• ফুটবল

ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচঃ মেকিং আমেরিকা গ্রেট এগেইন?

পোস্টটি ২৩৮৭ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

দুনিয়াজোড়া চকলেটপ্রেমীদের কাছে “হার্শি” শব্দটা ভালোবাসারই নামান্তর। এই কোম্পানির দারুণ সব চকলেট অন্তত একবার হলেও খাননি এমন চকলেটপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। তবে যে হার্শি শহরটা এতোদিন শুধুমাত্র বিখ্যাত ছিল আমেরিকার দ্বিতীয় ও পৃথিবীর পঞ্চম সর্ববৃহৎ চকলেট কোম্পানির জন্য তার পরিচয় বদলে দিয়েছে এক খর্বাকায় বালক। পেন্সিলভেনিয়া রাজ্যের রাজধানী পিট্‌সবার্গ থেকে কিছুটা পূর্বে গেলে ছিমছাম সাজানো এই শহরটা দেখতে পাবেন আপনি। তবে ১২,০০০ লোকের এই শহরটায় জন্ম নেওয়া এক তরুণ আজ মার্কিনবাসীর স্বপ্নের ধারক। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ “সকার”-এ তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন, আমেরিকা-জার্মানি কিংবা ইংল্যান্ড ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই নিরীহদর্শন উইংগার। চেলসিতে এসে প্রথম মৌসুমেই হ্যাজার্ডের ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছেন। মার্ক পুলিসিচ কি এতোটাও চেয়েছিলেন?

 

  • ক্রিস্টিয়ানের গল্পটা বলতে গেলে তাঁর বাবা-মায়ের কথা আসবেই। দু’জনেই ইন্ডোর ফুটবলার ছিলেন, হ্যাজার্ডের সাথে মিল এখানেও (বেলজিয়ানের মা-বাবাও ফুটবলার ছিলেন)। বাবা-মায়ের হাতেই ফুটবলে হাতেখড়ি। স্থানীয় ক্লাব দ্য গানার্স আয়োজিত বাচ্চাদের এক লীগে তিন বছরের ক্রিস্টিয়ানকে নামিয়ে দিলেন মার্ক আর কেলি। তবে সেদিন কে ভেবেছিল এই পুঁচকে ছেলেটাই একদিন ইউরোপের মাঠ কাঁপিয়ে বেড়াবে? ছোটবোন ডীডীকেই বেশি প্রতিভাধর মনে করেছিল সবাই। কারণ মাঠে খেলা চলাকালীন সময়ে ক্রিস্টিয়ান কাজ ছিল সাইডলাইনের দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়ানো। মা-বাবা দুজনেই ফুটবল অন্তঃপ্রাণ হলেও কখনো ফুটবল খেলা বা জোর অনুশীলনের জন্য চাপ দেওয়া হয়নি পুলিসিচকে। মার্ক তো অন্য খেলায় অংশগ্রহণের জন্য ক্রিস্টিয়ানকে নিয়মিত উৎসাহ দিতেন। কিন্তু পুলিসিচের প্রথম ভালোবাসা ছিল ফুটবল, মনের আনন্দেই খেলে বেড়াতো ছেলেটা। তবে পুলিসিচ পরিবারের ভাগ্য বদলটা অনেকটা আকস্মিকই বলতে হবে। ২০০৫ সাল চলে তখন, ক্রিস্টিমানের বয়স সবে ছয় পেরিয়েছে। হঠাৎ স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে একবছরের জন্য ইংল্যান্ডে থাকার আমন্ত্রণ পেলেন কেলি। অক্সফোর্ড শহর থেকে কিছুটা দূরের ট্যাকলি নামক এক গ্রামে ঘাঁটি গাড়ল পুলিসিচ পরিবার। ক্রিস্টিয়ানকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হলো ব্র্যাকলি টাউনের (বর্তমানে ইংল্যান্ডের পঞ্চম স্তরের খেলে) একাডেমিতে। জীবনে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে এসে ফুটবল সম্পর্কে ধারণাটাই বদলে গেলো পুলিসিচের। স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়ে ইংলিশ সমর্থকদের পাগলামি আর গ্যালারিতে বসে দলীয় সংগীতে গলা মেলানো – আমেরিকান “সকার” আর ইংলিশ “ফুটবল” এর মধ্যে যে বিস্তর ফারাক। স্থানীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ডার্বি জয়ে যে লাগামছাড়া উদযাপন – কই মার্কিন মুল্লুকে তো অমনটা হয় না? পুলিসিচের শিশুমনকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিলো এসব ঘটনা। তবে আনন্দের সময়টা ফুরিয়ে গেলো দ্রুতই, চারপাশটা ঠিকমতো বুঝে ওঠার আগেই দেশে ফিরতে হলো পুলিসিচকে।

