মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ
পোস্টটি ২২৬৫ বার পঠিত হয়েছেনিঃসন্দেহে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দিন। আইসিসির বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবার শিরোপা এলো বাংলাদেশের ঘরে। হোক সেটা অনূর্ধ্ব ১৯ দলে তবুও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নামের তালিকায় বাংলাদেশের নামও যুক্ত হয়েছে। আমরা ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটে একটি ট্রফির আশায় কত প্রার্থনা করেছি কিন্তু অনেকবার শেষ মূহুর্তে এসে হারাতে হয়েছে স্বপ্নের ট্রফি। এই ভারতের কাছেই তো কতবার তীরে এসে তরী ডুবেছে। ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয়ে এখনো সেসব হারের ক্ষত টাটকা। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে কেটেছে ভারত জুজু। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এখন বাংলাদেশ। পুরো দেশবাসী মেতেছে উল্লাসে। কিন্তু সে উল্লাসে কিছুটা হলেও যে ভাটা পড়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
একদিকে আজ ছোটরা খেলার মাঠে দুর্দান্ত লড়াই করেছে৷ ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েও আবার অদম্য শক্তিতে লড়াই করেছে অন্যদিকে বড়রা আজ পাকিস্তানের বোলারদের দাপটে দিশেহারা। বলছি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের কথা।
টেস্ট ক্রিকেট বার বার আমাদের অসহায়ত্বকে প্রকাশ করে দেয়। সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে আজ পাকিস্তানের বোলার নাসিম শাহ কে হ্যাট্রিক উপহার দিয়েছেন বাাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রতি পদে পদে আমাদের দূর্বলতাগুলো ফুটে উঠেছে আজকের টেস্ট ম্যাচে।
অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সাফল্যের পর ক্রিকেটের এমন দিন বার বার আসুক তা দেশের প্রতিটি ক্রিকেট ভক্তই চাইবে, কিন্তু জাতীয় দলের জন্য এমন দিন আসুক তা হয়ত কেউ চাইবে না। ক্রিকেট আমাদের আবেগের সাথে মিশে আছে। দেশের ক্রিকেট ভক্তরা চান আমাদের ক্রিকেটাররা তাদের নিজেদের সবটুকু উজার করে খেলুক। ব্যাটসম্যানরা লড়াই করার মানসিকতা গড়ুক।বাংলাদেশের মত পরিণত দলের কাছে টেস্টে এমন পারফরম্যান্স সত্যিই ক্রিকেট ভক্তদের আনন্দকে কিছুটা হলেও ম্লান করেছে।
সর্বোপরি আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম বিশেষ দিন। দেশের মানুষ আজ একই সাথে সেরা সাফল্য এবং হতাশাজনক পারফরম্যান্স দুটোরই সাক্ষী হয়েছেন। মুদ্রার এপিট ওপিট একই দিনে খুব কমই দেখেছেন দেশের ক্রিকেট ভক্তরা।
- 0 মন্তব্য