• ক্রিকেট

আফতাব দ্যা পিঞ্চ হিটার!!

পোস্টটি ৩৪১৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

গ্যালারীতে তুমুল উত্তেজনা, বাধঁ ভাঙ্গা আনন্দ আর জয়োল্লাসে মেতে উঠেছে ক্রিকেট প্রেমীরা! জনসমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে গ্যালারীর স্তরে স্তরে শুধুই বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে আওয়াজ আসছে কানে। প্রশ্ন হতে পারে কেনো?? কারণ টা হয়তোবা সবুজ বিস্তর উদ্যানের মাঝখানে বাদামী-কালো ঐ গালিচায় ব্যাট হাতে ঝড় উঠছে। ঝড়ের ধরুন অবলীলায় বল ছাড়াচ্ছে সীমানা! কখনো মাটি কামড়ে কিংবা কখনো হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে জন সমুদ্রের ঐ উত্তাল ঢেউয়ে বল খুঁজছে তার আপন ঠিকানা! আর আনন্দের জোয়াড়ে ক্রিকেট প্রেমীরা খুঁজে নিচ্ছে তাদের মনের খোড়াক! ক্রিকেটের রাজকীয়তা বোধগম্যতা সেখানেই নিহিত!

এখন প্রশ্ন হচ্ছে? বোলারদের উপর এমন ক্ষিপ্ত মেজাজে চড়াও হচ্ছে টা কে?? কে এমন অবলীলায়-স্বমহিমায় দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে বোলারদের মনোবল আর সব ধরনের অস্ত্র?? হ্যা সেটা পিঞ্চ হিটার নামক কিছু ব্যাটিং দানব এর কাজ।  নিজের দিনে বোলার সর্বোচ্চ ভালো বল কিংবা যেকোনো বলকেই অবলীলায় সীমানা ছাড়া করতে উস্তাদ এরা। আর মানুষের আনন্দের খোড়াক তো বটেই! সেরকম একজন বাংলাদেশেও ছিলো। কিন্তু কে সে?? প্রশ্নের উত্তর আফতাব আহমেদ! নিজের দিনে বোলার সর্বোচ্চ ভালো বল কিংবা যেকোনো বলকেই অবলীলায় সীমানে ছাড়া করতে উস্তাদ ছিলো আফতাব।

images - 2020-05-14T161800.780

হ্যা প্রিয় পাঠক আজকের গল্পের নায়ক বাংলাদেশের দলের তৎকালীন সময়ের পিঞ্চ হিটার আফতাব আহমেদ। অবিলীলায় বাউন্ডারি হাঁকানো আফতাব আহমেদের ক্যারিয়ার এবং হারিয়ে যাওয়ার গল্পে সব হিসেব মিটিয়ে কি পেয়েছি আমরা আজকের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু সেগুলোই।

অভিষেকের শুরু দিকে উইকেটে আফতাব থাকলে প্রতিপক্ষ বোলারদের মনে ধরে যেতে কাপঁন। নিয়মিত স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি তে বোলারদের নিয়মিত ঘুম হারা করার উস্তাদ ছিলেন আফতাব আহমেদ। নিজের দিনে হাতের ব্যাট কে কেবল বানাতেন একটা কম্পাস। হ্যা পাঠক এ যে সে কম্পাস নয়। সে কম্পাসে বৃত্ত আকাঁ যেতো পুরো মাঠে। মাঠের চারদিকে অবলীলায় বাউন্ডারি হাকাঁনো ছিলো তার অন্যতম নিদর্শন। উইলো নামক কম্পাস হতো তার সহযোদ্ধা!

টাইগার ক্রিকেটের অহংকার আফতাবের জন্ম ও শৈশব দুটোই কেটেছে চট্টগ্রামে। তার প্রথম বিদ্যালয় সেন্ট মেরি স্কুল। শুরুর দিকে আফতাবের আন্তর্জাতিক খেলার প্রতি তেমন টান ছিল না, এমনকি তিনি এটাকে নির্যাতন বলেও মনে করতেন। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে থাকতে হবে ভেবে তিনি বিকেএসপিতে ভর্তি হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পিতা ক্রীড়ামোদী ছিলেন এবং তার ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে অত্যন্ত উৎসাহী ছিলেন। আফতাব তার ক্রিকেটীয় জীবন সম্পর্কে উৎসাহী ছিলেন না এবং তার ক্রিকেট ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসার ঘটনাও রয়েছে। দলে সুযোগ না পাওয়ার কারণে তার মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল।শেষ পর্যন্ত প্রতীক্ষার অবসান ঘটে এবং তিনি দলে সুযোগ পান।