https://uk.sports.yahoo.com/

 

  • আমেরিকায় ফিরতেই আবার কাজের ডাক এলো। এবার মার্কের পালা, “ডেট্রয়েট ইগনিশন” ফুটসাল দলকে কোচিং করাতে হবে। পরিবারের সাথে মিশিগানে পাড়ি জমালো ক্রিস্টিয়ান। ইগনিশন দলটাতে বেশ কয়েকজন দক্ষিণ আমেরিকান খেলতো, তাদের কারিকুরি মুগ্ধ করতো পুলিসিচকে। বাড়ির ব্যাকইয়ার্ডে সেসব কৌশল রপ্ত না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেত সে। সুযোগ পেলেই এই ব্যাকইয়ার্ডে মা-বাবাকে টেনে নিয়ে যেত বাচ্চা ছেলেটা। ছেলের অনুশীলনের জন্য সেখানে ছোট গোলবার বসিয়ে দিয়েছিলেন মার্ক। কেলির কাজ ছিলো কখনো ডানপাশ , আবার কখনো বামপাশ থেকে একের পর এক ক্রস করে যাওয়া। গোলবারে থাকতেন মার্ক, আর গোলবার সোজাসুজি দাঁড়িয়ে ক্রিস্টিয়ান ভলি করে জালে পাঠাতেন মায়ের ক্রসগুলো। কে জানে, অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে সমতাসূচক গোলের পেছনে হয়তো মায়ের ঐ ক্রসগুলোর বড় অবদান ছিলো। আবার ডান পায়ে কোনো গোল করার পর কেলি একই কাজটা বাঁ পা দিয়ে করার জন্য উৎসাহ দিতেন। এর ফলাফল – দু’পায়েই সমান দক্ষ হয়ে উঠল ক্রিস্টিয়ান। যাই হোক, আমেরিকায় ফিরে ছেলের অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা  বেশ ভাবাচ্ছিল বাবাকে। ছেলের জন্য দুঃসাহসিক এক কাজ করে বসলেন মার্ক। তখন ডেট্রয়েটে কোনো ফুটসাল লীগ ছিল না, তিনটে বাস্কেটবল কোর্ট সম্বল করে সেখানে ফুটসাল লীগ খুলে বসলেন মার্ক। এই লীগে খেলে টেকনিক্যালি আরো সমৃদ্ধ হলেন পুলিসিচ, অল্প জায়গায় দু’তিনজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটাও শেখা হলো তাঁর। ততোদিনে তাঁর ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠল এই “সকার”। বৃষ্টির জন্য বাইরে খেলা যাচ্ছে না? কোনো সমস্যা নেই। সোফায় বল লোফালুফি করবে ছেলেটা। স্কুলবাস আসতে আরো দশ মিনিট বাকি? ঠিক আছে এই সময়টাতে একটু বল জাগল করা যাক। পুলিসিচদের প্রজন্মটা এক দিয়ে অনন্য। এরাই প্রথম প্রজন্ম যারা টিভিতে ইউরোপিয়ান ফুটবল দেখে বড় হয়েছে। পুলিসিচের পছন্দ ছিল রিয়াল মাদ্রিদ, লুইস ফিগোর খেলা ভালো লাগতো তাঁর। ২০০৪ ইউরোর সময় টিভিতে খেলার সময় হাফটাইমের জন্য অপেক্ষা করত সে। বিরতির সময়টাতে ব্যাকইয়ার্ডে দুমদাম বল মেরে নিজেকে বিশ্বসেরা ফুটবলারদের জায়গায় বসিয়ে নেওয়া ছিলো তাঁর প্রিয় কাজ। এর  মধ্যে আমেরিকান যুব ফুটবল প্রকল্পের অধীনে থাকা দল “পিএ ক্ল্যাসিক্‌স”- এর নজরে পড়ে গেলেন পুলিসিচ। প্রাতিষ্ঠানিক ফুটবলের হাতেখড়ি ওখানেই। একে একে সাতটি বছর কাটিয়ে দিলেন। ২০১২ সালে সুযোগ পেলেন অনূর্ধ্ব-১৩ দলে, ২১ ম্যাচে করলেন ২৮ গোল। ২০১৪ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই অনূর্ধ্ব-১৭ দলে ডাকা হলো তাঁকে। এক কোচের ভাষায় পুলিসিচকে দেখলে নাকি মনে হতো ভুল করে কোনো খেলোয়াড়ের ছোটভাইকে বুঝি নামিয়ে দেওয়া হয়েছে মাঠে। কিন্তু এই খর্বাকারের ছেলেটাই পুরো দলের খেলা নিয়ন্ত্রণ করতো, প্রতিপক্ষের রক্ষণকে একাই নাকানি চুবানি খাইয়ে দিতো। তবে বিশ্বসেরা হতে হলে ইউরোপে পাড়ি জমাতে হবে এটা মার্কের ভালোই জানা ছিল। কিন্তু ইউরোপের কোন দেশ হবে ক্রিস্টিয়ানের পরবর্তী ঠিকানা?

