটস স্টেডিয়ামের আর ট্রেনিং গ্রাউন্ডও তৈরি হলো তাঁর মতানুসারেই। এসব করতে গিয়ে ব্যাংকলোন নিতে হয়েছে পর্বতপ্রমান। সেটি শোধ করতে গিয়ে এক ভিন্ন ধরণের বিজনেস প্ল্যান তৈরি করতে হলো। ক্লাবের হোমগ্রোন ফুটবলারদের পাশাপাশি খোঁজ শুরু হলো স্বল্প বয়সী মেধাবী ফুটবলারদের যোগাড় করা। এইজন্য দরকার হতো নিখুঁত স্কাউটিং। তিনি মনের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর ব্যাকস্টাফদের। তারপর শুরু হয় এই ফুটবলারদের সঠিকভাবে দেখাশোনা এবং প্রশিক্ষণের। আর এসবকিছুর প্রানভোমরা ছিলেন তিনি।  তারপর সামর্থ্যরে শীর্ষে থাকা অবস্থায় এই মেধাবী ফুটবলারদের বিক্রী করে সেই ঋণশোধ করতে হয়। খুব গৌরবের বিষয় নয় এগুলি, তারপরেও ক্লাবের সাসটেইনেবিলিটির দায়, বিশ্বজুড়ে ক্লাবের জনপ্রিয়তা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা যায়না।

 

ওয়েঙ্গার জানতেন যে দেনা শোধ করতে গেলে দামী খেলোয়াড় ভেড়ালে কাজ হবেনা। দলীয় আনুগত্যের পাঠ দিয়ে অখ্যাত, অনভিজ্ঞ তরুণদের দিলেন দলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার ভার। তাই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়ার্ধে শিরোপা অর্জনে ব্যর্থ হলেও আমরা দারুণ এক ধারাবাহিক আর্সেনাল দলকে দেখি যে দলে শুধুই তরুনদের জয়জয়কার। এই তরুণদের দিয়ে তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতাতে না পারলেও ইউরোপিয়ান কাপে টানা ২০ বার খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। প্রচন্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা ২০ বার প্রথম চারটি দলের মধ্যে থাকাও কি কোনও ছোট অর্জন?

 

আর্সেনালে শিরোপার খরা চলেছে দীর্ঘদিন। যে সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সেরা চারে থাকাটাকেই সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করতেন আর্সেন, গেল দুই মৌসুমে সেটিও হাতছাড়া হয় হয়। খেলোয়াড় কেনাবেচাতেও কিছুটা তড়িঘড়ির ছাপ পাওয়া যাচ্ছে। প্রিয় খেলোয়াড় যাদের তিনি নিজ হাতে তৈরি করেছেন, আস্থা রেখেছেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় একে একে কবেই চলে গেছেন তাকে ছেড়ে। আবার যে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের দিয়েছেন ভবিষ্যতের ভার, তাঁদের নিয়ে প্রত্যাশাল জাল বুনলেও প্রাপ্তির সাথে ফারাক থাকছে ঢের। এর মাঝে প্রফেসর সাহেবের ব্যাকস্টাফরাও বদলে গেছেন। যে ক্লাবের ওপর সর্বময় ক্ষমতা ছিল তাঁর, সেখানে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন অন্য কেউ। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ২২ বছরে একটি জিনিসের কোনও পরিবর্তন হয়নি। আর সেটি হচ্ছে আর্সেনালের ফুটবল খেলার ধরণ।

 

