২০১৮ বিশ্বকাপঃ প্লেমেকার - জিয়ন কাঠি যাদের পায়ে ! (পর্ব ৩, শেষ পর্ব )
পোস্টটি ১২৭৮৯ বার পঠিত হয়েছে৮. মড্রিচ-রাকিতিচ
ফুটবল নিয়ে যারা খোঁজখবর রাখেন, এই দুইজনকে তাদের কাছে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। রিয়াল-বার্সার পরিচিত দুই মুখ। খেলার স্টাইলেও অনেকখানি মিল আছে। দুই জনই বক্স টু বক্স, ডিপ লাইয়িং সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার। ডিফেন্স আর এটাকের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে মধ্যমাঠে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। তবে মড্রিচ হয়তো ডিফেন্সে এগিয়ে থাকবেন, রাকিতিচ এটাকে। লুকা মড্রিচ ইংলিশ ক্লাব টটেনহামে থাকতেই নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন, ফলস্রুতিতে, রিয়াল মাদ্রিদ লুফে নেয় তাকে। ২০১২ থেকে সুনাম বজায় রেখে সার্ভিস দিয়ে চলেছেন - যার কারণে দল বদলের এই অস্থির যুগেও ক্লাব তাকে ধরে রেখেছে। ওদিকে, ইভান রাকিতিচ স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াতে তার পারফর্মেন্স দিয়ে বড় ক্লাবের নজর কাড়েন , এরপর বার্সা তাকে নিয়ে নেয়। বার্সার খেলার স্টাইলের সাথে দ্রুতই নিজেকে খাপ খাইয়ে নেন, হয়ে উঠেন অপরিহার্য সদস্য।
ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডাররা আর স্ট্রাইকাররা কেমন পারফর্ম করবেন, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও এই 'ম-রা' জুটি যে বিশ্বমানের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করবেন তা নিয়ে কেউ দ্বিমত করবে না।
এই মৌসুমে মড্রিচ - ম্যাচঃ ৪২, গোলঃ ২, এসিস্টঃ ৭, রেটিংঃ ৭.২১
এই মৌসুমে রাকিতিচ -ম্যাচঃ ৫৫, গোলঃ ৫, এসিস্টঃ ৫, রেটিংঃ ৭.০৮
৯. দেলে আলি
উঠতি মিডফিল্ডারদের মধ্যে ফুটবল বোদ্ধাদের বেশ ভালো নজর কেরেছেন ইংল্যান্ডের সেন্সেশন দেলে আলি। ইংলিশ লিগে টটেনহামের হয়ে খেলেন, অভিষেক মৌসুমে জিতে নিয়েছিলেন 'ইয়াং প্লেয়ার অব দ্যা ইয়ার' পুরস্কার। লিকলিকে শরীর নিয়ে ভালই গতি তুলতে পারেন, সাথে ড্রিবলিং আর গোল করার ক্ষমতাও আছে। মধ্য মাঠ ছাড়াও দুই পাশে সাবলীল ভাবে খেলতে পারেন । যাহোক, জেরার্ড - ল্যাম্পার্ড পরবর্তি যুগে ভাল প্লেমেকারের অভাবে ভুগছে ইংল্যান্ড জাতীয় দল। তাই দেলে আলির দিকে ভক্তরা যে তাকিয়ে থাকবে, একথা বলাই বাহুল্য।
এই মৌসুমে ম্যাচঃ ৫৩, গোলঃ ১৪, এসিস্টঃ ১৪, রেটিংঃ ৭.১৬
১০. সাদিও মানে
লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো এটাকিং মিডফিল্ডার সাদিও মানে এই বিশ্বকাপে সেনেগাল দলের প্রানভোমরা। দারুণ শারীরিক শক্তি, স্টামিনা আর বল নিয়ে কারিকুরি করার ক্ষমতা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত করতে স্বিদ্ধহস্ত তিনি। এর সাথে কাউন্টার এটাক, এসিস্ট আর গোল করার ক্ষমতার জন্য আক্রমণাত্মক ফুটবলের সমার্থক বলতে পারেন সাদিও মানে কে। দলের প্রয়োজনে ডিফেন্স ওয়ার্কও করতে পারেন। ক্লাবের ফর্ম যদি জাতীয় দলে টেনে নিতে পারেন, সেনেগাল হয়তো আবারো চমক দেখাতে পারবে ২০০২ বিশ্বকাপের মতো।
এই মৌসুমে ম্যাচঃ ৪৫, গোলঃ ২০, এসিস্টঃ ৮, রেটিংঃ ৭.৫১
১১. মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ
দল বদলের সিজনে তাকে নিয়ে ইতোমধ্যে কাড়াকাড়ি পরে গেছে - কথা হচ্ছিল সার্বিয়ার মিডফিল্ডার মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ কে নিয়ে। ইতালির সিরি 'আ' তে লাতজিওর হয়ে খেলেন। বিশালদেহী এই তরুন মিডফিল্ডার বয়েসের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছেন ফুটবল দক্ষতায়। গোল করা, করানো এবং বল কেড়ে নেয়া তিন ডিপার্টমেন্টেই বেশ দক্ষ সাভিচ। সার্বিয়ার পল পগবা বলা যেতে পারে তাকে। যাইহোক, ব্রাজিল - সুইৎজারল্যান্ড এর গ্রুপে পড়া সার্বিয়াকে যদি গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেন, তাতেই সমর্থকরা খুশি থাকবে।
এই মৌসুমে ম্যাচঃ ৪৮, গোলঃ ১৪, এসিস্টঃ ৬, রেটিংঃ ৭.৩৫
- 0 মন্তব্য