https://uk.sports.yahoo.com/

লন্ডনে বসবাস করা দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবল পরামর্শক রব মুরের শরণাপন্ন হলেন মার্ক পুলিসিচ। বার্সেলোনায় যাওয়ার চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করার কথা বললেন মুর। অথচ ততোদিনে বিশ্বখ্যাত একাডেমি “লা মাসিয়া” থেকে আমন্ত্রণ এসেছে। জার্মানিতে তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে কতোটা বিশদভাবে কাজ করা হয় তার বর্ণনা দিলেন মুর। শেষমেশ জার্মানির পানে উড়াল দিলেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ, উদ্দেশ্য বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের যুবদলে যোগ দেওয়া। স্বপ্ন যখন সত্যি হয়ে হাতের মুঠোয় ধরা দিচ্ছিল ঠিক তখনই বাঁধলো বিপত্তি। পুলিসিচ জার্মান ভাষার একটা শব্দও জানেন না, একাডেমির ক্লাসে বসে তাই সহপাঠীদের কাছ থেকে জেনে নিতে হতো কোথায় যাবেন, কী করবেন –সব। পরিবারকেও বড্ড মিস করতেন, কিন্তু এখানে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম শেষে পরিচিত মুখগুলো দেখে ক্লেশ ভোলার সুযোগ নেই। কিন্তু পুলিসিচ তো হারিয়ে যেতে এতোদূর আসেন নি। পরিশ্রম চালিয়ে গেলেন। প্রায় প্রতিবছরই বছরের একটা নির্দিষ্ট অংশে ইউরোপের বিভিন্ন একাডেমিতে নিয়ে যেতেন বাবা-মা। নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা তখনই শিখেছিলেন, জার্মানিতে এসে সেই বিদ্যা বেশ ভালোমতই ফলাতে পারলেন। এরপরের গল্পটা সবারই জানা। ২০১৬ সালটা ছিল পুলিসিচের বছর। জানুয়ারির ৩০ তারিখে এফসি ইনগোলস্টাডের বিপক্ষে বুন্দেসলিগা অভিষেক হলো, প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপালেন মার্চের ২৭ তারিখে। পরের মাসে হ্যামবার্গের বিপক্ষে সর্বকনিষ্ঠ বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে বুন্দেসলীগায় গোল করলেন। আর স্টুটগার্টের বিপক্ষে দুই গোল তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলো, জার্মান লীগে এর চেয়ে কম বয়সে আর কেউ যে জোড়া গোল করতে পারেনি। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় সর্বকনিষ্ঠ মার্কিন খেলোয়াড়ের রেকর্ডটাও এই আমেরিকান জাদুকরের দখলে। ২০১৬-১৭ মৌসুমে “ডিএফবি পোকাল” কাপের ফাইনালে দলকে পেনাল্টি এনে দিলেন, ঐ গোলেই শিরোপা জিতে নিলো ডর্টমুন্ড। আমেরিকান “সকার” সমর্থকেরা ততোদিন নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। ফুটবল বিধাতা এই ছেলেটাকে একদম নিজে হাতে গড়ে দিয়েছেন, এর হাত ধরেই এগিয়ে যাবে মার্কিন