• ফুটবল

চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালঃ সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার নাকি নতুন রাজ্যের সূচনা?

পোস্টটি ৫৬৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
  • চ্যাম্পিয়ন লীগ! যেখানে চলে চ্যাম্পিয়দের লড়াই। এই মৌসুমে তারই ফাইনাল বসছে ২৪ তারিখ প্রথম প্রহরে। শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন এবং জার্মান চ্যাম্পিয়ন।
  • বায়ার্ন এবং পিএসজি দুই দলই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেলে অভ্যস্ত। কাজেই জমজমাট এক ফুটবল ম্যাচই অপেক্ষা করছে ফুটবল প্রেমীদের জন্য। ফাইনাল ম্যাচে কখনোই ফেভারেট থাকে না। দুই দলের চান্সই থাকে ৫০-৫০। কিন্তু কোয়ার্টারে বার্সেলোনাকে দুমড়ে-মোচড়ে ফেলার পর বায়ার্নই ফেভারেট পাবার দাবিদার। একইসাথে পিএসজিকে আন্ডারডগ বলারও উপায় নেই। তারাও রয়েছে নিজেদের সেরা ফর্মে। তাই ফাইনালে যেদল নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে, ট্রফি তাদেরই হবে।

বায়ার্নকে দেখা যেতে পারে আগেরFB_IMG_1598034375688 দুই ম্যাচের মত ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। যদি লেফট ব্যাকে হার্নান্দেজ নামে তবে কিমিচ চলে যাবে মিডফিল্ড পজিশনে। নতুবা দেখা যাবে পূর্বের লাইনআপ।  অন্যদিকে পিএসজির একাদশেও আসবে পরিবর্তন। ইঞ্জুরি থেকে সুস্থ্য হয়ে গোলবারে দাড়াবে নাভাস। মিডফিল্ডে ফিরতে পারে পিএসজির মিডফিল্ডের ভরসা ভেরাত্তি। শুরুর একাদশে না থাকলেও বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে নামবেন নিশ্চিত।

  • এবার আসা যাক খেলার ট্যাকটিক্সে। বায়ার্ন স্বভাবজাতই তাদেরই প্রেসিং আর আক্রমণাত্মক খেলাই খেলবে। এই বায়ার্নের আক্রমণ সামলানো পিএসজির জন্য হবে বড় চ্যালেঞ্জ।  মুলার,  জিনাব্রি, লেভানডস্কির আক্রমণভাগ যেকোনো মুহুর্তে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে যেকোনো রক্ষণ ভাগ। একই সাথে ডেভিস, কিমিচদের মত আক্রমণাত্মক ফুলব্যাকদের থামানোও হবে পিএসজির বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে বায়ার্নের সবচেয়ে বড় শক্তিই তাদের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা। পুরো দল আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে রক্ষণ মাঝে মাঝেই খালি করে ফেলে। আবার বায়ার্নের দুই সেন্টারব্যাক আলাবা এবং বোয়াটেংও যথেষ্ট গতিশীল নয়। আর এইদিকটাই তাদের  সবচেয়ে বড় হুমকি। ছন্নছাড়া বার্সা কিংবা অপেক্ষাকৃত দূর্বল লিঁওর সাথে এদিকে এতটা সমস্যা না হলেও পিএসজির সাথে তা বায়ার্নকে ভালো ভুগাতে পারে। সেমিফাইনালে লিঁও এরকম কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারে নি। কিন্তু একই ভুল ফাইনালে হলে বড় বিপদে পড়তে হবে তাদের। কারণ লিঁও সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও নেইমার এমবাপ্পেদের ভুল করার সম্ভাবনা খুবই কম।  কাউন্টার এটাকে নেইমা,এম্বাপ্পেকে সামলাতে না পারলে বায়ার্নের চ্যাম্পিয়ন হবার আশা এখানেই শেষ।  
  • পিএসজিতে যদিও রয়েছে এমবাপ্পে, ডি মারিয়াদের মত তারকা কিন্তু ফাইনালের ফলাফল সবচেয়ে বেশি নির্ভর করবে নেইমারের উপরই। উইং ছেড়ে নেইমার এখন পুরোদস্তুর প্লেমেকার। কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালে গোল না পেলেও পিএসজির সেরা খেলোয়াড় ছিল নেইমারই।  অধিকাংশ  আক্রমণের সূচনা হয়েছে তার পায়েই।  ফাইনালেও পিএসজি তাকিয়ে থাকবে তার নজরকাড়া পারফর্মেন্সের দিকে।  কাউন্টার এটাকে নেইমারের ডিফেন্সচেড়া পাস আর এমবাপ্পের গতি ভালোই ঝামেলা ফেলবে বায়ার্নকে।  সাথে রয়েছে ডি মারিয়া, মার্কুনহোসদের সমন্বয়। এই সিজনে উচলে সবচেয়ে বেশি গোল করা যেখানে বায়ার্ন সেখানে সবচেয়ে কম গোল হজম করা দল  পিএসজি। ফাইনালে উঠার পথে পিএসজি গোল হজম করেছে ৫টি। কাজেই গোল বন্যা বইয়ে দেওয়া বায়ার্নের পিএসজির বিপক্ষে  গোল দেওয়া এত সহজ হবে না। 
  • সব মিলিয়ে দুই আক্রমণাত্মক দলের এক জমজমাট খেলাই হবে ফাইনালে। সেখানে যে দল নিজেসের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিবে,  ইউরোপের সেরা হিসেবে  নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে নিজেদের।