images - 2020-05-14T161822.063

সময় টা তখন ২০০৪৷ দেশের ক্রিকেটাঙ্গন যখন নিভু নিভু জোনাকির ন্যায় জ্বলবে জ্বলবে করছে ঠিক তখনি বাংলাদেশের ক্রিকেট যাত্রায় সংযোজিত হয় এক নতুন অধ্যায়ের৷ এক নতুন পিঞ্চ হিটারের। স্বপ্ন দেখানোর মতো একজনের৷ দুর্দান্ত সব শটস আর বাহারী নান্দুনিকতায় শুরু টা সেভাবে রাঙাতে পারলেও শুরুর দিকে আফতাবের ছোট মান বাচাঁনো ইনিংস গুলো জানান দিচ্ছিলো সুদিনের অপেক্ষার অবসান বুঝি আলো হাতে আফতাব নিয়ে এইবার হাজির হলেন!

▪ টেস্ট ক্যারিয়ার;

১. টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরু টা মোটেও ভালো হয়নি আফতাবের। নিজের টেস্ট অভিষেকের আগে দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে আফতাব আহমেদের হয়েছিলো টেস্ট অভিষেক। অভিষেক রাঙাতে পারার আফতাব নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার ও রাঙিয়ে যেতে পারেননি ক্রিকেটাঙ্গন কে বিদায় বলে দেওয়ার আগে৷ আফতাবের টেস্ট অভিষেক হয়েছিলো ২০০৪ সালের ১২ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজ শহর চট্টগ্রামের জুহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে। নিজের প্রথম ইনিংসে আফতাব খেলেছিলেন ৩৯ বলে ২০ রানের একটি ছোট ইনিংস ৩ টি চারের সৌজন্যে। এরপর ২য় ইনিংসেও পুনরাবৃত্তি করলেন ইনিংস বড় না করতে পারার আক্ষেপে পুড়ে৷ হয়তোব এখনো তাই পুড়েন!

২. টেস্ট ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার টা উজ্জল নয় আফতাব আহমেদের। হার্ড হিটার এই ব্যাটসম্যান সবসময় চাইতেন বাউন্ডারি হাকিঁয়ে রানের চাকা কে সচল রাখার৷ কিন্তু আফতাবের এই ধর্ম যে ছিলো হিতের বিপরীত তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র ১ টা টেস্ট অর্ধশত। হ্যা পাঠক আফতাব পুরো ক্যারিয়ারে হাকিঁয়েছেন মাত্র একটি অর্ধশত। কিন্তু কথায় আছে কামারের দোকানে কুরান পাঠ করে লাভ নেই। নিজের একমাত্র টেস্ট অর্ধশত টিও আফতাব করেছিলেন ওয়ানডে ম্যাচের ভঙ্গিমায়। তখন ২০০৫ সালে চলছিলো বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচে আফতাব আহমেদ করেছিলেন ৮২ সেটিও আবার ৮২ বল মোকাবেলার মাধ্যমে। সাথে ছিলো ১৩ টি চার এবং ১ টি ছক্কার মার। অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার ক্রিজে ছিলেন ১০২ মিনিট সময়!

৩. হিটিং এবিলিটি আমাদের ও আছে এর সল্প প্রমাণ তৎকালীন সময়ে আফতাব আহমেদ রেখে গিয়েছিলেন। আফতাব আহমেদের ১৬ টেস্টে ছোট এই ক্যারিয়ারে ৩১ ইনিংস ব্যাট করে আফতাব আউট হয়েছেন ২৮ ইনিংসে৷ কিন্তু অবাক করে দেওয়ার মতো ব্যাপার হচ্ছে ২৮ আউটের মধ্যে আফতাব ১৯ বার আউট হয়েছেন ক্যাচ তুলে। ১৯ ক্যাচের মধ্যে ৭ টি ছিলো উইকেট রক্ষকের হাতের ক্যাচ। অবাক করা বিষয় মাত্র ২ বার আউট হয়েছিলেন বোল্ড আউট হয়ে।