প্রগতিশীল, আক্রমনাত্মক ফুটবল- এই হচ্ছে ওয়েঙ্গারের মূলমন্ত্র। জেতার জন্য একটি গোল করে ‘পার্ক দ্যা বাস’ নয়, আর একটি গোল করার চেষ্টা করে যাওয়া। বলেছিলেন, ‘আমরা জিততে চাই, তবে স্টাইলের সাথে’। ১৫ বছর ধরে আর্সেনালের খেলা দেখছি। কোনও একটি দিন মনে হয়নি তারা রক্ষণাত্মক খেলা খেলছে। প্রতিপক্ষ যেই হোক, বার্সেলোনা কি বায়ার্ন, চেলসি কি ম্যানচেস্টার- আর্সেনাল খেলেছে জেতার জন্য। হেরেছে, জঘন্যভাবেও হারতে দেখেছি। কিন্তু তারা খেলে হেরেছে, জেতার জন্য খেলে হেরেছে। ওয়েঙ্গারের খেলার ধরণ বার্সেলোনার মতোন পজেশন ধরে রাখা নয় কিন্তু তারপরেও অনেক বেশী কৌশলী, সৃষ্টিশীল। ৪-৪-২ পদ্ধতি, গতিশীল উইঙ্গার (ওভারমার্স, বেলেরিন), বক্স-টু-বক্স মিডফিল্ডার (ভিয়েরা, রামসেই), আনঅর্থোডক্স অ্যাটাকিং ফুটবলার (ওঁরি), বলপ্লেয়ার (পিরেজ, ওজিল, কাজোরলা, ফাব্রিগাস)- এরাই দলটিকে জাগিয়ে রাখে। নিখুঁত ছোট পাস, সম্মিলিতভাবে আক্রমনে যাওয়া, হঠাৎ কোনও ডিফেন্স চেরা পাস, হালকা ফ্লিক, চকিতে বলের দিক পরিবর্তন কিংবা ব্যাক হিল- এই সবই হলো ওয়েঙ্গারের ট্রেডমার্ক। যে দলে বলপ্লেয়ারের গুরুত্ব একজন হোল্ডিং মিডফিল্ডারের চাইতে বেশী, সেই দল হলো ওয়েঙ্গারের দল। যে দলে একজন অনভিজ্ঞ, তরুণের প্রয়োজনীয়তা একজন ভেটেরেনের চাইতে কম কিছু নয় সেই দল হলো ওয়েঙ্গারের দল। যে দলে একজন ইনজুরড খেলোয়াড়কে শুশ্র“ষার জন্য সময় দেয়া হয় বছরের পর বছর এমন মানবিক দল ওয়েঙ্গারের দল। এভাবেই তিনি খেলিয়েছেন দীর্ঘ ২২ টি বছর, কোনও একটি ম্যাচেও এর কোনও ব্যতিক্রম দেখিনি।

 

আর যেভাবে তিনি দলকে দিয়ে খেলিয়েছেন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বাকি দলগুলি সেটিই অনুসরণ করেছে। বিষয়টি শুধু খেলোয়াড়দের ডায়েট পরিবর্তনে বিপ্লব আনা কিংবা লং পাসের রুট পরিবর্তন নয়- এটির সাথে জড়িয়ে আছে এক আক্রমনাÍক, কৌশলনির্ভর, স্টাইলিশ ফুটবল দর্শন। শরীরনির্ভর ইংলিশ ফুটবলে তিনি এনেছিলেন ফ্রেঞ্চ সংবেদনশীলতা। একে একে দলে ভিড়িয়েছিলেন ভিয়েরা, আনেলকা, পেতিত, ওঁরি এবং পিরেজকে। বার্গক্যা¤ক্স ছাড়া এরাই আর্সেনালকে দিয়েছে মুক্ত, নির্মল বাতাস। তরুণ ফুটবলারদের ক্ষমতা চিনেছেন জহুরির মতোন। তাদের সুযোগ দিতে পিছপা হননি কখনো। মাঠে নিজের সামর্থ্য প্রকাশের অবাধ সুযোগ দিয়েছেন বলে সবার কাছ পিতাসমান মর্যাদা এবং সম্মান পেয়েছেন।

 

