• ক্রিকেট

শোয়েব ডেঞ্জারাস আখতার

পোস্টটি ১৩১৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

১১ বলের ব্যবধানে পন্টিং,দুই ওয়াহ ভাই এবং গিলক্রিস্ট আউট।এরমধ্যে স্টিভ ওয়াহ বাদে বাকী তিনজনই বোল্ড।স্টিভ এলবিডাব্লিউ এর ফাঁদে পরেন।নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও আছে এমন ডেডলি স্পেল।আর চিরপ্রতিদ্বন্দী ভারতের বিপক্ষে হোক টেস্ট কিংবা ওয়ানডে গতির প্রকোপ ছড়িয়েছে সামর্থের সবকিছু উজার করে দিয়ে।মুহূর্তের মধ্যে খেলার দৃশ্যপট বদলে দেয়ার সহজাত ক্ষমতার অধিকারী বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির পেসার রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।

ইন্টারে পরিসংখ্যান আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিলো।যার কারণে হয়তো বেশ ভালো নম্বরও পেতাম কলেজ পরিক্ষায়।কিন্তু খেলার ব্যাপারে পরিসংখ্যান জিনিসটা আমার কাছে ভালো লাগে না।এর কোনো উত্তর নেই যদিও।তাই শোয়েব আখতারের জন্য লিখা ছোট্টো এই জন্মদিনের শুভেচ্ছায়ও প্রথম লাইন বাদে থাকবে না কোনো সংখ্যার মারপ্যাঁচ।ছোটোবেলায় দেখেছি তাকে বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলছে।একেবারে উইকেটকিপারের পায়ের কাছেও নিয়ে যেত তার হাত থেকে ছোঁড়া বল নামক হ্যান্ডগ্রেনেড।খুবই সুখকর দৃশ্য।ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত পেস কোয়ার্টেটকে সরাসরি দেখতে না পারাটা জীবনের অনেক বড়ো আফসোস।শোয়েব-ডোনাল্ড-লিতে কিছুটা চোখের শান্তি পেয়েছি বলবো।

12716203

অনেক বড়ো এবং বিস্তারিতভাবে লিখতে পারলে বা লিখার অভ্যেস থাকলে শোয়েব আখতারের আত্মজীবনী “কন্ট্রোভার্শিয়ালি ইউরস” পুরোটাই লিখে ফেলতাম।বইটি বের হয়েছিলো ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।আমি পড়েছিলাম এর পরের বছর।কলেজে বন্ধু মিঠু নিয়ে এসছিলো।ওর থেকে একদিনের কথা বলে নিয়ে এসছিলাম বইটি।শেষ করতে পারিনি দেখে পরেরদিন কলেজে যাইনি।এমন সব মুখরোচক কাহিনিতে ভরা বইটি যেকারো পড়তে ভাললাগবে।স্কুলে মেয়েদের চুলের বেণী খুলে দেয়া,মার খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে বাপকে বলা আমি মার খেতে খেতে বিরক্ত আপনি কি মেরে বিরক্ত হননি?!এ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে কোচের শেভিং কিট চুরি করা,রাওয়ালপিন্ডির এক ফকিরের সাথে রাস্তায় পড়ে ঘুমানো।দল থেকে বাদ পড়লেই দেখা করতেন ওই ফকিরের সাথে।বড়োই অদ্ভুদ এক চরিত্র।

শোয়েবের একদম আগের বড়ো ভাইয়ের নামও কিন্তু শোয়েব ছিলো।বেচারা নিজের দ্বিতীয় জন্মদিন পালনের আগেই পৃথিবীর মায়া ছেঁড়ে চলে যান।‘শোয়েব’ নামটি তার মায়ের অনেক পছন্দের ছিলো বলে নিজেদের পঞ্চম ছেলের নামও শোয়েব রাখেন শাহিদ,তাহির,ওবায়েদ এবং শোয়েবের মা-বাবা।“শোয়েব” একটি আরবি শব্দ যার আবার আছে দ্বৈত অর্থ,পুরোপুরি বিপরীতমুখী।শোয়েব শব্দের অর্থ একই সাথে একত্রিত করা বোঝানোর পাশাপাশি আলাদা করাও বুঝায়।একেবারে যেন শোয়েব আখতারের প্রতিবিম্ব।

TELEMMGLPICT000001362268_trans_NvBQzQNjv4BqntSheJW8V0esC6Auk1dHGVPw4OF-EpSjGpMGMKY2ULs

 

নিঃসন্দেহে শোয়েব পাকিস্তানের তো বটেই বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকার ত্রাস সৃষ্টিকারী বোলার।যেকোনো দলের অধিনায়কই অত্যন্ত খুশিমনে চাইবে তার দলে থাকুক সে।আবার বিতর্কিত বলে অনেকেই দূরে সরিয়ে দিবে।যদি আরেকটু শৃংখলা থাকতো জীবনে হয়তো ক্রিকেট পেত আরো অনেক কিছু আর আমরা সাক্ষী হতাম ডেডলি ইয়র্কার,বাজপাখির মতোন ডানা মেলা উৎযাপন কিংবা উড়ে যাওয়া স্ট্যাম্পের।