▪ ওয়ানডে ক্যারিয়ার;

১. ২০০৪ সালে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যেমন বিভিষিকাময় ছিলো তেমনি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরু টা আফতাবের ছিলো একেবারেই নিষ্প্রভ এবং নিষ্প্রাণ। ক্যারিয়ারের ১ম ম্যাচ ছিলো ২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে। অভিষেক ম্যাচে কোনো রান করতে পারেননি আফতাব আহমেদ৷ অভিষেকে খালি হাতে ফিরলেও নিজেকে প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেননি আফতাব। নিজের ক্যারিয়ারের ৪র্থ ওয়ানডে ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন। তবে এবার ব্যাট হাতে নয় জ্বলে উঠেছিলেন বল হাতে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪ রান করার পর বল হাতে একাই শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট৷ ১৪৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নামা কিউইরা সেদিন বেঁচে ছেড়ে দে না কেঁদে বাচিঁ। ইনিংসের ৭ উইকেটের ৫ টি শিকার করেছিলেন আফতাব। এটিই ছিলো আন্তর্জাতিক আঙ্গনে ১ম বাংলাদেশী হিসেবে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।

২. ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের ৩ নাম্বার ব্যাটিং পজিশনে খেলেছেন ৩৫ জন ক্রিকেটার। ৩ নাম্বার ব্যাটিং পজিশনে সবচেয়ে বেশী রান আফতাব আহমেদের ৫৪ ইনিংসে ১৩০৩ রান।

৩. ছোট এই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আফতাব আহমেদ খেলেছেন ৮৫ টি ওয়ানডে ম্যাচ। মেরেছেন ৪৯ টি ছয় এবং ২০৫ টি চার। ছোট সেই ক্যারিয়ারের বর্নিল সময়ের রঙে ক্যারিয়ে আফতাব হাকিঁয়েছিলেন ৮ টি অর্ধশত। যেখানে তার সর্বোচ্চ ৯২ রান। এমনকি ব্যাট হাতে ডাক মেরেছেন ৮ বার।

▪ টি২০ ক্যারিয়ার

১. মার মার কাটঁ কাটঁ ব্যাটসম্যান যে কতোটা কার্যকরী টি২০ ক্রিকেটে তা যেউ কেউ চোখ বন্ধ করেই বলে দিবে। কিন্তু ক্যারিয়ার শুরু ২ বছর পর ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি ক্রিকেটে উদয় হওয়ায় একটু আফসুস বোধ করি রয়েই গেছে আফতাব আহমেদ এর। তারপরেও ছোট এই সময়ে খেলেছেন কিছু সংখ্যক টি২০ ম্যাচ আর তৈরি করে গেছেন কিছু ক্যামিও ইনিংস। তবে চলেন আগে জেনে নেই সূচনা লগ্ন টা কোথায় আফতাবের টি২০ ক্যারিয়ারের। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছিলো আফতাব আহমেদের ১ম ম্যাচ। সে ম্যাচে ১৯ বলে ২৮ রানের ইনিংস টা যেনো ছিলো একজন হিটারের প্রতিচ্ছবি।

২. ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করনে আফতাবের কাছে আশার সেই পাল অনেক টা ভারী এই ছিলো। কিন্তু কথায় আছেনা অতি আশা করে যে জন নিরাশার বুকে বাধেঁ বাসা সেজন। ঠিক তেমনি হয়েছে ছোট এই ক্যারিয়ারে আফতাব মোট টি২০ ম্যাচ খেলেছেন ১১ টি৷ ১১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে আফতাব ক্রিকেট ভক্তদের দেখিয়ে গেছেন বেশ সম্ভাবনা কিন্তু নিরাশ করে তবেই যেতে হয়েছে অবসর নামক সেই বিষাদময় শব্দের অর্থবহ কাজে! ২০০৭ বিশ্বকাপে টি২০ এর পরাশক্তি উইন্ডিজ এর সাথে জয়ী ম্যাচে ৬২ রান কিংবা পরের ম্যাচে ১৫ বলে ৩৬ রানের সেই বিধ্বংসী ইনিংস গুলি এখনো কোটি ক্রিকেট ভক্তের হৃদয়ে চির ধরায় ক্ষতস্থান সমূহে৷

images - 2020-05-14T161831.275

কিন্তু এরপর কি এমন হলো?? যে আফতাব হারিয়ে গেলেন ফর্মহীনতার ঐ অতল গহব্বরে। এর পিছনে অনেকেই দায়ী করেন নিষিদ্ধ সেই লীগ আইসিএল এবং আফতাবের অর্থের ঝনঝনানির মোহে পড়ে সেই ভার‍তীয় অধিনায়ক কপিল দেবের লীগ খেলতে যাওয়া৷ ২০০৮ সালে ঠিক এমন টি হয়েছিলো আফতাব আহমেদের সাথে৷ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতি ব্যাতিত সেই লীগ খেলতে আফতাব চলে গিয়েছিলেন বোর্ড কে না জানিয়ে। ফল স্বরূপ আফতাব কে করা হয়েছিলো ১০ বছরের জন্যে নিষিদ্ধ৷ কিন্তু আফতাব আহমেদ সহ ১৪ ক্রিকেটারের  আপিলের ভিত্তিতে শাস্তি কমিয়ে আনা হয়েছিলো ২ বছরে। কিন্তু ২ বছর পরে ২০১০ সালে জাতীয় দলে ফিরেও আফতাব দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তার আগের সেই আগুনে ফর্ম টেনে আনার। ফল স্বরূপ আফতাব বাদ যায় দল থেকে। আর তাই এখন বাংলাদেশ ক্রিক্রেটের ইতিহাসের পাতায় আরো একটি আক্ষেপের অধ্যায় আফতাব আহমেদ!

৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সময়ে শুধু মাত্র আফতাব খেলেছেন ৪ টি বছর। এরপর আর সুযোগ হয়নি লাল সবুজের জার্সিকে লিডিং করার৷ ছোট ক্যারিয়ারে আশা আর নিরাশার গল্প গল্প আছে অনেক তবে সব হিসেবের ইতি টেনে দেওয়ার আগে আফতাবের অর্জন কি ছিলো চলুন একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক;

▪ টেস্ট- ১৬ ম্যাচের ৩১ ইনিংসে ব্যাট করে আফতাবের অর্জন ৫৮২ রান। যেখনে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস৷ আছে একটি অর্ধশত করা ইনিংস।

▪ ওয়ানডে- ৮৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আফতাব ব্যাট করেছেন ৮৫ ইনিংসেই। রান করেছেন ১৯৫৪। সর্বোচ্চ রান ৯২। ক্যারিয়ারে হাকিঁয়েছেন ৯ টি অর্ধশত!

▪টি২০- ক্যারিয়ারে আফতাব আহমেদ মোট টি২০ ম্যাচ খেলেছেন ১১ টি। ১১ ম্যাচে আফতাবের মোট সংগ্রহ ২২৮ রান। সংগ্রাহের তালিকায় আছে ১ টি অর্ধশত। সর্বোচ্চ রান ৬২।

images - 2020-05-14T163331.962

পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে আফতাব এখন বসেছেন কোচের ভূমিকায়। নিজ শহর চট্টগ্রামে আফতাব খুলেছেন ক্রিকেট কোচিং এর একটি একাডেমী। কাজ করে যাচ্ছেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কে লিডিং করার মতো ছেলেদের তুলে আনার জন্যে।  শুভ কামনা থাকবে ক্রিকেটার আফতাবের মতোই যেনো কোচ আফতাব ও একজন সফলতার গল্পে নায়ক হতে পারেন।

আফতাব নামক যে রত্ন হারিয়েছে বাংলাদেশ তা এখনের দিনের জন্যে স্বাভাবিক একটা বিষয় হলেও ২০০৮ সালের সময়ে আফতাব ছাড়া ভাবা যেতো না জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ। অন্তত আফতাবের চার ছয়ের স্বমহিমায় হলেও ক্রিকেট মুখী হতো তখনাকার মানুষ। শুভ কামনা জানিয়ে ইতি টানবো তবে ইতির শুভেচ্ছার আগে আফতাব দেওয়ার অনেক কিছুই বাকি ছিলো সেগুলো যেনো এখন খুঁজে বের করে জাতীয় দলে শক্তপোক্ত করার লক্ষ্যে! আর তাই শুভকামনা রইলো পিঞ্চ হিটার আফতাবের আহমেদের জন্যে! শুভ হোক আপনার আগামী দিনের পথচলা!!