কিন্তু এটাও তো ঠিক যে আর্সেনের নেতৃত্বে আর্সেনাল ক্লাবটিকে ইদানিং কিছুটা খাপছাড়া, কিছুটা লক্ষ্যবিহীন মনে হচ্ছে। ক্লাবের ভক্তসমর্থকরা চাইবে ক্লাবটি শিরোপার লড়াইয়ে থাকুক, মহাদেশীয় সাফল্য পাক। ২০০৪ সালের পর থেকে রোমান আব্রামোভিচ ও কাতার থেকে আসা অঢেল অর্থের যোগানে প্রিমিয়ার লিগ আগের মতন নেই আর। সমর্থকদের চাওয়ার সাথে মাঠে আর্সেনালের পারফরমেন্সের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা অনেকদিন থেকেই। সমর্থকদের চাওয়া অযৌক্তিক হলেও তাকে অস্বীকার তো করা যায়না। একদিকে মাঠে আর্সেনালের অনেকদিনের শিরোপা খরা, আবার অন্যদিকে সমর্থকদের চাপ, সবমিলিয়ে সময় ওয়েঙ্গারের পক্ষে নয়। যুগ পাল্টে যাচ্ছে, পেপ গার্দিওলা খেলাটিকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য উচ্চতায়।  সেখানে ওয়েঙ্গার কি পিছিয়ে পড়ছেন? আর্সেন ওয়েঙ্গার নতুন শতকের গোড়ায় চেয়েছিলেন, ইংরেজ খেলোয়াড়দের কেন্দ্র করে চালিত হোক ক্লাবটি, যাতে আখেরে লাভ ইংলিশ ফুটবলেরই। কিন্তু বাস্তবে তাঁর এই প্রকল্প কখনোই সুফলা হয়নি। আবার স্বল্পম–ল্যে যেসব তরুনদের তিনি দলে ভিড়িয়েছিলেন, সবাই তার আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি কিংবা দলে ‘বিশিষ্ট’ খেলোয়াড়ের উপস্থিতিতে সবাইকে তিনি দিতে পারেননি যোগ্য জায়গায় খেলার নিশ্চয়তা। এগুলো নিশ্চয়ই দলের পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলেছে।

 

এটাই সত্য যে প্রাতিষ্ঠানিক আনুগত্য, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ, তারুন্যে আস্থা- এগুলো সব এযুগে বাকোয়াস, স্বল্প মেয়াদের সাফল্যের জন্য বুভুক্ষু সবাই। খেলায় এখন বিজয়ই শেষ কথা। কিভাবে খেলা হলো সেসব নিয়ে ভাবনার সময় কার? তাই মনে হচ্ছে আর্সেন ওয়েঙ্গার ফুটবলের সেই সর্বশেষ প্রতিনিধিদের একজন যাদের কাছে ফুটবলের কিছু মূল্যবোধ অবশিষ্ট ছিল। আর্সেন নিজের সাথে ক্লাবের চুক্তিকে সবসময় সম্মান করেছেন। চুক্তি মূল্য দিয়েছেন। বড়ো বড়ো ডাক তিনি অগ্রাহ্য করেছেন ক্লাবের সাথে চুক্তি রয়েছে বলে। আজ চুক্তি শেষ করার আগেই তাঁকে চলে যেতে হচ্ছে। কষ্ট নিয়ে যাচ্ছেন নিশ্চই। তবে চাকরির অভাব হবেনা তার, চোখ বন্ধ করেই তা বলে দেয়া যায়। কোনও চাকরি বাকরি না করে তিনি বই লিখতে পারেন। কম নিন্দে তো আর জুটলোনা ইংরেজ সাংবাদিক মহল আর একশ্রেণীর ‘ক্লাব সমর্থক’-দের কাছ থেকে। এখন তিনি কিছুদিন বিরতি নিতে পারেন কাজ থেকে। সামনে বিশ্বকাপ, কমেন্ট্রি করতে পারেন। তাঁকে যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ‘প্রফেসর’ হিসেবে পেতে চায়, তাহলেও কি আমরা খুব অবাক হবো? সন্দেহ নেই ক্লাবে তাঁর দিন ফুরিয়ে এসেছিল, ভবিষ্যতে ক্লাব তাঁর আদর্শ ধারণ করতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে আছে ঢের সন্দেহ, তবে আর্সেনের সুগন্ধ, তাঁর ছাপ থেকে যাবে।আমরা তো জানি ‘যুগের হুজুগ কেটে গেলে’ তিনি ফুটবলের একজন মডার্ন গ্রেট হিসেবে বিবেচিত হবেন।