• ফুটবল

চিরচেনা ভুলের পথে চট্টগ্রাম আবাহনী!

পোস্টটি ৮৭১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

IMG_20191028_235111_761 সময় যত ই যাচ্ছে টানটান উত্তেজনা ও তত ই বাড়ছে  । ফাইনালে যেতে হলে ব্যবধান গড়ে দিতে হবে ম্যাচ স্কোর এ। বলছি, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালের কথা । মুখোমুখি ভারতের ডুরাল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালা এফসি বনাম চট্টগ্রাম আবাহনী । এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে  মুখোমুখি হয়েছে দু'দল, কিন্তু স্বাগতিক হওয়ার অতিরিক্ত ফায়দা তুলতে পারে নি চট্টগ্রাম আবাহনী । প্রথম অর্ধেই ডিফেন্সিভ দূর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১-০ গোল এ এগিয়ে যায় সফরকারী গোকুলাম কেরালা এফসি । দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতে ১-১  গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী । এর পর একের পর এক আক্রমন, কিন্তু প্রতিপক্ষের দূর্গ কাঁপাতে পারে নি চট্টগ্রাম আবাহনী ।  দূর্বলতা স্পষ্ট, অতি পরিচিত দূর্বলতা তা । যে দূর্বলতার ফল ভোগতে হয় জাতীয় দল থেকে দেশের সব ক্লাব কে! বিপক্ষেল ফিনিশিং, অতিরিক্ত ডিফেন্সিভ  খেলার কাছে বারবার হেরে যাচ্ছে এদেশের ফুটবল! খেলার মাঝে একের পর পর এক আক্রমণ দূর্বল ফিনিশিং এর জন্য ব্যার্থতায় পরিগণিতহয় । যা গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তেরেঙ্গানা   এফসির বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস এর খেলায় দেখা গেছে, যদি ও বসুন্ধরা ‌‌‌‌‌‌‌‌‌পেনাল্টি  মাশুল দিয়েছে ২, ২বার ! 

য়ে ডিফেন্সিভ এর কথায় আসি এবার, যখন বল  দ্রুত গতিতে ঢুকে পড়ে প্রতিপক্ষের অর্ধে তখন আমাদের প্লেয়ারদের খুঁজে পাওয়া যায় না । নিজেদের অর্ধেই রয়ে যায় ৬-৭ প্লেয়ার! যেটা চট্টগ্রাম আবাহনী বনাম গোকুলাম কেরালা এফসি মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনালের ম্যাচে দেখা গেছে । নির্ধারিত সময়ের শেষে ২-২ গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিক আবাহনী । অতিরিক্ত সময়ে আর কোনো গোল হয়নি । যোগ হয় অতিরিক্ত ১৫-১৫=৩০ মিনিট ।প্রথম ১৫ মিনিট এ দারুন দাপট য়ে ব্যবধান ৩-২ এ ফিরলে ও শেষ ১৫ মিনিট এ ডিফেন্সিভ ও বল ক্লিয়ারিং মনোযোগ দেয় চট্টগ্রাম আবাহনী! যেটা ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, কারন এই অতি ডিফেন্সিভ খেলার কারনেই ম্যাচ হারতে হয় । অতি ডিফেন্সিভের কারনে মানসিক ভাবে প্রতিপক্ষের থেকে পিছিয়ে পড়ে! ভূল-ত্রুটি মার্জনীয় ।