ফুটবল। তবে সেই স্বপ্নটা ধাক্কা খেলো ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সময়। নিজেদের শেষ ম্যাচে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর কাছে ২-১ গোলে হেরে মূলপর্বে যাওয়ার সুযোগ হলো না আমেরিকার। এদিকে পরের মৌসুমে ইংলিশ তরুণ জেডন সাঞ্চোর কাছে একাদশে নিজের জায়গা খোয়ালেন পুলিসিচ। তবে প্রতিভার কদর সবসময়ই আছে ফুটবলে, ৫৮ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তাঁকে দলে ভেড়ালো চেলসি। তবে ধারে খেলার জন্য ২০১৮-১৯ মৌসুমের বাকিটা ডর্টমুন্ডেই থেকে গেলেন। তবে নতুন ম্যানেজার ল্যাম্পার্ডের সামনে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য গ্রীষ্মে ছুটিকে আগেভাগেই বিদায় বলে দিলেন এই তরুণ। সেই ছোট্টবেলায় ইংল্যান্ডে থাকার সময় ওল্ড ট্র্যাফোর্ড, অ্যানফিল্ড আর হোয়াইট হার্ট লেনের বড় বড় মাঠগুলো ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল। অভিষেক হলো সেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই, দুঃস্বপ্নের মতো সেই অভিষেকে বলার মতো কিছুই করতে পারলেন না, উল্টো চার খানা গোল হজম করতে হলো। এরপর একাদশের বাইরে চলে গেলেন, আস্তে আস্তে মার্কিন মিডিয়ায় ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের তথাকথিত “ইংলিশপ্রীতির” ফিসফিসানিটা জোর গুঞ্জনে পরিণত হলো। বার্নলির বিপক্ষে “পারফেক্ট” হ্যাটট্রিক করে নিন্দুকদের মুখে ছাই দিলেন। এরপর চোট সমস্যায় ভুগলেও মাঠে নেমে নিয়মিত আলো ছড়িয়েছেন, ছড়াচ্ছেন, ছড়াবেন।

 

মার্কিনরা সবকিছুকে নিজেদের মতো করে ভাবতে পছন্দ করে। “Association Football” খেলাটা তাই সংক্ষেপে “Assoc” হয়ে “Soccer” নামে পরিচিত হয়েছে সেখানে। ক্রোয়েশিয়ান দাদার উত্তরসূরি “পুলিসিচ”কে আমেরিকানরা “পুলিসিক” বলে ডাকে। তবে নাম যাই-ই হোক, আর দশজন স্বদেশীর চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন আমেরিকান ফুটবল দলের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের। রবিবারের ছুটিতে সোফায় আয়েশ করে বসে বেসবল দেখতে দেখতে পিজ্জা চিবুনো কিংবা বিয়ারে গলা ভেজানো হয় না তাঁর। তখন হয়তো তিনি টার্ফ মুরে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করতে ব্যস্ত। মার্ক পুলিসিচও মাঝে মাঝে আফসোস করেন ছেলেকে একটি স্বাভাবিক শৈশব-কৈশোর দিতে পারলেন না এই ভেবে। কিন্তু তাতে কি? ছেলে তো ঠিকই এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। “ক্যাপ্টেন আমেরিকা” পারবেন আমেরিকান “সকার”কে উদ্ধার করতে?