• ক্রিকেট

অধিনায়কের আক্ষেপ ২টি সেঞ্চুরি!

পোস্টটি ৫১০৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ম্যাচ শেষে প্রেসেন্টশনে এসে লিটন-ইমরুলের দারুন শুরুর প্রশংসা করে, হাতের কাছের সেঞ্চুরি না পাওয়ায় আক্ষেপও করলেন অধিনায়ক।ব্যাটিংয়ে শুরুটা ছিলো দারুন। ১৪৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশীপ অনেকদিন ধরে দেখেনি বাংলাদেশ। তবে আজ জেনো সব নতুন করে শুরু করলো তারা দুজন। দারুন খেলছিলেন লিটন-ইমরুল। তবে শুরুতেই রিভিউ এর কল্যানে বেচেযান লিটনদাস। এবং ২জনে এগোচ্ছিলেন সতর্কভাবেই।  ইমরুল ম্যাচটাকে ধরে এবং লিটন দাস রানের চাকা সচল করে এগোচ্ছিরেন ভালোভাবেই। অলরাউন্ডার শেন উইলিয়ামসকে পর পর ২বলে ২টি বাইন্ডারি মেরে  ৪৬ বলে করে নেন নিজের ১ম অর্ধশত। দলও এগোচ্ছিলো খুব দ্রুতই। ১৫ ওভারেই পেরিয়ে যায় দলীয় শত রান।  তবে দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় জিম্বাবুয়ের পক্ষে আজকের ম্যাচে একমাত্র উইকেট শিকারি অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার বলে কাউকর্নার দিয়ে মারতে গিয়ে ডোনাল্ড ত্রিপানোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে থেকে (৮৩)। ৩ নাম্বারে ব্যাটিং করতে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি প্রথম ম্যাচের ন্যায় এ ম্যাচেও সুবিধে করতে পারেননি। সিকান্দার রাজার বলে স্টাম্পিং হয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে অভিষেকে পরপর ২ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন শুন্য রানে। মাঝ পথের ধাক্কাটা সামলে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন কায়েস-মুশফিক। ২জনের ৫৯ রানের জুটি ভেঙ্গে দলীয় ২১১ রানে ব্যাক্তিগত ৯০ রানে সিকান্দার রাজাকে কাভারের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে ধরা পরেন অভিজ্ঞ জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার এলটন চিগম্বুরার হাতে। অবশ্য এই আউটের ফলে ম্যাচ জয়ে কোন প্রভাব না ফেলেনি। মুশফিক-মিথুন ম্যাচটা জিতেই মাঠ ছেড়েছন। জুয়াও এর বলে ছক্কা মেরে ৩৫ বল হাতে রেখেই ম্যাচটা জিতেছেন লাল-সবুজ বাহীনি। তবে মাশরাফির আক্ষেপ এই ২টা সেঞ্চুরির একটাও না হওয়াতে। ২টা সেঞ্চুরির অন্তত একটা সেঞ্চুরি হতেই পারতো। ম্যাচ শেষের প্রেজেন্টেশনে মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন,”আমাদের ২টা সেঞ্চুরি হতে পারতো। লিটনদাসের ৮০+এবং কায়েসের ৯০ রান। আশাকরি পরেরবার এটা সেঞ্চুরি হবে। সেঞ্চুরি সব সময়ই সেঞ্চুরি।” তবে এই সেঞ্চুরি নিয়ে ইমরুল কায়েসের কোন আক্ষেপ নেই। দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি তিনি। আজকের ম্যাচে ৩জন ৭০+ রান থাকাতেও ম্যান অফদি ম্যাচ হয়েছেন ৩উইকেট পাওয়া তরুন অলরাউন্ডার সাইফ উদ্দিন। বোলিং সাফল্য নিয়ে এই বোলার বলেন, শুরুর দিকে সেরকম ভালো করতে পারিনি। পরেরবার এসে আমি মোস্তাফিজের সাথে কথা বলেছি কারন ও অনেকদিন ধরে খেলছে। সিনিয়রদের সাথে কথা বলেছি। চেষ্টাকরেছি সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে।